আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি নাগরিক পার্টির: নাহিদ ইসলাম

- আপডেট সময় ০৪:০০:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
- / ৫১৫ বার পড়া হয়েছে
আওয়ামী লীগকে ‘গণহত্যাকারী ও ফ্যাসিস্ট’ দল আখ্যা দিয়ে দ্রুত বিচার এবং দলটি নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল শুক্রবার (২১ মার্চ) রাজধানীর বাংলামোটরে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, “জুলাই গণহত্যা, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বরের ট্রাজেডি, গুম, ক্রসফায়ার ও ভোট ডাকাতির মতো ভয়াবহ অপরাধের বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এনসিপি রাজপথে থাকবে। আওয়ামী লীগকে রাজনীতির ময়দান থেকে চিরতরে বিদায় দিতে হবে।”
নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা সম্প্রতি বলেছেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের কোনো পরিকল্পনা নেই। আমরা এ বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। এ ধরনের মন্তব্য বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে এবং ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থানে সহায়ক হয়।”
জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, “জুলাই মাসে সংঘটিত অপরাধ আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এরপরও বিচারিক কার্যক্রমে অগ্রগতি না থাকায় আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।”
তিনি আরও জানান, “আওয়ামী লীগ কোনো গণতান্ত্রিক দল নয়। এটি একটি সুপরিকল্পিত ফ্যাসিস্ট সংগঠন, যারা রাষ্ট্রক্ষমতা ব্যবহার করে ধারাবাহিকভাবে জনগণের ওপর জুলুম চালিয়েছে। নির্বাচনের মাধ্যমে নয়, বরং ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমেই এদের পতন ঘটেছে।”
এনসিপি ঘোষণা দিয়েছে, বিচারের আগে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া যাবে না এবং দলটির নিবন্ধন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। একই সঙ্গে ফ্যাসিবাদী শাসনের সময় যারা সহযোগিতা করেছে, তাদেরও নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ‘জুলাই সনদ’-এর ভিত্তিতে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক শক্তিগুলোর ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানায় এনসিপি। দলের উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেন, “লড়াইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়ের জন্য আমরা প্রস্তুত। নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”