ঢাকা ০৬:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শিক্ষকের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়, এমন কোনো কাজ শিক্ষার্থীদের করা উচিত নয়: শিক্ষা উপদেষ্টা জলমহাল নীতিমালা পরিবর্তন করে প্রকৃত মৎস্যজীবীদের পাবে অগ্রাধিকার: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বাংলাদেশ ব্যাংক পেতে যাচ্ছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছে ১১ জন মেয়ে ও ১৩৫ জন শিশু: শারমিন মুরশিদ চীন ও তুরস্কের সহায়তার অভিযোগ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করল পাকিস্তান লাগামহীন ও অবিশ্বাস্য মাত্রার লুটপাট আওয়ামী লীগ সরকারের বড় দৃষ্টান্ত: আসিফ মাহমুদ সারা দেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১৪৫৪ জন গ্রেপ্তার সব শ্রেণির মানুষের রক্ত-ঘামে জুলাই বিপ্লবের সাফল্য: আসিফ মাহমুদ ট্রাম্পের শুল্কনীতিতে বিপর্যস্ত মার্কিন অর্থনীতি, ছাঁটাই-ব্যয় সংকটে ব্যবসা খাত গাজীপুরে পুকুরে ডুবে দুই কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যু
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

মহাকাশ থেকে মানুষের মুখ শনাক্ত! চীনের বিপ্লবাত্মক লেজার ক্যামেরার সাফল্য

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৩৮:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 54

ছবি সংগৃহীত

 

বিশ্বকে চমকে দিয়ে চীন এক অভিনব লেজার ক্যামেরার প্রযুক্তি উন্মোচন করেছে, যা মহাকাশ থেকে মানুষের মুখ পর্যন্ত শনাক্ত করতে সক্ষম। অত্যাধুনিক এই ক্যামেরাটি প্রচলিত স্পাই স্যাটেলাইটের তুলনায় বহুগুণ শক্তিশালী, যা নজরদারি প্রযুক্তির নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।

কেমন কাজ করে এই লেজার ক্যামেরা?

চীনের গবেষকরা উন্নত লেজার প্রযুক্তি ও অত্যাধুনিক ডাটা প্রসেসিং ব্যবস্থার সমন্বয়ে তৈরি করেছেন এই ক্যামেরা। এটি ১০৩ ওয়াটের শক্তিশালী লেজার ব্যবহার করে দূরবর্তী বস্তু স্ক্যান করতে পারে। বিশেষ ৪×৪ মাইক্রো-লেন্স প্রযুক্তির মাধ্যমে অপটিক্যাল ক্ষমতা অনেকগুণ বাড়ানো হয়েছে, যা একে আরও নিখুঁত ও কার্যকর করে তুলেছে।

নজরদারির নতুন মাইলফলক

এই ক্যামেরাটি ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্ব থেকে মাত্র ১.৭ মিলিমিটার আকারের ক্ষুদ্রতম বস্তু শনাক্ত করতে পারে। তুলনামূলকভাবে, মার্কিন লকহিড মার্টিনের স্পাই ক্যামেরাগুলো ১.৬ কিলোমিটার দূর থেকে মাত্র ২০ মিলিমিটার পর্যন্ত বিশদ দেখতে পারে। অর্থাৎ চীনের নতুন লেজার ক্যামেরা মার্কিন প্রযুক্তির চেয়ে বহুগুণ শক্তিশালী।

সামরিক ও গোয়েন্দা নজরদারিতে বিপ্লব

বিশ্লেষকদের মতে, চীনের এই লেজার ক্যামেরা সামরিক গোয়েন্দা নজরদারির ক্ষেত্রে এক নতুন যুগের সূচনা করতে পারে। এটি শত্রু উপগ্রহ, সামরিক ঘাঁটি বা নির্দিষ্ট স্থল লক্ষ্যবস্তুকে অত্যন্ত স্পষ্টভাবে পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম।

দক্ষিণ চীন মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই প্রযুক্তি প্রচলিত স্পাই ক্যামেরা ও টেলিস্কোপের তুলনায় অন্তত ১০০ গুণ উন্নত। অনেকেই মনে করছেন, চীনের এই সাফল্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সামরিক ও গোয়েন্দা প্রতিযোগিতার মাত্রা নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।

বিশ্বে নজরদারির প্রযুক্তি কতটা এগিয়ে যেতে পারে, তা দেখার জন্য এখন সবাই তাকিয়ে আছে চীনের দিকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

মহাকাশ থেকে মানুষের মুখ শনাক্ত! চীনের বিপ্লবাত্মক লেজার ক্যামেরার সাফল্য

আপডেট সময় ০৩:৩৮:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

বিশ্বকে চমকে দিয়ে চীন এক অভিনব লেজার ক্যামেরার প্রযুক্তি উন্মোচন করেছে, যা মহাকাশ থেকে মানুষের মুখ পর্যন্ত শনাক্ত করতে সক্ষম। অত্যাধুনিক এই ক্যামেরাটি প্রচলিত স্পাই স্যাটেলাইটের তুলনায় বহুগুণ শক্তিশালী, যা নজরদারি প্রযুক্তির নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।

কেমন কাজ করে এই লেজার ক্যামেরা?

চীনের গবেষকরা উন্নত লেজার প্রযুক্তি ও অত্যাধুনিক ডাটা প্রসেসিং ব্যবস্থার সমন্বয়ে তৈরি করেছেন এই ক্যামেরা। এটি ১০৩ ওয়াটের শক্তিশালী লেজার ব্যবহার করে দূরবর্তী বস্তু স্ক্যান করতে পারে। বিশেষ ৪×৪ মাইক্রো-লেন্স প্রযুক্তির মাধ্যমে অপটিক্যাল ক্ষমতা অনেকগুণ বাড়ানো হয়েছে, যা একে আরও নিখুঁত ও কার্যকর করে তুলেছে।

নজরদারির নতুন মাইলফলক

এই ক্যামেরাটি ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্ব থেকে মাত্র ১.৭ মিলিমিটার আকারের ক্ষুদ্রতম বস্তু শনাক্ত করতে পারে। তুলনামূলকভাবে, মার্কিন লকহিড মার্টিনের স্পাই ক্যামেরাগুলো ১.৬ কিলোমিটার দূর থেকে মাত্র ২০ মিলিমিটার পর্যন্ত বিশদ দেখতে পারে। অর্থাৎ চীনের নতুন লেজার ক্যামেরা মার্কিন প্রযুক্তির চেয়ে বহুগুণ শক্তিশালী।

সামরিক ও গোয়েন্দা নজরদারিতে বিপ্লব

বিশ্লেষকদের মতে, চীনের এই লেজার ক্যামেরা সামরিক গোয়েন্দা নজরদারির ক্ষেত্রে এক নতুন যুগের সূচনা করতে পারে। এটি শত্রু উপগ্রহ, সামরিক ঘাঁটি বা নির্দিষ্ট স্থল লক্ষ্যবস্তুকে অত্যন্ত স্পষ্টভাবে পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম।

দক্ষিণ চীন মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই প্রযুক্তি প্রচলিত স্পাই ক্যামেরা ও টেলিস্কোপের তুলনায় অন্তত ১০০ গুণ উন্নত। অনেকেই মনে করছেন, চীনের এই সাফল্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সামরিক ও গোয়েন্দা প্রতিযোগিতার মাত্রা নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।

বিশ্বে নজরদারির প্রযুক্তি কতটা এগিয়ে যেতে পারে, তা দেখার জন্য এখন সবাই তাকিয়ে আছে চীনের দিকে।