০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
নতুন ফাঁস হওয়া নথিতে ইসরায়েলের সঙ্গে অ্যামাজন ও গুগলের গোপন চুক্তি উন্মোচিত তাইওয়ানে প্রথমবারের মতো প্রো ইসরাইলি লবি AIPAC প্রতিনিধিদলের সফর প্রবল বর্ষণে নিউইয়র্ক ও নিউ জার্সির রাস্তাঘাট প্লাবিত, যানবাহন ডুবে গেছে পানিতে নিরাপত্তা হুমকিতে সামরিক ঘাঁটিতে আশ্রয় নিলেন ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা ‘পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত এক দখলদার দানব’ — যুক্তরাষ্ট্রকে কটাক্ষ ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে সম্মত পাকিস্তান-আফগানিস্তান, তুরস্ক-কাতারের মধ্যস্থতায় সমঝোতা প্রথম উড্ডয়ন সম্পন্ন করল নাসার নীরব সুপারসনিক জেট X-59 ‘হ্যাঁ’–‘না’ পোস্টে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া ইবতেদায়ী শিক্ষকদের মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দিলো পুলিশ জুলাই সনদে সাইন করে ভুল করেছেন, এখন কাফফারা দিন: বিএনপিকে নাসীরুদ্দীন

জুলাই সনদের ভিত্তিতেই আগামী নির্বাচন হবে: তাহের

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৩০:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / 128

ছবি: সংগৃহীত

পাঁচটি প্রস্তাবের ভিত্তিতেই আশা করি জুলাই সনদ বাস্তবায়ন হবে-এ কথা জানিয়ে জামায়াতে ইসলামের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, জুলাই সনদের ভিত্তিতেই আগামী নির্বাচন হবে।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আলোচনায় এসব কথা জানান তিনি।

এদিকে বৈঠকে গণভোট, বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ, অধ্যাদেশ ও নিবার্হী আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

বিজ্ঞাপন

প্রস্তাবে বলা হয়, জুলাই সনদের সংবিধানের বিষয়গুলো বাস্তবায়নে দলগুলোর বিভিন্ন প্রস্তাব দেয়।

কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়, জুলাই সনদের সংবিধানের বিষয়গুলো বাস্তবায়নে দলগুলো বিভিন্ন প্রস্তাব দেয়। সেগুলোর মধ্যে পূর্ণাঙ্গ সনদ বা তাঁর কিছু অংশ নিয়ে গণভোট অনুষ্ঠান; রাষ্ট্রপতির নির্বাহী ক্ষমতা বলে বিশেষ সাংবিধানিক আদেশে বাস্তবায়ন করা; নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণপরিষদ গঠন করে প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক ব্যবস্থা করা; ত্রয়োদশ সংসদে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন; সংসদকে সংবিধান সংস্কার সভারূপে প্রতিষ্ঠিত করে সনদের বিষয়গুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা এবং সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের কাছে এই মর্মে মতামত চাওয়া যে, অন্তর্বর্তী সরকার এই সনদ বাস্তবায়ন করতে পারবে কি না।

দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে ঐকমত্য কমিশনের বিশেষজ্ঞ প্যানেল একাধিক বৈঠকে বিভিন্ন ধরনের বিকল্প বিবেচনা করে প্রাথমিকপর্যায়ে পাঁচ পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের জন্যে সুপারিশ করে- এগুলো হচ্ছে অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ, গণভোট, বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ এবং ১০৬ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের মতামত চাওয়া।

দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে ঐকমত্য কমিশনের বিশেষজ্ঞ প্যানেল একাধিক বৈঠকে বিভিন্ন ধরনের বিকল্প বিবেচনা করে প্রাথমিক পর্যায়ে পাঁচ পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের জন্যে সুপারিশ করে। এগুলো হচ্ছে অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ, গণভোট, বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ এবং ১০৬ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের মতামত চাওয়া। পরবর্তীতে আরো বিস্তারিত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫-এ অন্তর্ভুক্ত হওয়া বিষয়সমূহকে (যার মধ্যে ভিন্নমত/ নোট অব ডিসেন্ট আছে) সেগুলো চার উপায়ে বাস্তবায়নের জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। সেগুলো হলো অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ, গণভোট এবং বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ।

