০৫:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসন অভিযানে ৭১ বাংলাদেশিসহ ৫৯৭ অবৈধ অভিবাসী আটক

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:১৫:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
  • / 105

ছবি সংগৃহীত

 

মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গর রাজ্যের পেতালিং জায়া এলাকার মেনতারি কোর্ট অ্যাপার্টমেন্টে পরিচালিত এক বিশেষ অভিযানে ৭১ জন বাংলাদেশিসহ মোট ৫৯৭ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ ও অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা।

গত বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাত ৯টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত তিন ঘণ্টাব্যাপী এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে প্রায় ১ হাজার ৫৯৭ বিদেশি নাগরিকের কাগজপত্র যাচাই শেষে যাদের বৈধ কাগজ ছিল না কিংবা যাদের ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে, তাদের আটক করা হয়। শুক্রবার (২৩ মে) মালয়েশিয়ার বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশ পায়।

বিজ্ঞাপন

আটককৃতদের মধ্যে ৭১ জন বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন। এছাড়া ইন্দোনেশিয়ার ২০১ জন, মিয়ানমারের ২২৬ জন, পাকিস্তানের ৪৬ জন, নেপালের ৪৪ জন, ভারতের ৮ জন এবং থাইল্যান্ডের একজন নাগরিক রয়েছেন। আটকদের বয়স ১১ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে, যাদের মধ্যে ৪৭২ জন পুরুষ ও ১২৫ জন নারী।

এ অভিযানে অংশ নেয় সেলাঙ্গর, পুত্রজায়া ও কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন বিভাগ, সাধারণ অপারেশন ফোর্স (পিজিএ), জাতীয় নিবন্ধন বিভাগ (জেপিএন), এবং পেতালিং জয়া সিটি কাউন্সিলসহ মোট ৩৯০ জন কর্মকর্তা ও কর্মী।

মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর-জেনারেল (অপারেশনস) দাতুক জাফরি এমবক তাহা জানান, আটককৃতদের মধ্যে কেউ রেস্টুরেন্টে, কেউ মুদির দোকানে বা বিভিন্ন ধরনের ছোট ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে বৈধ কাগজপত্র ছাড়া বসবাস, ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ, অবৈধ পারমিট বহন এবং অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

আটকদের সেমেনিয়াহ ইমিগ্রেশন ডিটেনশন ডিপোতে পাঠানো হয়েছে, যেখানে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মালয়েশিয়ান ইমিগ্রেশন বিভাগ জানিয়েছে, অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্ত ও বহিষ্কারের লক্ষ্যে এ ধরনের অভিযান নিয়মিত চালানো হবে। একইসঙ্গে তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছে, কেউ যদি অবৈধ অভিবাসীকে আশ্রয় বা নিয়োগ দেয়, তবে তার বিরুদ্ধেও কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই অভিযানে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩, পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬ এবং মানব পাচারবিরোধী আইন ২০০৭ প্রয়োগ করা হয়েছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসন অভিযানে ৭১ বাংলাদেশিসহ ৫৯৭ অবৈধ অভিবাসী আটক

আপডেট সময় ১০:১৫:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

 

মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গর রাজ্যের পেতালিং জায়া এলাকার মেনতারি কোর্ট অ্যাপার্টমেন্টে পরিচালিত এক বিশেষ অভিযানে ৭১ জন বাংলাদেশিসহ মোট ৫৯৭ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ ও অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা।

গত বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাত ৯টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত তিন ঘণ্টাব্যাপী এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে প্রায় ১ হাজার ৫৯৭ বিদেশি নাগরিকের কাগজপত্র যাচাই শেষে যাদের বৈধ কাগজ ছিল না কিংবা যাদের ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে, তাদের আটক করা হয়। শুক্রবার (২৩ মে) মালয়েশিয়ার বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশ পায়।

বিজ্ঞাপন

আটককৃতদের মধ্যে ৭১ জন বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন। এছাড়া ইন্দোনেশিয়ার ২০১ জন, মিয়ানমারের ২২৬ জন, পাকিস্তানের ৪৬ জন, নেপালের ৪৪ জন, ভারতের ৮ জন এবং থাইল্যান্ডের একজন নাগরিক রয়েছেন। আটকদের বয়স ১১ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে, যাদের মধ্যে ৪৭২ জন পুরুষ ও ১২৫ জন নারী।

এ অভিযানে অংশ নেয় সেলাঙ্গর, পুত্রজায়া ও কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন বিভাগ, সাধারণ অপারেশন ফোর্স (পিজিএ), জাতীয় নিবন্ধন বিভাগ (জেপিএন), এবং পেতালিং জয়া সিটি কাউন্সিলসহ মোট ৩৯০ জন কর্মকর্তা ও কর্মী।

মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর-জেনারেল (অপারেশনস) দাতুক জাফরি এমবক তাহা জানান, আটককৃতদের মধ্যে কেউ রেস্টুরেন্টে, কেউ মুদির দোকানে বা বিভিন্ন ধরনের ছোট ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে বৈধ কাগজপত্র ছাড়া বসবাস, ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ, অবৈধ পারমিট বহন এবং অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

আটকদের সেমেনিয়াহ ইমিগ্রেশন ডিটেনশন ডিপোতে পাঠানো হয়েছে, যেখানে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মালয়েশিয়ান ইমিগ্রেশন বিভাগ জানিয়েছে, অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্ত ও বহিষ্কারের লক্ষ্যে এ ধরনের অভিযান নিয়মিত চালানো হবে। একইসঙ্গে তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছে, কেউ যদি অবৈধ অভিবাসীকে আশ্রয় বা নিয়োগ দেয়, তবে তার বিরুদ্ধেও কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই অভিযানে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩, পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬ এবং মানব পাচারবিরোধী আইন ২০০৭ প্রয়োগ করা হয়েছে।