সংবিধান সংশোধনে একমত বিএনপি, তবে গণপরিষদের প্রয়োজন নেই

- আপডেট সময় ০৪:০৬:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
- / 36
সংবিধানে প্রয়োজনীয় ও ব্যাপক সংস্কারের পক্ষে মত দিলেও নতুন করে গণপরিষদ গঠনের বিরোধিতা করেছে বিএনপি। দলটির মতে, স্বাধীন বাংলাদেশের বিদ্যমান সংবিধানেই প্রয়োজনীয় সংশোধনের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব।
রোববার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে নিজেদের লিখিত মতামত জমা দেয় বিএনপি। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ এ মতামত কমিশনের কো-চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী রীয়াজের হাতে তুলে দেন।
বক্তব্যে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “আমরা সংবিধানের ব্যাপক সংস্কার চাই। তবে নতুন করে গণপরিষদের প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশ একটি পুরাতন রাষ্ট্র, এখানে নতুন সংবিধান নয়, গণতান্ত্রিক কাঠামোর পুনর্গঠনের মাধ্যমেই বিদ্যমান সংবিধান সংশোধন করা উচিত।”
বিএনপির মতে, সংবিধানের কিছু বিশেষ অনুচ্ছেদে সংশোধন আনতে হলে তখন গণভোটের প্রশ্ন উঠতে পারে, তবে এই মুহূর্তে অগ্রাধিকার হওয়া উচিত একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন।
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে দলটি সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের আদলে ‘লোয়ার জুডিশিয়াল কাউন্সিল’ গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে। এছাড়া প্রশাসনিক সংস্কার সংক্রান্ত ২৬টি সুপারিশের মধ্যে অর্ধেকের বেশি সুপারিশকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে বিএনপি, বাকিগুলোতে ভিন্নমত দিয়েছে।
জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবস্থাপনা ও ভোটার তালিকা তৈরির পূর্ণ দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের হাতেই থাকা উচিত বলে মত দিয়েছে দলটি। পাশাপাশি নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণের এখতিয়ারও ইসির হাতে রাখার পক্ষে তারা।
‘রিপাবলিক’ বা ‘জনগণতান্ত্রিক বাংলাদেশ’ নামে দেশের নতুন নামকরণের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি। দলটি মনে করে, “বাংলাদেশ” নামটি ইতিহাস ও পরিচয়ের অংশ, একে পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই।
নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন ৫০ থেকে বাড়িয়ে ১০০ করার সুপারিশের পক্ষে বিএনপি অবস্থান নিলেও উচ্চকক্ষের সদস্য বাছাইয়ের প্রক্রিয়া নিয়ে দলটির মধ্যে মতভেদ রয়েছে।
ঐকমত্য কমিশন ঈদের পর বিএনপির সঙ্গে পৃথক বৈঠক করবে। রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে একটি ঐকমত্যের খসড়া সনদ প্রণয়ন করা হবে, যা আগামী জাতীয় নির্বাচনের একটি ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হবে।