কূটনীতিকদের উপস্থিতিতে জামায়াতের ইফতার, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারের দাবি
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রোপরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন ভিত্তিক নির্বাচনব্যবস্থা চালুর প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। তিনি বলেন, “এই ব্যবস্থা জনগণের প্রকৃত মতামত প্রতিফলিত করবে এবং ফ্যাসিবাদী শাসনের পুনরাবৃত্তি রোধ করবে।”
শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে কূটনীতিকদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে জামায়াত আমির এসব কথা বলেন। এতে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াতে ইসলামী গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক চর্চায় বিশ্বাসী এবং অতীতেও নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কাজ করেছে। তিনি উল্লেখ করেন, ৯০-এর দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে দলটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার পক্ষে জনমত গঠনে কাজ করেছিল। তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের লাখ লাখ প্রবাসী নাগরিকদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা জরুরি। তাদের মতামত দেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।”
জামায়াতের আমির জানান, ২০১৪ সালের পর থেকে দলটি কূটনীতিকদের সম্মানে ইফতার আয়োজন করতে পারেনি। তিনি অভিযোগ করেন, “আমরা যখনই ভেন্যু ঠিক করি বা অতিথিদের আমন্ত্রণ জানাই, তখনই সরকারের বাধার মুখে তা বাতিল করতে হয়।” দীর্ঘ ১১ বছর পর এবার ইফতার আয়োজনের সুযোগ পাওয়াকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন তিনি।
ইফতার অনুষ্ঠানে ব্রিটেন, ফ্রান্স, চীন, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, তুরস্ক, পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড, কানাডা, ব্রাজিল, মালয়েশিয়া, ভুটানসহ প্রায় ২৫টি দেশের কূটনীতিকরা অংশ নেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রতিনিধি, আইআরআই ও এনডিপির আবাসিক প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের মধ্যে নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, মাওলানা এ টি এম মা’ছুমসহ কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেন। এই ইফতার মাহফিলকে জামায়াতের জন্য এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হিসেবে দেখছেন দলের নেতারা।