ঢাকা ০৮:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নেপালের কাঠমান্ডুতে রাজতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে বিশাল মিছিল, রাজনীতির প্রতি হতাশ জনতা শিরোপা দৌড়ে পিছিয়ে পড়েও আশা ছাড়ছে না আর্সেনাল কোচ মিকেল আর্তেতা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণ মামলার নিষ্পত্তির দাবি, ন্যায়বিচারের দাবিতে তীব্র প্রতিবাদ কারা অধিদপ্তরে শৃঙ্খলা ভঙ্গের কঠোর শাস্তি: চাকরিচ্যুত ১২, বরখাস্ত ৮৪ কর্মকর্তা পাচার হওয়া টাকা ফেরাতে নতুন আইন আসছে শিগগিরই: প্রেস সচিব দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ২১.৪০ বিলিয়ন ডলার- রেমিট্যান্স প্রবাহ অব্যাহত, অর্থনীতিতে স্বস্তি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে আগুন: ফায়ার সার্ভিসের তড়িৎ অভিযানে নিয়ন্ত্রণ রাঙামাটিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ: ৫ দফা দাবিতে উত্তাল প্রতিবাদ সমাবেশ ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন: প্রস্তুতিতে ব্যস্ত, নির্বাচনী সূচি অটল রাখতে বদ্ধপরিকর নির্বাচন কমিশন মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধে জয়ের অঙ্গীকার কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির

নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরীরের প্রকাশ্য শোডাউন: জনমনে উদ্বেগ, পুলিশের কঠোর অবস্থান

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি: সংগৃহীত

 

নিষিদ্ধ ঘোষিত উগ্রপন্থী সংগঠন হিজবুত তাহরীরের প্রকাশ্য শোডাউন নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে জনমনে। শুক্রবার (৭ মার্চ) রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকায় সংগঠনটির কর্মীদের প্রকাশ্য মিছিল ও স্লোগানকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে গিয়ে পুলিশ ২১ জনকে আটক করে।

২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর এক প্রেসনোটের মাধ্যমে বাংলাদেশে হিজবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর বেশ কয়েক বছর সংগঠনটি আত্মগোপনে থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে তারা আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ৭ আগস্ট সংসদ ভবনের সামনে প্রকাশ্যে সমাবেশের পর ৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি তোলে তারা।

শুধু তাই নয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি উপেক্ষা করেই তারা বায়তুল মোকাররম এলাকায় শোডাউনের মাধ্যমে নিজেদের উপস্থিতি জানান দেয়। তবে পুলিশের তৎপরতায় দ্রুতই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী জানান, সংগঠনটির কর্মীরা হঠাৎ করেই বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট দিয়ে প্রবেশ করে এবং সাধারণ মুসল্লিদের থেকে আলাদা হয়ে শোডাউন শুরু করে। তখনই পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নেয় এবং শৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তিনি স্পষ্ট করেন, নিষিদ্ধ কোনো সংগঠনের তৎপরতা আইন পরিপন্থী, এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিষিদ্ধ উগ্রপন্থী সংগঠনগুলোর এমন প্রকাশ্য কার্যক্রম সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে। এক নারী জানান, “এ ধরনের সংগঠন প্রকাশ্যে আসা মানে আমাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। আমরা চাই না জঙ্গি সংগঠনগুলো ফের সক্রিয় হোক।”

এদিকে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধুমাত্র দমননীতি কার্যকর না করে, সংশ্লিষ্টদের কাউন্সেলিং এবং পুনর্বাসনের দিকে মনোযোগ দেওয়া দরকার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবিএম নাজমুস সাকিব বলেন, “এই সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বোঝানো দরকার যে তাদের কার্যক্রম সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে। কেবল জোর প্রয়োগ করে বিশ্বাস দমন করা সম্ভব নয়।”

৫ আগস্টের পর শীর্ষ সন্ত্রাসীদের মুক্তির পাশাপাশি নিষিদ্ধ সংগঠনগুলোর প্রকাশ্যে আসার প্রবণতা নিয়ে নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এসব কার্যক্রম কঠোরভাবে দমন করতে হবে, পাশাপাশি সামাজিক পুনর্বাসনের মাধ্যমেও কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:৪৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
৫১১ বার পড়া হয়েছে

নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরীরের প্রকাশ্য শোডাউন: জনমনে উদ্বেগ, পুলিশের কঠোর অবস্থান

আপডেট সময় ১১:৪৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

 

নিষিদ্ধ ঘোষিত উগ্রপন্থী সংগঠন হিজবুত তাহরীরের প্রকাশ্য শোডাউন নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে জনমনে। শুক্রবার (৭ মার্চ) রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকায় সংগঠনটির কর্মীদের প্রকাশ্য মিছিল ও স্লোগানকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে গিয়ে পুলিশ ২১ জনকে আটক করে।

২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর এক প্রেসনোটের মাধ্যমে বাংলাদেশে হিজবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর বেশ কয়েক বছর সংগঠনটি আত্মগোপনে থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে তারা আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ৭ আগস্ট সংসদ ভবনের সামনে প্রকাশ্যে সমাবেশের পর ৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি তোলে তারা।

শুধু তাই নয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি উপেক্ষা করেই তারা বায়তুল মোকাররম এলাকায় শোডাউনের মাধ্যমে নিজেদের উপস্থিতি জানান দেয়। তবে পুলিশের তৎপরতায় দ্রুতই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী জানান, সংগঠনটির কর্মীরা হঠাৎ করেই বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট দিয়ে প্রবেশ করে এবং সাধারণ মুসল্লিদের থেকে আলাদা হয়ে শোডাউন শুরু করে। তখনই পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নেয় এবং শৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তিনি স্পষ্ট করেন, নিষিদ্ধ কোনো সংগঠনের তৎপরতা আইন পরিপন্থী, এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিষিদ্ধ উগ্রপন্থী সংগঠনগুলোর এমন প্রকাশ্য কার্যক্রম সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে। এক নারী জানান, “এ ধরনের সংগঠন প্রকাশ্যে আসা মানে আমাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। আমরা চাই না জঙ্গি সংগঠনগুলো ফের সক্রিয় হোক।”

এদিকে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধুমাত্র দমননীতি কার্যকর না করে, সংশ্লিষ্টদের কাউন্সেলিং এবং পুনর্বাসনের দিকে মনোযোগ দেওয়া দরকার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবিএম নাজমুস সাকিব বলেন, “এই সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বোঝানো দরকার যে তাদের কার্যক্রম সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে। কেবল জোর প্রয়োগ করে বিশ্বাস দমন করা সম্ভব নয়।”

৫ আগস্টের পর শীর্ষ সন্ত্রাসীদের মুক্তির পাশাপাশি নিষিদ্ধ সংগঠনগুলোর প্রকাশ্যে আসার প্রবণতা নিয়ে নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এসব কার্যক্রম কঠোরভাবে দমন করতে হবে, পাশাপাশি সামাজিক পুনর্বাসনের মাধ্যমেও কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।