ঢাকা ১০:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
২১ আগস্ট মামলায় খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের শুনানি শুরু শ্রীমঙ্গলে করলা চাষে বিপ্লব, বদলে যাচ্ছে গ্রামীণ জীবন গণতন্ত্রের পথে ঐকমত্য প্রয়োজন, মতপার্থক্য নয়: আলী রীয়াজ মেয়র পদে ইশরাক হোসেনকে বসানো নিয়ে উত্তপ্ত গুলিস্তান, চলছেই লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষার্থীদের হামলার নিন্দা সারজিস আলমের, ‘ধিক্কার জানাই এমন আচরণে’ সিন্ধু চুক্তি ভাঙার চিন্তা করবেন না, নয়াদিল্লিকে হুঁশিয়ারি পাক প্রধানমন্ত্রীর বাল্যবিবাহ বিরোধী পোস্টের জেরে প্রাণ গেল তরুণের: গ্রেফতার ৬ জন বাজেটে মৎস্য-প্রাণিসম্পদে বাড়তি ভর্তুকি ও ঋণ সুবিধা চান খাতসংশ্লিষ্টরা কুড়িগ্রাম সীমান্তে বজ্রপাতে ১ বিজিবি সদস্য নিহত, আহত আরো ৪ কোটচাঁদপুরে ট্রেনে অভিযান, ৩ কোটির হেরোইন উদ্ধার

ইমরান খানের মুক্তির শর্ত ‘ক্ষমা চাওয়া’, কিন্তু তিনি আপসহীন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:২৬:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫
  • / 32

ছবি সংগৃহীত

 

২০২৩ সালের ৯ মে পাকিস্তানে ঘটে যাওয়া সহিংসতার দায় স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেই কারামুক্তি সম্ভব এমন শর্ত দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের রাজনৈতিক উপদেষ্টা রানা সানাউল্লাহ। তার ভাষায়, ইমরান খান যদি আন্তরিকভাবে ক্ষমা চান, তাহলে আদালতের জামিন মঞ্জুরে সরকারের কোনো আপত্তি থাকবে না।

রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্দি রয়েছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে সেদিন সারাদেশে শুরু হয় ব্যাপক বিক্ষোভ। সরকারি ভবন, সামরিক স্থাপনা ও রাজনৈতিক কার্যালয়েও হামলা হয়। সরকার এই আন্দোলনকে ‘দাঙ্গা’ হিসেবে ঘোষণা করে।

তবে ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, তিনি কোনো ধরনের ক্ষমা চাইবেন না। বরং তিনি আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন। ইতোমধ্যে তিনজন বিচারককে বদলির বিরুদ্ধে তিনি সুপ্রিম কোর্টে রিট করেছেন, যেখানে বিচারকদের প্রতি রাজনৈতিক প্রতিশোধের অভিযোগ এনেছেন তিনি।

পিটিআইয়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, সরকার তাকে রাজনীতি থেকে দূরে সরাতেই একের পর এক মামলা ও বাধা সৃষ্টি করছে। লাহোরের মিনার-ই-পাকিস্তানে দলীয় সমাবেশ করতে চাইলেও প্রশাসন ‘নিরাপত্তাজনিত কারণ’ দেখিয়ে অনুমতি দেয়নি। পিটিআইয়ের নেতাকর্মীরা একে গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করার ষড়যন্ত্র বলে আখ্যায়িত করেছেন।

সরকারি মহলের বক্তব্য, ৯ মে’র ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতেই কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ইমরান খান আপাতত ‘ক্ষমা’ নয়, বরং সম্মান ও ন্যায়বিচারের প্রশ্নে আপসহীন অবস্থানে রয়েছেন। আর সরকারের দিক থেকেও ‘ক্ষমা চাওয়া’র শর্ত দিয়ে পরিস্থিতিকে নিজের অনুকূলে আনার প্রচেষ্টা স্পষ্ট। এই অবস্থায় পাকিস্তানের রাজনীতিতে উত্তাপ আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইমরান খানের মুক্তির শর্ত ‘ক্ষমা চাওয়া’, কিন্তু তিনি আপসহীন

আপডেট সময় ০১:২৬:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

 

২০২৩ সালের ৯ মে পাকিস্তানে ঘটে যাওয়া সহিংসতার দায় স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেই কারামুক্তি সম্ভব এমন শর্ত দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের রাজনৈতিক উপদেষ্টা রানা সানাউল্লাহ। তার ভাষায়, ইমরান খান যদি আন্তরিকভাবে ক্ষমা চান, তাহলে আদালতের জামিন মঞ্জুরে সরকারের কোনো আপত্তি থাকবে না।

রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্দি রয়েছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে সেদিন সারাদেশে শুরু হয় ব্যাপক বিক্ষোভ। সরকারি ভবন, সামরিক স্থাপনা ও রাজনৈতিক কার্যালয়েও হামলা হয়। সরকার এই আন্দোলনকে ‘দাঙ্গা’ হিসেবে ঘোষণা করে।

তবে ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, তিনি কোনো ধরনের ক্ষমা চাইবেন না। বরং তিনি আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন। ইতোমধ্যে তিনজন বিচারককে বদলির বিরুদ্ধে তিনি সুপ্রিম কোর্টে রিট করেছেন, যেখানে বিচারকদের প্রতি রাজনৈতিক প্রতিশোধের অভিযোগ এনেছেন তিনি।

পিটিআইয়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, সরকার তাকে রাজনীতি থেকে দূরে সরাতেই একের পর এক মামলা ও বাধা সৃষ্টি করছে। লাহোরের মিনার-ই-পাকিস্তানে দলীয় সমাবেশ করতে চাইলেও প্রশাসন ‘নিরাপত্তাজনিত কারণ’ দেখিয়ে অনুমতি দেয়নি। পিটিআইয়ের নেতাকর্মীরা একে গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করার ষড়যন্ত্র বলে আখ্যায়িত করেছেন।

সরকারি মহলের বক্তব্য, ৯ মে’র ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতেই কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ইমরান খান আপাতত ‘ক্ষমা’ নয়, বরং সম্মান ও ন্যায়বিচারের প্রশ্নে আপসহীন অবস্থানে রয়েছেন। আর সরকারের দিক থেকেও ‘ক্ষমা চাওয়া’র শর্ত দিয়ে পরিস্থিতিকে নিজের অনুকূলে আনার প্রচেষ্টা স্পষ্ট। এই অবস্থায় পাকিস্তানের রাজনীতিতে উত্তাপ আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।