ঢাকা ০৩:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শিক্ষকের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়, এমন কোনো কাজ শিক্ষার্থীদের করা উচিত নয়: শিক্ষা উপদেষ্টা জলমহাল নীতিমালা পরিবর্তন করে প্রকৃত মৎস্যজীবীদের পাবে অগ্রাধিকার: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বাংলাদেশ ব্যাংক পেতে যাচ্ছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছে ১১ জন মেয়ে ও ১৩৫ জন শিশু: শারমিন মুরশিদ চীন ও তুরস্কের সহায়তার অভিযোগ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করল পাকিস্তান লাগামহীন ও অবিশ্বাস্য মাত্রার লুটপাট আওয়ামী লীগ সরকারের বড় দৃষ্টান্ত: আসিফ মাহমুদ সারা দেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১৪৫৪ জন গ্রেপ্তার সব শ্রেণির মানুষের রক্ত-ঘামে জুলাই বিপ্লবের সাফল্য: আসিফ মাহমুদ ট্রাম্পের শুল্কনীতিতে বিপর্যস্ত মার্কিন অর্থনীতি, ছাঁটাই-ব্যয় সংকটে ব্যবসা খাত গাজীপুরে পুকুরে ডুবে দুই কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যু

মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্র থেকে রহস্যময় সংকেত: ডার্ক ম্যাটারের নতুন ইঙ্গিত?

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৩০:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
  • / 29

ছবি: সংগৃহীত

 

বিজ্ঞানীরা মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্রীয় আণবিক অঞ্চল থেকে এক রহস্যময় শক্তির সংকেত শনাক্ত করেছেন। এই শক্তির উৎস সম্পর্কে আরও জানতে এখন গবেষণা চলছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এটি ডার্ক ম্যাটারের কোনো অজানা প্রভাবের ফল হতে পারে, যা আমাদের মহাবিশ্বের গঠন ও রহস্যময়তার এক গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হতে পারে।

যুক্তরাজ্যের কিংস কলেজ লন্ডনের বিজ্ঞানী শ্যাম বালাজি জানান, গ্যালাক্সির কেন্দ্রে বিপুল পরিমাণ পজিটিভ চার্জযুক্ত হাইড্রোজেনের মেঘ রয়েছে। সাধারণত গ্যাস নিরপেক্ষ থাকে, তবে এখানে ইলেকট্রন কোনোভাবে নেগেটিভ চার্জ ধারণের জন্য অতিরিক্ত শক্তি পাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এই অঞ্চলে বিকিরণকারী শক্তি নিশ্চয়ই কোনো নির্দিষ্ট উৎস থেকে আসছে, যা এখনো অজানা।’

ডার্ক ম্যাটার নিয়ে গবেষণা দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। এটি এমন এক রহস্যময় পদার্থ, যা আলোর সঙ্গে কোনো মিথস্ক্রিয়া করে না, তবে মহাকর্ষীয় প্রভাবে এর অস্তিত্ব অনুমান করা যায়। বিজ্ঞানীদের অনেকের বিশ্বাস, মিল্কিওয়ের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে ডার্ক ম্যাটারের রহস্য লুকিয়ে থাকতে পারে।

সবচেয়ে প্রচলিত তত্ত্ব অনুযায়ী, ডার্ক ম্যাটার উইকলি ইন্টারঅ্যাকটিং ম্যাসিভ পার্টিকেলস (WIMPs) নামক কণার মাধ্যমে গঠিত। বিজ্ঞানীদের মতে, ক্ষুদ্র ডার্ক ম্যাটার কণা পরস্পরের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে এবং নতুন চার্জযুক্ত কণা উৎপন্ন করছে। এই নতুন কণা সম্ভবত হাইড্রোজেন গ্যাসকে আয়নিত করছে, যার ফলে মহাকাশে এই ব্যতিক্রমী বিকিরণ তৈরি হচ্ছে।

যেহেতু ডার্ক ম্যাটার এখনো সরাসরি শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি, তাই বিজ্ঞানীরা এই নতুন সংকেত বিশ্লেষণ করে এর প্রকৃতি বোঝার চেষ্টা করছেন। মহাবিশ্বের বৃহত্তম রহস্যগুলোর একটি এই ডার্ক ম্যাটার যদি এই সংকেত তার অস্তিত্বের কোনো নতুন ইঙ্গিত দেয়, তবে তা হবে জ্যোতির্বিজ্ঞানের এক যুগান্তকারী আবিষ্কার।

নিউজটি শেয়ার করুন

মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্র থেকে রহস্যময় সংকেত: ডার্ক ম্যাটারের নতুন ইঙ্গিত?

আপডেট সময় ০১:৩০:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

 

বিজ্ঞানীরা মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্রীয় আণবিক অঞ্চল থেকে এক রহস্যময় শক্তির সংকেত শনাক্ত করেছেন। এই শক্তির উৎস সম্পর্কে আরও জানতে এখন গবেষণা চলছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এটি ডার্ক ম্যাটারের কোনো অজানা প্রভাবের ফল হতে পারে, যা আমাদের মহাবিশ্বের গঠন ও রহস্যময়তার এক গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হতে পারে।

যুক্তরাজ্যের কিংস কলেজ লন্ডনের বিজ্ঞানী শ্যাম বালাজি জানান, গ্যালাক্সির কেন্দ্রে বিপুল পরিমাণ পজিটিভ চার্জযুক্ত হাইড্রোজেনের মেঘ রয়েছে। সাধারণত গ্যাস নিরপেক্ষ থাকে, তবে এখানে ইলেকট্রন কোনোভাবে নেগেটিভ চার্জ ধারণের জন্য অতিরিক্ত শক্তি পাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এই অঞ্চলে বিকিরণকারী শক্তি নিশ্চয়ই কোনো নির্দিষ্ট উৎস থেকে আসছে, যা এখনো অজানা।’

ডার্ক ম্যাটার নিয়ে গবেষণা দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। এটি এমন এক রহস্যময় পদার্থ, যা আলোর সঙ্গে কোনো মিথস্ক্রিয়া করে না, তবে মহাকর্ষীয় প্রভাবে এর অস্তিত্ব অনুমান করা যায়। বিজ্ঞানীদের অনেকের বিশ্বাস, মিল্কিওয়ের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে ডার্ক ম্যাটারের রহস্য লুকিয়ে থাকতে পারে।

সবচেয়ে প্রচলিত তত্ত্ব অনুযায়ী, ডার্ক ম্যাটার উইকলি ইন্টারঅ্যাকটিং ম্যাসিভ পার্টিকেলস (WIMPs) নামক কণার মাধ্যমে গঠিত। বিজ্ঞানীদের মতে, ক্ষুদ্র ডার্ক ম্যাটার কণা পরস্পরের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে এবং নতুন চার্জযুক্ত কণা উৎপন্ন করছে। এই নতুন কণা সম্ভবত হাইড্রোজেন গ্যাসকে আয়নিত করছে, যার ফলে মহাকাশে এই ব্যতিক্রমী বিকিরণ তৈরি হচ্ছে।

যেহেতু ডার্ক ম্যাটার এখনো সরাসরি শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি, তাই বিজ্ঞানীরা এই নতুন সংকেত বিশ্লেষণ করে এর প্রকৃতি বোঝার চেষ্টা করছেন। মহাবিশ্বের বৃহত্তম রহস্যগুলোর একটি এই ডার্ক ম্যাটার যদি এই সংকেত তার অস্তিত্বের কোনো নতুন ইঙ্গিত দেয়, তবে তা হবে জ্যোতির্বিজ্ঞানের এক যুগান্তকারী আবিষ্কার।