০২:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক। ফিফার শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হলেন ট্রাম্প ব্রাজিলে অবতরণের পর আগুনে পুড়ল এয়ারবাস এ-৩২০, অল্পের জন্য রক্ষা পেল যাত্রীরা পাক-আফগান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি, উত্তেজনা চরমে

পাকিস্তানে ভয়াবহ বৃষ্টি ও বন্যায় নিহত বেড়ে ১১১, নিখোঁজ বহু পর্যটক

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৪৪:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
  • / 102

ছবি সংগৃহীত

 

পাকিস্তানে চলমান মৌসুমি বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যায় প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১১ জনে। এ দুর্যোগে আহত হয়েছেন আরও দুই শতাধিক মানুষ। নিহতদের মধ্যে রয়েছে অন্তত ৫৩ জন শিশু।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দেশটির শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম দ্য ডন-এর প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) জানিয়েছে, ২৬ জুন থেকে ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদনে বলা হয়, মৌসুমি বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটির জনবহুল প্রদেশ পাঞ্জাব। এখানেই সবচেয়ে বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।

জুন মাসের শেষ দিকে পাকিস্তানে হঠাৎ করেই ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। সেসময় একটি নদীর তীরে অবস্থান করা অন্তত ১৩ জন পর্যটক প্রবল স্রোতের পানিতে ভেসে যান। নিখোঁজ এই পর্যটকদের এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।

পাকিস্তানের জাতীয় আবহাওয়া অধিদফতর সতর্ক করে জানিয়েছে, উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে আরও ভারি বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। এতে নতুন করে বন্যা, ভূমিধস এবং ঝোড়ো হাওয়ার কারণে অবকাঠামোগত বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।

চলমান দুর্যোগ শুধু প্রাণহানিই ঘটায়নি, দেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও সৃষ্টি করেছে। বৃষ্টিপাত ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১০ কিলোমিটারেরও বেশি সড়ক এবং নয়টি সেতু। ধ্বংস হয়েছে ১৪৫টি ঘরবাড়ি এবং আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও ৩১০টি বাড়ি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবের কারণে পাকিস্তান এখন বৈরি আবহাওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। ২৪ কোটিরও বেশি মানুষের এই দেশটি প্রতিবছরই নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে পড়ছে।

এর আগেও এমন দুর্যোগের মুখে পড়েছে পাকিস্তান। ২০২২ সালে নজিরবিহীন এক বন্যায় দেশটির এক-তৃতীয়াংশ এলাকা পানির নিচে চলে যায়। ওই ঘটনায় প্রাণ হারান প্রায় ১ হাজার ৭০০ জন মানুষ। বন্যার ক্ষত এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি অনেক অঞ্চল।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সময়মতো পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ দুর্যোগে পড়তে পারে পাকিস্তান। জলবায়ু পরিবর্তন রোধে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে সচেতনতা ও অবকাঠামোগত প্রস্তুতির ওপর জোর দিচ্ছেন তারা।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

পাকিস্তানে ভয়াবহ বৃষ্টি ও বন্যায় নিহত বেড়ে ১১১, নিখোঁজ বহু পর্যটক

আপডেট সময় ১২:৪৪:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

 

পাকিস্তানে চলমান মৌসুমি বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যায় প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১১ জনে। এ দুর্যোগে আহত হয়েছেন আরও দুই শতাধিক মানুষ। নিহতদের মধ্যে রয়েছে অন্তত ৫৩ জন শিশু।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দেশটির শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম দ্য ডন-এর প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) জানিয়েছে, ২৬ জুন থেকে ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদনে বলা হয়, মৌসুমি বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটির জনবহুল প্রদেশ পাঞ্জাব। এখানেই সবচেয়ে বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।

জুন মাসের শেষ দিকে পাকিস্তানে হঠাৎ করেই ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। সেসময় একটি নদীর তীরে অবস্থান করা অন্তত ১৩ জন পর্যটক প্রবল স্রোতের পানিতে ভেসে যান। নিখোঁজ এই পর্যটকদের এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।

পাকিস্তানের জাতীয় আবহাওয়া অধিদফতর সতর্ক করে জানিয়েছে, উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে আরও ভারি বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। এতে নতুন করে বন্যা, ভূমিধস এবং ঝোড়ো হাওয়ার কারণে অবকাঠামোগত বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।

চলমান দুর্যোগ শুধু প্রাণহানিই ঘটায়নি, দেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও সৃষ্টি করেছে। বৃষ্টিপাত ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১০ কিলোমিটারেরও বেশি সড়ক এবং নয়টি সেতু। ধ্বংস হয়েছে ১৪৫টি ঘরবাড়ি এবং আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও ৩১০টি বাড়ি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবের কারণে পাকিস্তান এখন বৈরি আবহাওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। ২৪ কোটিরও বেশি মানুষের এই দেশটি প্রতিবছরই নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে পড়ছে।

এর আগেও এমন দুর্যোগের মুখে পড়েছে পাকিস্তান। ২০২২ সালে নজিরবিহীন এক বন্যায় দেশটির এক-তৃতীয়াংশ এলাকা পানির নিচে চলে যায়। ওই ঘটনায় প্রাণ হারান প্রায় ১ হাজার ৭০০ জন মানুষ। বন্যার ক্ষত এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি অনেক অঞ্চল।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সময়মতো পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ দুর্যোগে পড়তে পারে পাকিস্তান। জলবায়ু পরিবর্তন রোধে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে সচেতনতা ও অবকাঠামোগত প্রস্তুতির ওপর জোর দিচ্ছেন তারা।