ঢাকা ০৬:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গোপালগঞ্জে সহিংসতার ঘটনায় জড়িত কেউ ছাড় পাবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দীর্ঘ এক দশক পর চালু হলো ইরাকের মসুল বিমানবন্দর ইরাকের শপিং মলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত বেড়ে ৬১, নিখোঁজ ও আহত বহু রংপুরে চেকপোস্টে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে বাসের ধাক্কা, নিহত ২ পীরগাছায় বজ্রাঘাতে শিশুর মৃত্যু, আহত আরও ৩ জন মালয়েশিয়ায় ইমিগ্রেশন অভিযানে বাংলাদেশিসহ আটক ৩৫ অভিবাসী কর্মী ইন্টারনেট গতিতে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়ল জাপান: সেকেন্ডে স্থানান্তর ১২৫ পেটাবাইট ডেটা জাতীয় নির্বাচন পেছাতে ভেতরে ভেতরে গভীর চক্রান্ত চলছে: রিজভী সিরিয়ায় পাঁচ দিন ধরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৩৫০ গোপালগঞ্জে সহিংসতার ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: তারেক রহমানসহ আসামিদের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:০৮:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
  • / 6

ছবি: সংগৃহীত

 

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামির খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের শুনানি শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির একটি বেঞ্চে শুনানির কার্যক্রম শুরু হয়।

এদিন আদালত পলাতক আসামিদের পক্ষে স্টেট ডিফেন্স হিসেবে সিনিয়র আইনজীবী এস এম শাহজাহানকে নিয়োগ দেন। এর আগে গত ১ জুন হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি পায় রাষ্ট্রপক্ষ।

গত বছরের ১ ডিসেম্বর হাইকোর্টের এক রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দেওয়া হয়। উচ্চ আদালত বিচারিক আদালতের রায়কে অবৈধ ঘোষণা করে।

এর আগে ২০১৮ সালে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর রায়ে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া তারেক রহমানসহ আরও ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে (বর্তমানে শহীদ আবরার ফাহাদ অ্যাভিনিউ) তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক নির্বাচনী সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার লক্ষ্য ছিলেন শেখ হাসিনা। ঘটনায় প্রাণ হারান আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতাকর্মী এবং আহত হন শতাধিক মানুষ, যাদের অনেকেই আজীবনের জন্য শারীরিক ক্ষত ও মানসিক ট্রমা বয়ে বেড়াচ্ছেন।

এ ঘটনায় দেশে ও আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভের ঝড় ওঠে। মামলার তদন্ত ও বিচারকাজ দীর্ঘ সময় ধরে চললেও উচ্চ আদালতের দেওয়া খালাসের রায় নিয়ে নতুন করে বিতর্ক ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, এ রায় ন্যায়বিচারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং নৃশংস এক রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডকে আড়াল করার শামিল। তাই সর্বোচ্চ আদালতে পূর্ণাঙ্গ শুনানি ও যুক্তিতর্কের ভিত্তিতে রায় প্রত্যাশা করছে রাষ্ট্রপক্ষ।

শুনানি চলমান রয়েছে। মামলার পরবর্তী কার্যক্রম নিয়ে জনমনে রয়েছে গভীর আগ্রহ ও উৎকণ্ঠা।

নিউজটি শেয়ার করুন

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: তারেক রহমানসহ আসামিদের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু

আপডেট সময় ১১:০৮:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

 

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামির খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের শুনানি শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির একটি বেঞ্চে শুনানির কার্যক্রম শুরু হয়।

এদিন আদালত পলাতক আসামিদের পক্ষে স্টেট ডিফেন্স হিসেবে সিনিয়র আইনজীবী এস এম শাহজাহানকে নিয়োগ দেন। এর আগে গত ১ জুন হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি পায় রাষ্ট্রপক্ষ।

গত বছরের ১ ডিসেম্বর হাইকোর্টের এক রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দেওয়া হয়। উচ্চ আদালত বিচারিক আদালতের রায়কে অবৈধ ঘোষণা করে।

এর আগে ২০১৮ সালে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর রায়ে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া তারেক রহমানসহ আরও ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে (বর্তমানে শহীদ আবরার ফাহাদ অ্যাভিনিউ) তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক নির্বাচনী সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার লক্ষ্য ছিলেন শেখ হাসিনা। ঘটনায় প্রাণ হারান আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতাকর্মী এবং আহত হন শতাধিক মানুষ, যাদের অনেকেই আজীবনের জন্য শারীরিক ক্ষত ও মানসিক ট্রমা বয়ে বেড়াচ্ছেন।

এ ঘটনায় দেশে ও আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভের ঝড় ওঠে। মামলার তদন্ত ও বিচারকাজ দীর্ঘ সময় ধরে চললেও উচ্চ আদালতের দেওয়া খালাসের রায় নিয়ে নতুন করে বিতর্ক ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, এ রায় ন্যায়বিচারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং নৃশংস এক রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডকে আড়াল করার শামিল। তাই সর্বোচ্চ আদালতে পূর্ণাঙ্গ শুনানি ও যুক্তিতর্কের ভিত্তিতে রায় প্রত্যাশা করছে রাষ্ট্রপক্ষ।

শুনানি চলমান রয়েছে। মামলার পরবর্তী কার্যক্রম নিয়ে জনমনে রয়েছে গভীর আগ্রহ ও উৎকণ্ঠা।