জোটবদ্ধ ইসলামি দলই আগামী দিনে দেশের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হয়ে উঠবে: চরমোনাই পীর

- আপডেট সময় ০৮:০৭:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
- / 2
ইসলামপন্থী রাজনৈতিক শক্তির ঐক্যের বিষয়ে জনগণের মধ্যে দৃঢ় প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। তিনি বলেছেন, জোটবদ্ধ ইসলামি দলই আগামী দিনে দেশের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হয়ে উঠবে।
শনিবার বিকেলে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত মহাসমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চরমোনাই পীর বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইসলামি দলগুলোর পাশাপাশি দেশপ্রেমিক বিভিন্ন রাজনৈতিক শক্তিকে নিয়ে ঐক্য গড়ার প্রক্রিয়া চলছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, যদি কার্যকরভাবে এই ঐক্য গড়ে তোলা যায়, তাহলে রাষ্ট্রের দায়িত্ব ইসলামপন্থীদের হাতেই আসবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি আক্ষেপের সুরে বলেন, “আমরা বহুবার রক্ত দিয়েছি, কিন্তু সