০৫:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক। ফিফার শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হলেন ট্রাম্প ব্রাজিলে অবতরণের পর আগুনে পুড়ল এয়ারবাস এ-৩২০, অল্পের জন্য রক্ষা পেল যাত্রীরা পাক-আফগান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি, উত্তেজনা চরমে

রোজা অবস্থায় যদি কয়েল বা আগরবাতির ধোঁয়া নাকে যায়, তবে কি রোজা ভঙ্গ হবে?

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:০১:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
  • / 189

ছবি: সংগৃহীত

 

রমজান মাস আত্মশুদ্ধি, সংযম ও তাকওয়া অর্জনের মহান প্রশিক্ষণ। প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিমের জন্য এ মাসে রোজা পালন করা ফরজ। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর, যেন তোমরা পরহেজগারি অর্জন করতে পারো।’ (সুরা বাকারা: ১৮৩)

রমজানের অন্যতম মূল শিক্ষা হলো আত্মনিয়ন্ত্রণ ও আল্লাহভীতি অর্জন। দিনভর রোজা রাখার শক্তি যোগায় সেহরি, আর ইফতারের মাধ্যমে তা পূর্ণতা লাভ করে। তবে রোজা পালনের ক্ষেত্রে কিছু নিয়মকানুন মেনে চলা জরুরি। কারণ, অনিচ্ছাকৃত ভুলের কারণে রোজা ভঙ্গ হয়ে যেতে পারে। তাই প্রত্যেক মুসলিমের রোজা সংক্রান্ত বিধিবিধান সম্পর্কে সচেতন থাকা প্রয়োজন।

বিজ্ঞাপন

পবিত্র কুরআনে আরও বলা হয়েছে, ‘রমজান মাস, যার মধ্যে কুরআন নাজিল করা হয়েছে লোকদের পথপ্রদর্শক এবং হেদায়াতের সুস্পষ্ট বর্ণনারূপে এবং সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারীরূপে। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এ মাস পাবে, সে যেন এ মাসে রোজা রাখে, আর যে পীড়িত কিংবা সফরে আছে, সে অন্য সময় এ সংখ্যা পূরণ করবে।’ (সুরা বাকারা: ১৮৫)

রোজা ভঙ্গের বিষয়ে অনেকের মনে বিভিন্ন প্রশ্ন থাকে। তার মধ্যে একটি সাধারণ প্রশ্ন হলো, রোজা রেখে আগরবাতি বা কয়েলের ধোঁয়া নাকে গেলে রোজা ভঙ্গ হবে কি না?

ইসলামি শিক্ষায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, অনিচ্ছাকৃতভাবে আগরবাতি বা কয়েলের ধোঁয়া নাকে বা গলার ভেতরে প্রবেশ করলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। তবে যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে ধোঁয়া নাকে টেনে নেয়, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে। তাই সচেতনতার জন্য রোজার দিনে আগরবাতি বা কয়েল ব্যবহার না করাই উত্তম।

রমজান আত্মশুদ্ধির মাস, শুধু পানাহার থেকে বিরত থাকা নয়, বরং আত্মসংযম, চরিত্র গঠন এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের এক অনন্য সুযোগ। তাই রোজার গুরুত্ব ও বিধান সম্পর্কে সচেতন থেকে সঠিকভাবে তা পালন করাই উচিত। (সূত্র: কিতাবুল আসল: ২/১৭২; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া: ১/২০৮; মাজমাউল আনহুর: ১/৩৬১)

নিউজটি শেয়ার করুন

রোজা অবস্থায় যদি কয়েল বা আগরবাতির ধোঁয়া নাকে যায়, তবে কি রোজা ভঙ্গ হবে?

আপডেট সময় ০৭:০১:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

 

রমজান মাস আত্মশুদ্ধি, সংযম ও তাকওয়া অর্জনের মহান প্রশিক্ষণ। প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিমের জন্য এ মাসে রোজা পালন করা ফরজ। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর, যেন তোমরা পরহেজগারি অর্জন করতে পারো।’ (সুরা বাকারা: ১৮৩)

রমজানের অন্যতম মূল শিক্ষা হলো আত্মনিয়ন্ত্রণ ও আল্লাহভীতি অর্জন। দিনভর রোজা রাখার শক্তি যোগায় সেহরি, আর ইফতারের মাধ্যমে তা পূর্ণতা লাভ করে। তবে রোজা পালনের ক্ষেত্রে কিছু নিয়মকানুন মেনে চলা জরুরি। কারণ, অনিচ্ছাকৃত ভুলের কারণে রোজা ভঙ্গ হয়ে যেতে পারে। তাই প্রত্যেক মুসলিমের রোজা সংক্রান্ত বিধিবিধান সম্পর্কে সচেতন থাকা প্রয়োজন।

বিজ্ঞাপন

পবিত্র কুরআনে আরও বলা হয়েছে, ‘রমজান মাস, যার মধ্যে কুরআন নাজিল করা হয়েছে লোকদের পথপ্রদর্শক এবং হেদায়াতের সুস্পষ্ট বর্ণনারূপে এবং সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারীরূপে। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এ মাস পাবে, সে যেন এ মাসে রোজা রাখে, আর যে পীড়িত কিংবা সফরে আছে, সে অন্য সময় এ সংখ্যা পূরণ করবে।’ (সুরা বাকারা: ১৮৫)

রোজা ভঙ্গের বিষয়ে অনেকের মনে বিভিন্ন প্রশ্ন থাকে। তার মধ্যে একটি সাধারণ প্রশ্ন হলো, রোজা রেখে আগরবাতি বা কয়েলের ধোঁয়া নাকে গেলে রোজা ভঙ্গ হবে কি না?

ইসলামি শিক্ষায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, অনিচ্ছাকৃতভাবে আগরবাতি বা কয়েলের ধোঁয়া নাকে বা গলার ভেতরে প্রবেশ করলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। তবে যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে ধোঁয়া নাকে টেনে নেয়, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে। তাই সচেতনতার জন্য রোজার দিনে আগরবাতি বা কয়েল ব্যবহার না করাই উত্তম।

রমজান আত্মশুদ্ধির মাস, শুধু পানাহার থেকে বিরত থাকা নয়, বরং আত্মসংযম, চরিত্র গঠন এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের এক অনন্য সুযোগ। তাই রোজার গুরুত্ব ও বিধান সম্পর্কে সচেতন থেকে সঠিকভাবে তা পালন করাই উচিত। (সূত্র: কিতাবুল আসল: ২/১৭২; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া: ১/২০৮; মাজমাউল আনহুর: ১/৩৬১)