মাদরাসা আমাদের ঐতিহ্যের ধারক, এটিকে টিকিয়ে রাখতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা

- আপডেট সময় ০৬:২৮:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
- / 6
ধর্ম বিষয়ক অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, বর্তমানে পরিস্থিতি অনুকূল না হলেও সরকারের একমাত্র লক্ষ্য একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করা এবং নির্বাচিত সরকারের হাতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা হস্তান্তর করা।
মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রামের পটিয়ার শাহচান্দ আউলিয়া কামিল মাদরাসা পরিদর্শন ও হজরত শাহচান্দ আউলিয়ার মাজার জিয়ারতকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, “চারদিকের পরিবেশ আমাদের পক্ষে না থাকলেও আমরা থেমে নেই। মুজাহিদদের কাফেলার মতো আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। কে কী বলল, তা আমাদের গায়ে লাগে না। আমরা কাজ করে যাব।”
মাদরাসার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমি অতি আধুনিকতার বিরুদ্ধে। মাদরাসা থেকেই আলেম-ওলামা, বুজুর্গ, মোহাদ্দেস ও মোফাচ্ছির তৈরি হয়। এসব না হলে একদিন মাদরাসাগুলো স্কুল-কলেজে রূপান্তরিত হয়ে যাবে। মাদরাসা টিকে আছে বলেই আমরা টুপি পরি, দাড়ি রাখি, আজান শুনে মসজিদে ছুটে যাই। মাদরাসাকে বাঁচিয়ে রাখতেই হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা আরবি ভাষার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। যে আরবি ও ইংরেজি জানবে, সে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করতে পারবে। আমরা চাই, মাদরাসা থেকে উচ্চমানের আলেম-ওলামা বেরিয়ে আসুক। আল্লাহর রহমতে এই মাদরাসাগুলোই সমাজ, রাষ্ট্র ও এলাকা বদলে দিতে পারে। আলেমের সম্মান, কোরআন ও হাদিসের বাণী ছড়িয়ে দিতে হবে। আমাদের ঐতিহ্য রক্ষায় সতর্ক থাকতে হবে।”
দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, “আমি নিজে ঘুষ খাই না। আমার সামনে কেউ ঘুষ নিলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেব। তাকে বদলি করে দেব, সে যত বড়ই হোক না কেন। আজ আমাদের সমাজে নৈতিকতার অভাব চরমে পৌঁছেছে একজন চা দোকানদার দেরিতে চা দিলে মার খায়, চাঁদা না দিলে পাথর দিয়ে মারা হয়। এত ওয়াজ-নসিহতের পরও আমাদের মোরালিটি উন্নত হচ্ছে না। আসুন, আমি নিজে আগে ভালো হই, এরপর প্রিন্সিপাল, ইউএনও, সবাই ভালো হবে। সমাজ একদিন ঠিক হয়ে যাবে।”
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন শাহচান্দ আউলিয়া কামিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ সাইফুদ্দীন খালেদ এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সিনিয়র শিক্ষক মোজাফফর আহমেদ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানুর রহমান, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইদ্রিস মিয়া এবং পটিয়া থানার ওসি মো. নুরুজ্জামান।