শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের দলীয়ভাবে গণহত্যার বিচার হওয়া উচিত: মির্জা ফখরুল

- আপডেট সময় ০২:৪১:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫
- / 4
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের সাম্প্রতিক গণহত্যার জন্য শুধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নন, বরং দলীয়ভাবে আওয়ামী লীগেরও বিচার হওয়া উচিত। বুধবার (৯ জুলাই) রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দলীয় নেতা আব্দুল কুদ্দুসকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় নির্যাতনের শিকার বিএনপি। সম্প্রতি যেসব হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতা ঘটেছে, তার পেছনে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। শুধু ব্যক্তি শেখ হাসিনা নয়, দলীয়ভাবে আওয়ামী লীগকে এই গণহত্যার দায় নিতে হবে এবং বিচার হতে হবে।”
গণতান্ত্রিক রাজনীতি ও নির্বাচনের প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, “নির্বাচন ও সংস্কার একে অপরের পরিপূরক, সাংঘর্ষিক নয়। জনগণ আজ একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে। অথচ যারা নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন, তারা দেশের স্বার্থে বিষয়টি আরও গভীরভাবে বিবেচনা করুন।”
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, “এখন সময় সব রাজনৈতিক দলের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার। দেশকে রক্ষা করতে, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে জাতীয় ঐক্য অপরিহার্য।”
তিনি দাবি করেন, বর্তমান সরকার জনগণের মতপ্রকাশের অধিকার হরণ করেছে এবং বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়ে দেশে একনায়কতন্ত্র কায়েম করছে। ফখরুল বলেন, “দেশের পরিস্থিতি এখন এমন যে, সাধারণ মানুষ পর্যন্ত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। হাসপাতালেও আমাদের নেতারা নিরাপদ নন।”
মির্জা ফখরুল সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও তোলেন এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেন, “দেশে যে গণহত্যা ও দমন-পীড়ন চলছে, তা আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।”
রাজনৈতিক অস্থিরতা নিরসনে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন এবং জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “এখনই সময় দল-মত নির্বিশেষে একত্রিত হওয়ার, না হলে ভবিষ্যৎ আরও অন্ধকার।”
এই বক্তব্যের মাধ্যমে বিএনপি নেতার কণ্ঠে স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে গভীর অভিযোগ এবং আগামী দিনগুলোতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হওয়ার ইঙ্গিত।