০৩:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব ছাড়ছেন শান্ত, জানালেন কারণ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:২১:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫
  • / 75

ছবি সংগৃহীত

 

২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিন ফরম্যাটেই নেতৃত্বের দায়িত্ব পান নাজমুল হোসেন শান্ত। বর্তমান ক্রিকেটের বাস্তবতায় তিন ফরম্যাটে একসঙ্গে অধিনায়কত্ব পাওয়া বিরল হলেও খুব বেশি দিন এই দায়িত্বে থাকা হয়নি বাঁহাতি এই ব্যাটারের। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরপরই সংক্ষিপ্ত সংস্করণে নেতৃত্ব ছাড়েন তিনি। তবে এখনো ওয়ানডে ও টেস্ট ফরম্যাটে টাইগারদের অধিনায়কত্ব করছেন শান্ত।

আগামী ১৭ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্ট দিয়ে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ দলের টেস্ট মিশন। তার আগেই বৃহস্পতিবার মিরপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শান্ত। টেস্ট সিরিজ ও আসন্ন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি তিনি তুলে ধরেন টি-টোয়েন্টি দলের দায়িত্ব ছাড়ার মূল কারণও।

বিজ্ঞাপন

শান্ত বলেন, “আমি নিজে থেকেই বোর্ডকে জানিয়েছিলাম টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দিতে চাই না। কারণ, এখন এত বেশি খেলা হয় যে নিজের ব্যাটিংয়ে সময় দিতে পারছিলাম না। বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে মনোযোগ বাড়াতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বোর্ডও বিষয়টা ইতিবাচকভাবে নিয়েছে।”

শান্তর অনুপস্থিতিতে গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টি-টোয়েন্টি দলকে নেতৃত্ব দেন লিটন দাস। তার অধীনেই হোয়াইটওয়াশ করে সিরিজ জেতে বাংলাদেশ। এরপর লিটনকেই স্থায়ীভাবে টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক করা হয়।

আগামী বছর ভারতে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও লিটন দাস থাকবেন দলের নেতা হিসেবে।

এ বিষয়ে শান্ত বলেন, “যে-ই অধিনায়ক হোক, লম্বা সময় দায়িত্ব পেলে পরিকল্পনা করা সহজ হয়। যেমন আমাকে এক-দেড় বছর ধরে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, এতে বোর্ডের সঙ্গে পরিকল্পনা করাটা সহজ হয়েছে।”

বর্তমানে ওয়ানডে ও টেস্টে দলের নেতৃত্বে থাকা শান্ত জানালেন, বোর্ডও চায় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় এগোতে। “দলের জন্য পরিকল্পনা করতে হলে ক্যাপ্টেনকে বুঝতে হয় কোন কন্ডিশনে কার খেলা দরকার, ব্যাটিং পজিশনে কাকে কোথায় খেলানো যাবে। এসব ভাবতে সময় দরকার। টেস্টে আমরা ভালো শুরু করেছি, আশা করি ওয়ানডেতেও একইভাবে এগোতে পারব,” বলেন শান্ত।

বোর্ডের সঙ্গে সুসম্পর্ক এবং স্পষ্ট পরিকল্পনার ভিত্তিতেই সামনের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন শান্ত। দলকে সফলভাবে পরিচালনার জন্য সময় ও স্থিতিশীলতাই সবচেয়ে বড় সহায় বলে মনে করছেন এই তরুণ অধিনায়ক।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব ছাড়ছেন শান্ত, জানালেন কারণ

আপডেট সময় ০৫:২১:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫

 

২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিন ফরম্যাটেই নেতৃত্বের দায়িত্ব পান নাজমুল হোসেন শান্ত। বর্তমান ক্রিকেটের বাস্তবতায় তিন ফরম্যাটে একসঙ্গে অধিনায়কত্ব পাওয়া বিরল হলেও খুব বেশি দিন এই দায়িত্বে থাকা হয়নি বাঁহাতি এই ব্যাটারের। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরপরই সংক্ষিপ্ত সংস্করণে নেতৃত্ব ছাড়েন তিনি। তবে এখনো ওয়ানডে ও টেস্ট ফরম্যাটে টাইগারদের অধিনায়কত্ব করছেন শান্ত।

আগামী ১৭ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্ট দিয়ে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ দলের টেস্ট মিশন। তার আগেই বৃহস্পতিবার মিরপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শান্ত। টেস্ট সিরিজ ও আসন্ন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি তিনি তুলে ধরেন টি-টোয়েন্টি দলের দায়িত্ব ছাড়ার মূল কারণও।

বিজ্ঞাপন

শান্ত বলেন, “আমি নিজে থেকেই বোর্ডকে জানিয়েছিলাম টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দিতে চাই না। কারণ, এখন এত বেশি খেলা হয় যে নিজের ব্যাটিংয়ে সময় দিতে পারছিলাম না। বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে মনোযোগ বাড়াতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বোর্ডও বিষয়টা ইতিবাচকভাবে নিয়েছে।”

শান্তর অনুপস্থিতিতে গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টি-টোয়েন্টি দলকে নেতৃত্ব দেন লিটন দাস। তার অধীনেই হোয়াইটওয়াশ করে সিরিজ জেতে বাংলাদেশ। এরপর লিটনকেই স্থায়ীভাবে টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক করা হয়।

আগামী বছর ভারতে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও লিটন দাস থাকবেন দলের নেতা হিসেবে।

এ বিষয়ে শান্ত বলেন, “যে-ই অধিনায়ক হোক, লম্বা সময় দায়িত্ব পেলে পরিকল্পনা করা সহজ হয়। যেমন আমাকে এক-দেড় বছর ধরে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, এতে বোর্ডের সঙ্গে পরিকল্পনা করাটা সহজ হয়েছে।”

বর্তমানে ওয়ানডে ও টেস্টে দলের নেতৃত্বে থাকা শান্ত জানালেন, বোর্ডও চায় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় এগোতে। “দলের জন্য পরিকল্পনা করতে হলে ক্যাপ্টেনকে বুঝতে হয় কোন কন্ডিশনে কার খেলা দরকার, ব্যাটিং পজিশনে কাকে কোথায় খেলানো যাবে। এসব ভাবতে সময় দরকার। টেস্টে আমরা ভালো শুরু করেছি, আশা করি ওয়ানডেতেও একইভাবে এগোতে পারব,” বলেন শান্ত।

বোর্ডের সঙ্গে সুসম্পর্ক এবং স্পষ্ট পরিকল্পনার ভিত্তিতেই সামনের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন শান্ত। দলকে সফলভাবে পরিচালনার জন্য সময় ও স্থিতিশীলতাই সবচেয়ে বড় সহায় বলে মনে করছেন এই তরুণ অধিনায়ক।