ঢাকা ০৯:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের দুই দিনে ৩,৬২২ মামলা চাঁদপুরে সেরা সাঁতারু বাছাইয়ে ট্যালেন্ট হান্ট অনুষ্ঠিত, অংশগ্রহণ ২ শতাধিক সাঁতারু ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা নিহত, আহত অন্তত ১৫ জন আশুরা আমাদের সত্য ও ন্যায়ের পথে সাহস জোগায়: প্রধান উপদেষ্টা হাতিরঝিলে ‘এগিয়ে বাংলাদেশ’ দৌড় প্রতিযোগিতা, অংশগ্রহণে ৮০০ প্রতিযোগী ইসলামবিরোধী কার্যকলাপে কঠোর অবস্থানের হুঁশিয়ারি খেলাফত আমিরের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ব্যাটিং ব্যর্থতা, ২৪৯ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ জামালপুরে নগর মাতৃসদনে ভুল চিকিৎসায় এক নবজাতকের মৃত্যু, আটক ২ নার্স দেশে করোনায় ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৬ আওয়ামী নেতাদের দমন-পীড়ন ছিল ইয়াজিদ বাহিনীর সমতুল্য: তারেক রহমান

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা নিহত, আহত অন্তত ১৫ জন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:২৭:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫
  • / 3

ছবি সংগৃহীত

 

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে এক ছাত্রদল নেতা নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরের দিকে উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের চাতলপাড় বাজার এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত ছাত্রদল নেতার নাম সোহরাব মিয়া (২৮)। তিনি কাঁঠালকান্দি গ্রামের মৃত চান মিয়ার ছেলে এবং চাতলপাড় ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সম্পাদক ছিলেন। সংঘর্ষে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কাঁঠালকান্দি গ্রামের উল্টা গোষ্ঠী ও মোল্লা গোষ্ঠীর মধ্যে আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। শনিবার সকালে এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে আবারও উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে দুপুরের দিকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। এ সময় মোল্লা গোষ্ঠীর সমর্থক সোহরাব মিয়া গুরুতর জখম হন।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সহিংসতা যাতে না ছড়ায়, সে জন্য এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সরাইল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তপন সরকার জানান, কয়েক মাস ধরেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে শনিবারের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, যেখানে একজন নিহত এবং অনেকে আহত হন। ঘটনার পরপরই পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। তিনি আরও জানান, ঘটনাটি নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

স্থানীয়রা বলছেন, আধিপত্যের দ্বন্দ্বের কারণে এলাকায় এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারা দ্রুত স্থিতিশীল পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন।

পুলিশ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সতর্ক রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা নিহত, আহত অন্তত ১৫ জন

আপডেট সময় ০৭:২৭:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫

 

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে এক ছাত্রদল নেতা নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরের দিকে উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের চাতলপাড় বাজার এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত ছাত্রদল নেতার নাম সোহরাব মিয়া (২৮)। তিনি কাঁঠালকান্দি গ্রামের মৃত চান মিয়ার ছেলে এবং চাতলপাড় ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সম্পাদক ছিলেন। সংঘর্ষে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কাঁঠালকান্দি গ্রামের উল্টা গোষ্ঠী ও মোল্লা গোষ্ঠীর মধ্যে আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। শনিবার সকালে এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে আবারও উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে দুপুরের দিকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। এ সময় মোল্লা গোষ্ঠীর সমর্থক সোহরাব মিয়া গুরুতর জখম হন।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সহিংসতা যাতে না ছড়ায়, সে জন্য এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সরাইল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তপন সরকার জানান, কয়েক মাস ধরেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে শনিবারের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, যেখানে একজন নিহত এবং অনেকে আহত হন। ঘটনার পরপরই পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। তিনি আরও জানান, ঘটনাটি নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

স্থানীয়রা বলছেন, আধিপত্যের দ্বন্দ্বের কারণে এলাকায় এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারা দ্রুত স্থিতিশীল পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন।

পুলিশ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সতর্ক রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।