২ গোলে পিছিয়ে থেকেও মেসির ম্যাজিকে সেমিফাইনালে ইন্টার মায়ামি
কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপে অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন দেখালো ইন্টার মায়ামি। কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে লস অ্যাঞ্জেলেস এফসির (এলএএফসি) কাছে ১-০ গোলে হারের পর দ্বিতীয় লেগেও শুরুটা ভালো ছিল না তাদের।
বাংলাদেশ সময় আজ সকালে হওয়া ফিরতি লেগের ৯ মিনিটেই আবার গোল খেয়ে বসে মায়ামি। দুই লেগ মিলিয়ে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে যখন বিদায়ের শঙ্কা ঘনিয়ে আসে, তখনই দৃশ্যপট বদলে দেন লিওনেল মেসি।
মায়ামির ঘরের মাঠে ম্যাচের ৩৫ মিনিটে বক্সের ঠিক বাইরে থেকে বাঁ পায়ের দুর্দান্ত শটে ব্যবধান কমান বিশ্বকাপজয়ী এই আর্জেন্টাইন। ম্যাচে ফিরে এসে ৬১ মিনিটে নোয়াহ অ্যালেনের এক অদ্ভুত গোলেই সমতায় ফেরে মায়ামি। বক্সে ফেদেরিকো রেদোনদোর উদ্দেশে চিপ করেন অ্যালেন, তবে বল লাফিয়ে গোলরক্ষক উগো লরিস ও রেদোনদো দুজনকেই বোকা বানিয়ে চলে যায় জালে।
তখন দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ২-২। কিন্তু অ্যাওয়ে গোলের নিয়মে এগিয়ে ছিল এলএএফসি। ৬৭ মিনিটে মেসির পাস থেকে লুইস সুয়ারেজের হেডে জালে বল জড়ালেও অফসাইডের কারণে সেই গোল বাতিল হয়।
তবে চাপ বাড়িয়ে যেতে থাকে মায়ামি। শেষ পর্যন্ত এলএএফসির ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মারলনের হাতে বল লাগলে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির সিদ্ধান্তে পেনাল্টি পায় মায়ামি। ৮৪ মিনিটে স্পট কিক থেকে দ্বিতীয়বারের মতো উগো লরিসকে পরাস্ত করে দলকে এগিয়ে নেন মেসি। ৩-১ গোলের জয়ে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানে নিশ্চিত হয় মায়ামির সেমিফাইনাল।
ম্যাচের শেষ দিকে এলএএফসি সমতায় ফেরার মরিয়া চেষ্টা চালালেও তাদের হতাশ করে দেন মায়ামির আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক অস্কার উস্তারি। তাঁর দুটি দুর্দান্ত সেভই নিশ্চিত করে মায়ামির সাফল্য।
এই জয়ে কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে উঠল ইন্টার মায়ামি। মেসির দলের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ মেক্সিকোর পুমাস অথবা কানাডার ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপস। এপ্রিলের ২২ থেকে ২৪ তারিখের মধ্যেই হতে পারে সেমির প্রথম লেগ। এখন দেখার অপেক্ষা, মেসির জাদু আরও কতদূর এগিয়ে নিতে পারে মায়ামিকে।