ঢাকা ০৮:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ নেতার তিন দিনের রিমান্ড, গ্রেপ্তার দেখানো হলো আরও এক নেত্রীকে সরকারি তিন দপ্তরে শীর্ষ পদে রদবদল শক্তিশালী ষড়যন্ত্রের ছায়ায় বেলুচিস্তানে ট্রেন ছিনতাই, রাষ্ট্রীয় শক্তির জড়িত থাকা নিয়ে সন্দেহ বৃষ্টি ও বজ্রপাতের পূর্বাভাস, তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা দুই বিভাগে মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটি দুইবার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে’, অবস্থা আরো অবনতির পথে রংপুরে একযুগ পর শিবির নেতা আশিকুর রহমান হত্যার বিচার চেয়ে আ. লীগের দুই সাবেক এমপির নামে মামলা বিশিষ্ট শিল্পপতি সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক প্রকাশ সিগারেটের ব্যবহার কমানোর জন্য ট্যাক্স বাড়ানো যথেষ্ট নয়: শফিকুল আলম শাহবাগীদের কারণে ‘গডমাদার অফ ফ্যাসিজম’ হলেন হাসিনা: শিবির সভাপতি ঝিনাইদহের শৈলকুপায় দ্বন্দ্বের জেরে সংঘর্ষ, আহত ১৪

সংস্কারের প্রয়োজন শুধু ক্ষমতা সীমাবদ্ধতায় নয়, জনগণের মৌলিক চাহিদায়ও: তারেক রহমান

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

ক্ষমতার অপব্যবহার রোধে একজন ব্যক্তি পরপর দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না এমন আইন প্রণয়ন কি কেবলমাত্র সংস্কার? এ প্রশ্ন তুলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার অবশ্যই প্রয়োজন, তবে এটিই কি একমাত্র সংস্কারের পথ? বাজারব্যবস্থা, চিকিৎসাব্যবস্থা, শিক্ষাব্যবস্থা এসবের উন্নয়নও সংস্কারের অংশ হওয়া উচিত।

মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশান শুটিং ক্লাবে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) আয়োজিত এক ইফতার অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বুদ্ধিজীবী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

তারেক রহমান বলেন, “বিশ কোটি মানুষের দেশে ন্যূনতম চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা কি সংস্কার নয়? বাজার ও উৎপাদনব্যবস্থার উন্নয়ন কি সংস্কারের আওতায় পড়ে না?” তিনি প্রশ্ন তোলেন, শুধুমাত্র রাজনৈতিক কাঠামো সংস্কারের মাধ্যমে কি দেশের উন্নয়ন সম্ভব? বরং, মানুষের দৈনন্দিন জীবনমান উন্নত করাই প্রকৃত সংস্কার হওয়া উচিত।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থা যদি দুর্বল হয়, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কীভাবে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকবে? শিক্ষা সংস্কার ছাড়া একটি সমৃদ্ধিশালী দেশ গড়া সম্ভব নয়। প্রতিটি রাজনৈতিক দলেরই এ নিয়ে সুস্পষ্ট কর্মপরিকল্পনা থাকা উচিত।

তারেক রহমান মনে করেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের স্থিতিশীলতা ও কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি নিশ্চিত করা না গেলে দেশের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। পাশাপাশি, পরিবেশদূষণ প্রতিরোধে জরুরি সংস্কার প্রয়োজন।
তিনি বলেন, “বায়ুদূষণ, শব্দদূষণসহ নানা পরিবেশগত সমস্যায় বাংলাদেশ হুমকির মুখে। প্রতিবছর লাখো মানুষ এসব দূষণের ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। রাজনৈতিক দলগুলোকে জাতির সামনে পরিবেশ রক্ষায় সুস্পষ্ট পরিকল্পনা উপস্থাপন করতে হবে।”

তারেক রহমানের মতে, শুধু রাজনৈতিক পরিবর্তন নয়, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংস্কারের দিকেও সমান গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি বলেন, “মানুষের সমস্যা সমাধান না করে শুধুমাত্র ক্ষমতার রদবদল সংস্কার হিসেবে দেখলে, প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়।”

অনুষ্ঠানে এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:১৪:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
৫১১ বার পড়া হয়েছে

সংস্কারের প্রয়োজন শুধু ক্ষমতা সীমাবদ্ধতায় নয়, জনগণের মৌলিক চাহিদায়ও: তারেক রহমান

আপডেট সময় ১১:১৪:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

 

ক্ষমতার অপব্যবহার রোধে একজন ব্যক্তি পরপর দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না এমন আইন প্রণয়ন কি কেবলমাত্র সংস্কার? এ প্রশ্ন তুলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার অবশ্যই প্রয়োজন, তবে এটিই কি একমাত্র সংস্কারের পথ? বাজারব্যবস্থা, চিকিৎসাব্যবস্থা, শিক্ষাব্যবস্থা এসবের উন্নয়নও সংস্কারের অংশ হওয়া উচিত।

মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশান শুটিং ক্লাবে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) আয়োজিত এক ইফতার অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বুদ্ধিজীবী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

তারেক রহমান বলেন, “বিশ কোটি মানুষের দেশে ন্যূনতম চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা কি সংস্কার নয়? বাজার ও উৎপাদনব্যবস্থার উন্নয়ন কি সংস্কারের আওতায় পড়ে না?” তিনি প্রশ্ন তোলেন, শুধুমাত্র রাজনৈতিক কাঠামো সংস্কারের মাধ্যমে কি দেশের উন্নয়ন সম্ভব? বরং, মানুষের দৈনন্দিন জীবনমান উন্নত করাই প্রকৃত সংস্কার হওয়া উচিত।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থা যদি দুর্বল হয়, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কীভাবে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকবে? শিক্ষা সংস্কার ছাড়া একটি সমৃদ্ধিশালী দেশ গড়া সম্ভব নয়। প্রতিটি রাজনৈতিক দলেরই এ নিয়ে সুস্পষ্ট কর্মপরিকল্পনা থাকা উচিত।

তারেক রহমান মনে করেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের স্থিতিশীলতা ও কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি নিশ্চিত করা না গেলে দেশের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। পাশাপাশি, পরিবেশদূষণ প্রতিরোধে জরুরি সংস্কার প্রয়োজন।
তিনি বলেন, “বায়ুদূষণ, শব্দদূষণসহ নানা পরিবেশগত সমস্যায় বাংলাদেশ হুমকির মুখে। প্রতিবছর লাখো মানুষ এসব দূষণের ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। রাজনৈতিক দলগুলোকে জাতির সামনে পরিবেশ রক্ষায় সুস্পষ্ট পরিকল্পনা উপস্থাপন করতে হবে।”

তারেক রহমানের মতে, শুধু রাজনৈতিক পরিবর্তন নয়, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংস্কারের দিকেও সমান গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি বলেন, “মানুষের সমস্যা সমাধান না করে শুধুমাত্র ক্ষমতার রদবদল সংস্কার হিসেবে দেখলে, প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়।”

অনুষ্ঠানে এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।