ট্রেন দুর্ঘটনা রোধে জনসচেতনতা ও সহযোগিতা চাইল রেলপথ মন্ত্রণালয়

- আপডেট সময় ০৭:২৮:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫
- / 6
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন রুটে ট্রেন লাইনচ্যুতির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। এসব দুর্ঘটনায় বড় ধরনের প্রাণহানি বা সম্পদের ক্ষতি না হওয়ায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের সুফল হিসেবে দেখছে সংস্থাটি। একইসঙ্গে রেল নিরাপত্তা রক্ষায় জনগণের সতর্কতা ও সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।
সোমবার (৪ আগস্ট) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকীর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রতিটি দুর্ঘটনার পেছনের কারণ অনুসন্ধানে পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং তদন্তের ভিত্তিতে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রাথমিক তদন্তে ইঙ্গিত মিলেছে যে, এসব ঘটনার পেছনে রেলসংশ্লিষ্টদের বাইরের কিছু ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর নাশকতামূলক তৎপরতা থাকতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত ৩ আগস্ট রাতে নাটোরের মাধনগর এলাকায় এক বিপজ্জনক চক্রান্তের ঘটনা সামনে এসেছে। সেখানে রেললাইনে শিকল পেঁচিয়ে তালা লাগানো হয়— যার উদ্দেশ্য ছিল ট্রেন লাইনচ্যুত করে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটানো। তবে সৌভাগ্যবশত, রেলওয়ের এক স্থানীয় কি-ম্যান তা চোখে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি থামিয়ে দেন। পরে শিকল অপসারণ করে স্বাভাবিকভাবে ট্রেন চলাচল নিশ্চিত করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয় মনে করে, এ ধরনের পরিকল্পিত অপতৎপরতা প্রতিরোধে সরকার বা রেলওয়ের একক প্রচেষ্টা যথেষ্ট নয়। এজন্য সাধারণ মানুষের সচেতন অংশগ্রহণ এবং সবার সম্মিলিত সহযোগিতা প্রয়োজন। রেললাইনের আশপাশে সন্দেহজনক কিছু লক্ষ্য করলে তা দ্রুত রেল কর্তৃপক্ষ বা স্থানীয় প্রশাসনকে জানানোর জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
জরুরি প্রয়োজনে রেলওয়ের হটলাইন নম্বর ১৩১ অথবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ (টোল ফ্রি) ফোন করার অনুরোধ জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে আশ্বস্ত করা হয়েছে, তথ্যদাতার পরিচয় সর্বোচ্চ গোপনীয়তা বজায় রেখেই সংরক্ষিত থাকবে।