ঢাকা ০৪:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মসজিদের বারান্দা নির্মাণ নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ-বাড়িঘর ভাঙচুর, ১৪৪ ধারা জারি ফিলিস্তিন সংকট নিয়ে সম্মেলনে,যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সনদের প্রাথমিক খসড়া কমিশন তৈরি করেছে সোমবার দলগুলো হাতে পাবে : আলী রীয়াজ নোয়াখালীর এক পুকুর থেকে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার ট্রাম্প ও ইব্রাহিমের প্রস্তাবে সম্মত হলেও কম্বোডিয়া-থাইল্যান্ড সীমান্তে মৃত্যু থামছে না সমাজে ছেয়ে গেছে সন্ত্রাস : নাহিদ ইসলাম বার বার ভাঙনে অস্থিত্ব সংকটে অনেক রাজনৈতিক দল ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার অস্ত্রবিরতির আলোচনা ইসরায়েলের হামলা ও অবরোধে গাজায় একদিনেই ৭১ জনের প্রাণহানি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে হেফাজতের বৈঠক: নীতিগত আলোচনা

বার বার ভাঙনে অস্থিত্ব সংকটে অনেক রাজনৈতিক দল

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:০৮:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫
  • / 9

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশের বামপন্থী ও ডানপন্থী উভয় পন্থী দলগুলো বার বার ভাঙনের মুখে অস্থিত্ব সংকটে পড়েছে। অনেক ছোট হয়ে গেছে দলগুলি। পাশাপাশি একই নামে অনেক দল থাকায় পরিচয় সংকটে দলের নেতাকর্মীরা। ভাঙনের কারণে বাংলাদেশে একই নামে অনেকগুলো রাজনৈতিক দল রয়েছে। দলগুলোর নাম এক হলেও তারা দৃশত আলাদা দল।

স্বাধীনতার আগে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) এবং স্বাধীনতার পরে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি সহ বেশ কয়েকটি দল বার বার ভাঙনের মুখে পড়েছে। দলগুলো ভেঙ্গে গেলোও একই নাম থাকে উভয় পক্ষের। এছাড়া তাদের ছাত্র সংগঠনের নামও একই থাকে ফলে সৃষ্টি হয় পরিচয় সংকট। ন্যাপ প্রথমে ভাঙনের পর ন্যাপ ভাসানী ও ন্যাপ মোজাফ্ফর নামে দুটি স্রোতধারার সৃষ্টি হয়। প্রথমটি চীনপন্থি এবং পরেরটি মস্কোপন্থি । এ দুটির নেতৃত্ব ভেঙে পরে একাধিক দল তৈরী হয়।

আমাদের লক্ষ্য বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র শ্লোগানে গড়ে ওঠা জাসদ ভেঙ্গেছে একাধিক বার। ১৯৭২ সালে গঠিত জাসদ ভেঙ্গে প্রথমে দুই ধারা সৃষ্টি হয়। জাসদ (রব) ও জাসদ (সিরাজ) নামে পরিচিতি লাভ করে জাসদের দুই অংশ। শাহাজাহান সিরাজের নেতৃত্বে যে অংশটি ছিলো সেটিও ছিলো জাসদ আবার আ.স.ম আব্দুর রবের নেতৃত্বে যে অংশ ছিলো তার নাম জাসদ। পরে জাসদ (ইনু) নামে আরেকটি নেতৃত্ব সৃষ্টি হয়। খালেকুজ্জামান চৌধুরীর নেতৃত্বে জাসদ ভেঙে বাসদের সৃষ্টি হয়। ভাঙাভাঙির মুখে অনেক নেতাই বিভিন্ন নামে দল গঠন করেন। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিও বিপ্লব প্রতিবিপ্লবে একাধিক ভাবে বিভক্ত। মার্কবাদী বা মাওবাদী রাজনৈতিক দলের পাশপাশি ডানপন্থী দলগুলোও ভেঙ্গেছে অনেক বার। সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসাইন মহম্মদ এরশাদের দল জাতীয় পার্টির এখন ৬ ভাগে বিভক্ত। এর মধ্যে তিনটি দল নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত। সেগুলো হলো জাতীয় পার্টি (জি এম কাদের), জাতীয় পার্টি (জেপি), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি)। অন্য দলগুলো হচ্ছে জাতীয় পার্টি (রওশন), জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), জাতীয় পার্টি (আনিসুল-হাওলাদার)।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল নামেও একাধিক দল রয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (বাংলাদেশ জাসদ), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মাহবুব), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (রেজা) উল্লেখযোগ্য।
বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (দিলীপ বড়ুয়া), সাম্যবাদী দল (জাকির)। সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করে মন্ত্রী হয়েছিলেন। গণতন্ত্রী পার্টি নামে দুটি দলের দেখা পাওয়া গেছে। দল দুুটি হলো গণতন্ত্রী পার্টি (শাহাদাৎ) ও গণতন্ত্রী পার্টি (ব্যারিস্টার আরশ)। খেলাফত মজলিস নামে দুটি দলের নিবন্ধন রয়েছে। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও খেলাফত মজলিস। ওয়ার্কার্স পার্টি কমরেড অমল সেনের মৃত্যুর পর থেকে কয়েকবার ভেঙ্গেছে। কমরেড টিপু বিশ্বাসের নেতৃত্ব একবার। কমরেড ইকবাল কবির জাহিদ ও কমরেড সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে একবার। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ও বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি নামের দুইটি দল এখন তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন শেখ হাসিনার কেবিনেটে দু্ই দফা মন্ত্রী ছিলেন। বার বার ভাঙনের মুখে যেমন অস্থিত্ব সংকটে দলগুলি । তেমনি তাদের নেতাকর্মীরাও রয়েছে পরিচয় সংকটে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বার বার ভাঙনে অস্থিত্ব সংকটে অনেক রাজনৈতিক দল

