ভারত-পাকিস্তান রাজনৈতিক উত্তেজনার ছায়া এশিয়া কাপেও, রয়েছে অনিশ্চয়তায় !

- আপডেট সময় ১১:১৮:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
- / 11
ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সম্প্রতি সন্ত্রাসী হামলার পর দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে আবারও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে ক্রীড়াঙ্গনেও। চিরবৈরী প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্কে নতুন করে ফাটল ধরেছে। এরইমধ্যে ভারত সরকার ও ক্রিকেট বোর্ড স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, পাকিস্তানের বিপক্ষে কোনো দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট সিরিজে অংশ নেবে না তারা।
২০১২ সাল থেকে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে কেবলমাত্র আইসিসি বা এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) টুর্নামেন্টেই এই দুই দল একে অপরের মুখোমুখি হয়। তবে সাম্প্রতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এসব আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টেও তাদের অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
গুঞ্জন উঠেছে, ২০২৫ সালের এশিয়া কাপ হয়তো বাতিলই হয়ে যেতে পারে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে দেশটির একাধিক গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশ হয়েছে। যদিও ভারত ছিল এই টুর্নামেন্টের স্বাগতিক, পাকিস্তানের আপত্তির কারণে পূর্বেই শ্রীলঙ্কাকে সহ-আয়োজক করে একটি হাইব্রিড মডেলের প্রস্তাব করা হয়েছিল। ২০২3 সালের এশিয়া কাপে ভারত নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলেছিল এবং ২০২৫ সালেও একই মডেল অনুসরণের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এশিয়া কাপের আয়োজনে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
ভারতের ক্রীড়া-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘স্পোর্টস তাক’ বিসিসিআই-এর এক শীর্ষ কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, “এই মুহূর্তে এশিয়া কাপ নিয়ে চূড়ান্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে বিষয়টি বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সময় হলে আমরা আমাদের অবস্থান জানাবো।” তিনি আরও বলেন, “পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবো কি না, তা নিয়েও এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে আলোচনা প্রয়োজন।”
এদিকে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কেও কিছুটা শীতলতা দেখা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে টাইমস অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, আগামী আগস্টে ভারতীয় ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ওই সফরে তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা ছিল। তবে দুই দেশের কূটনৈতিক আবহ এবং অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক চাপের কারণে সফরটি স্থগিত হওয়ার আশঙ্কা জোরালো হচ্ছে।
এই রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে ক্রীড়াঙ্গনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। এখন দেখার বিষয়, কূটনৈতিক অস্থিরতার এই প্রভাব আগামী দিনে ক্রীড়াঙ্গনে কতটা গভীরভাবে পড়ে।