জয় হাতছাড়া! ২২ বছরের খরা কাটাতে ব্যর্থ বাংলাদেশ
জয় দিয়েই অভিষেক স্মরণীয় করে রাখতে চেয়েছিলেন হামজা চৌধুরী। সেই সঙ্গে দীর্ঘ ২২ বছরের ভারত-বধের স্বপ্ন ছিল পুরো দলের চোখে। জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ যেন ইতিহাস গড়ার দারুণ এক মঞ্চই পেয়েছিল। কিন্তু গোল মিসের মহোৎসবে শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় জনি-হৃদয়দের।
ম্যাচের শুরুর দিকেই বাংলাদেশের সামনে আসে সুবর্ণ সুযোগ। ভারতের গোলরক্ষক বিশাল কাইথের ভুল পাস থেকে বল পেয়ে যান মুজিবুর রহমান জনি। ফাঁকা পোস্ট পেয়েও তিনি শট নেন বাইরে! এরপর একে একে সুযোগ পান শাহরিয়ার ইমন, হৃদয় ও রাকিব হোসেন। কিন্তু কারো শটই বল জালে জড়াতে পারেনি।
৯ ও ১৮ মিনিটে দুটি ফ্রি হেড মিস করেন ইমন। ১২ মিনিটে হৃদয়ের নেওয়া দুর্বল শট গোললাইন থেকে কর্নারে ঠেলে দেন ভারতীয় ডিফেন্ডার শুভাশীষ। একাধিক সুযোগ পেয়েও গোলের দেখা না পাওয়ায় হতাশার ছায়া পড়ে বাংলাদেশের আক্রমণভাগে।
অন্যদিকে ভারতের সবচেয়ে বড় সুযোগ আসে ৮৪ মিনিটে। সু্নীল ছেত্রী বক্সে ফাঁকায় হেড নিয়েও বল রাখতে পারেননি জালে। গোল মিসের পরপরই তাকে তুলে নেন কোচ মানালো মার্কেস। বিরতির আগেও ফারুক চৌধুরী ও উদান্তা সিং সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু গোলরক্ষক মিতুল ছিলেন চূড়ান্ত সতর্ক।
ম্যাচের শেষ দিকে বাংলাদেশ আবারও জয়ের কাছাকাছি চলে যায়। ৮৯ মিনিটে ফয়সাল ফাহিমের নিচু শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান ভারতের গোলরক্ষক বিশাল। যোগ করা সময়ে রাকিব হোসেনের আরেকটি প্রচেষ্টাও যায় বিফলে।
এই ড্রয়ের ফলে ভারতের বিপক্ষে ২২ বছরের জয়খরা কাটাতে পারল না বাংলাদেশ। সর্বশেষ জয় ছিল ২০০৩ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে। এরপর কেবল হতাশাই সঙ্গী।
আক্রমণে সাহস দেখালেও ফিনিশিংয়ের দুর্বলতায় আবারও পিছিয়ে থাকল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। জয় হাতছাড়া হলেও এই ম্যাচ থেকে আত্মবিশ্বাস নিয়ে পরের লড়াইয়ের প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ থাকছে জামাল ভুঁইয়াদের।