আপডেট সময় ১২:০৮:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

 

বাংলাদেশের বামপন্থী ও ডানপন্থী উভয় পন্থী দলগুলো বার বার ভাঙনের মুখে অস্থিত্ব সংকটে পড়েছে। অনেক ছোট হয়ে গেছে দলগুলি। পাশাপাশি একই নামে অনেক দল থাকায় পরিচয় সংকটে দলের নেতাকর্মীরা। ভাঙনের কারণে বাংলাদেশে একই নামে অনেকগুলো রাজনৈতিক দল রয়েছে। দলগুলোর নাম এক হলেও তারা দৃশত আলাদা দল।

স্বাধীনতার আগে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) এবং স্বাধীনতার পরে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি সহ বেশ কয়েকটি দল বার বার ভাঙনের মুখে পড়েছে। দলগুলো ভেঙ্গে গেলোও একই নাম থাকে উভয় পক্ষের। এছাড়া তাদের ছাত্র সংগঠনের নামও একই থাকে ফলে সৃষ্টি হয় পরিচয় সংকট। ন্যাপ প্রথমে ভাঙনের পর ন্যাপ ভাসানী ও ন্যাপ মোজাফ্ফর নামে দুটি স্রোতধারার সৃষ্টি হয়। প্রথমটি চীনপন্থি এবং পরেরটি মস্কোপন্থি । এ দুটির নেতৃত্ব ভেঙে পরে একাধিক দল তৈরী হয়।

আমাদের লক্ষ্য বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র শ্লোগানে গড়ে ওঠা জাসদ ভেঙ্গেছে একাধিক বার। ১৯৭২ সালে গঠিত জাসদ ভেঙ্গে প্রথমে দুই ধারা সৃষ্টি হয়। জাসদ (রব) ও জাসদ (সিরাজ) নামে পরিচিতি লাভ করে জাসদের দুই অংশ। শাহাজাহান সিরাজের নেতৃত্বে যে অংশটি ছিলো সেটিও ছিলো জাসদ আবার আ.স.ম আব্দুর রবের নেতৃত্বে যে অংশ ছিলো তার নাম জাসদ। পরে জাসদ (ইনু) নামে আরেকটি নেতৃত্ব সৃষ্টি হয়। খালেকুজ্জামান চৌধুরীর নেতৃত্বে জাসদ ভেঙে বাসদের সৃষ্টি হয়। ভাঙাভাঙির মুখে অনেক নেতাই বিভিন্ন নামে দল গঠন করেন। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিও বিপ্লব প্রতিবিপ্লবে একাধিক ভাবে বিভক্ত। মার্কবাদী বা মাওবাদী রাজনৈতিক দলের পাশপাশি ডানপন্থী দলগুলোও ভেঙ্গেছে অনেক বার। সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসাইন মহম্মদ এরশাদের দল জাতীয় পার্টির এখন ৬ ভাগে বিভক্ত। এর মধ্যে তিনটি দল নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত। সেগুলো হলো জাতীয় পার্টি (জি এম কাদের), জাতীয় পার্টি (জেপি), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি)। অন্য দলগুলো হচ্ছে জাতীয় পার্টি (রওশন), জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), জাতীয় পার্টি (আনিসুল-হাওলাদার)।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল নামেও একাধিক দল রয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (বাংলাদেশ জাসদ), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মাহবুব), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (রেজা) উল্লেখযোগ্য।
বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (দিলীপ বড়ুয়া), সাম্যবাদী দল (জাকির)। সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করে মন্ত্রী হয়েছিলেন। গণতন্ত্রী পার্টি নামে দুটি দলের দেখা পাওয়া গেছে। দল দুুটি হলো গণতন্ত্রী পার্টি (শাহাদাৎ) ও গণতন্ত্রী পার্টি (ব্যারিস্টার আরশ)। খেলাফত মজলিস নামে দুটি দলের নিবন্ধন রয়েছে। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও খেলাফত মজলিস। ওয়ার্কার্স পার্টি কমরেড অমল সেনের মৃত্যুর পর থেকে কয়েকবার ভেঙ্গেছে। কমরেড টিপু বিশ্বাসের নেতৃত্ব একবার। কমরেড ইকবাল কবির জাহিদ ও কমরেড সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে একবার। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ও বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি নামের দুইটি দল এখন তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন শেখ হাসিনার কেবিনেটে দু্ই দফা মন্ত্রী ছিলেন। বার বার ভাঙনের মুখে যেমন অস্থিত্ব সংকটে দলগুলি । তেমনি তাদের নেতাকর্মীরাও রয়েছে পরিচয় সংকটে।