০৪:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

ইসলামবিরোধী কার্যকলাপে কঠোর অবস্থানের হুঁশিয়ারি খেলাফত আমিরের

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:২৪:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫
  • / 47

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশে ইসলামবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ড বরদাশত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক।

শুক্রবার (৫ জুলাই) রাজধানীর গুলশানের জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদ্রাসা মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর শাখা এই সভার আয়োজন করে।

বিজ্ঞাপন

বক্তব্যে মামুনুল হক বলেন, শাপলা চত্বরের আন্দোলন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনের সময় শাহাদতের যে চেতনা তৈরি হয়েছিল, তা চব্বিশের ভীত গড়ে তোলে। সেই চেতনার ভিত্তিতেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তিনি জানান, শুরু থেকেই হেফাজতে ইসলাম ওই অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে ছিল এবং তাদের রক্ষার চেষ্টা করেছে।

নারী সংস্কারের নামে দেশের দীর্ঘদিনের সংস্কৃতি ধ্বংসের যে নীলনকশা প্রণয়ন করা হয়েছে, তারও তীব্র বিরোধিতা করেন তিনি। মামুনুল হক বলেন, “বাংলার মাটিতে ইসলামবিরোধী কোনো কার্যকলাপ বরদাশত করা হবে না। মানবাধিকার কমিশনের ব্যানারে যেসব অপতৎপরতা চালানো হচ্ছে, তাও মেনে নেওয়া হবে না।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, ইসলাম রক্ষায় প্রয়োজনে আবারও শাপলা চত্বরে ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে। এর মাধ্যমে তিনি ভবিষ্যতে আন্দোলনের ইঙ্গিত দেন।

সভায় উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মামুনুল হক বলেন, ইসলামের মৌলিক শিক্ষা ও মূল্যবোধের ওপর আঘাত এলে তা প্রতিহত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ইসলামকে কটাক্ষ করে কোনো সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় ও মহানগর পর্যায়ের নেতারা। বক্তারা দেশের চলমান সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং ইসলামপন্থি শক্তিকে আরও সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানান।

প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ আলোচনায় হেফাজতের বিভিন্ন দাবির কথা তুলে ধরা হয় এবং দেশের ধর্মীয় ও নৈতিক মূল্যবোধ রক্ষায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইসলামবিরোধী কার্যকলাপে কঠোর অবস্থানের হুঁশিয়ারি খেলাফত আমিরের

আপডেট সময় ০৭:২৪:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫

 

বাংলাদেশে ইসলামবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ড বরদাশত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক।

শুক্রবার (৫ জুলাই) রাজধানীর গুলশানের জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদ্রাসা মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর শাখা এই সভার আয়োজন করে।

বিজ্ঞাপন

বক্তব্যে মামুনুল হক বলেন, শাপলা চত্বরের আন্দোলন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনের সময় শাহাদতের যে চেতনা তৈরি হয়েছিল, তা চব্বিশের ভীত গড়ে তোলে। সেই চেতনার ভিত্তিতেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তিনি জানান, শুরু থেকেই হেফাজতে ইসলাম ওই অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে ছিল এবং তাদের রক্ষার চেষ্টা করেছে।

নারী সংস্কারের নামে দেশের দীর্ঘদিনের সংস্কৃতি ধ্বংসের যে নীলনকশা প্রণয়ন করা হয়েছে, তারও তীব্র বিরোধিতা করেন তিনি। মামুনুল হক বলেন, “বাংলার মাটিতে ইসলামবিরোধী কোনো কার্যকলাপ বরদাশত করা হবে না। মানবাধিকার কমিশনের ব্যানারে যেসব অপতৎপরতা চালানো হচ্ছে, তাও মেনে নেওয়া হবে না।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, ইসলাম রক্ষায় প্রয়োজনে আবারও শাপলা চত্বরে ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে। এর মাধ্যমে তিনি ভবিষ্যতে আন্দোলনের ইঙ্গিত দেন।

সভায় উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মামুনুল হক বলেন, ইসলামের মৌলিক শিক্ষা ও মূল্যবোধের ওপর আঘাত এলে তা প্রতিহত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ইসলামকে কটাক্ষ করে কোনো সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় ও মহানগর পর্যায়ের নেতারা। বক্তারা দেশের চলমান সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং ইসলামপন্থি শক্তিকে আরও সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানান।

প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ আলোচনায় হেফাজতের বিভিন্ন দাবির কথা তুলে ধরা হয় এবং দেশের ধর্মীয় ও নৈতিক মূল্যবোধ রক্ষায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়।