বিশেষ সাংবিধানিক আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদের বাস্তবায়ন চায় জামায়াতে ইসলামী। আদালতের মতামত নিয়ে আগামী সংসদ সংস্কার বাস্তবায়নে বাধ্য করবে এমন আইনের প্রস্তাব গণসংহতি আন্দোলনের। অন্যদিকে আগামী সংসদেই বাস্তবায়ন চায় বিপ্লবী ওয়ার্কর্স পার্টি।

বিষয় :

নিউজটি শেয়ার করুন

জুলাই সনদের ভিত্তিতেই আগামী নির্বাচন হবে: তাহের

আপডেট সময় ০৫:৩০:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পাঁচটি প্রস্তাবের ভিত্তিতেই আশা করি জুলাই সনদ বাস্তবায়ন হবে-এ কথা জানিয়ে জামায়াতে ইসলামের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, জুলাই সনদের ভিত্তিতেই আগামী নির্বাচন হবে।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আলোচনায় এসব কথা জানান তিনি।

এদিকে বৈঠকে গণভোট, বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ, অধ্যাদেশ ও নিবার্হী আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

বিজ্ঞাপন

প্রস্তাবে বলা হয়, জুলাই সনদের সংবিধানের বিষয়গুলো বাস্তবায়নে দলগুলোর বিভিন্ন প্রস্তাব দেয়।

কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়, জুলাই সনদের সংবিধানের বিষয়গুলো বাস্তবায়নে দলগুলো বিভিন্ন প্রস্তাব দেয়। সেগুলোর মধ্যে পূর্ণাঙ্গ সনদ বা তাঁর কিছু অংশ নিয়ে গণভোট অনুষ্ঠান; রাষ্ট্রপতির নির্বাহী ক্ষমতা বলে বিশেষ সাংবিধানিক আদেশে বাস্তবায়ন করা; নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণপরিষদ গঠন করে প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক ব্যবস্থা করা; ত্রয়োদশ সংসদে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন; সংসদকে সংবিধান সংস্কার সভারূপে প্রতিষ্ঠিত করে সনদের বিষয়গুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা এবং সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের কাছে এই মর্মে মতামত চাওয়া যে, অন্তর্বর্তী সরকার এই সনদ বাস্তবায়ন করতে পারবে কি না।

দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে ঐকমত্য কমিশনের বিশেষজ্ঞ প্যানেল একাধিক বৈঠকে বিভিন্ন ধরনের বিকল্প বিবেচনা করে প্রাথমিকপর্যায়ে পাঁচ পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের জন্যে সুপারিশ করে- এগুলো হচ্ছে অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ, গণভোট, বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ এবং ১০৬ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের মতামত চাওয়া।

দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে ঐকমত্য কমিশনের বিশেষজ্ঞ প্যানেল একাধিক বৈঠকে বিভিন্ন ধরনের বিকল্প বিবেচনা করে প্রাথমিক পর্যায়ে পাঁচ পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের জন্যে সুপারিশ করে। এগুলো হচ্ছে অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ, গণভোট, বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ এবং ১০৬ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের মতামত চাওয়া। পরবর্তীতে আরো বিস্তারিত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫-এ অন্তর্ভুক্ত হওয়া বিষয়সমূহকে (যার মধ্যে ভিন্নমত/ নোট অব ডিসেন্ট আছে) সেগুলো চার উপায়ে বাস্তবায়নের জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। সেগুলো হলো অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ, গণভোট এবং বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ।

বিশেষ সাংবিধানিক আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদের বাস্তবায়ন চায় জামায়াতে ইসলামী। আদালতের মতামত নিয়ে আগামী সংসদ সংস্কার বাস্তবায়নে বাধ্য করবে এমন আইনের প্রস্তাব গণসংহতি আন্দোলনের। অন্যদিকে আগামী সংসদেই বাস্তবায়ন চায় বিপ্লবী ওয়ার্কর্স পার্টি।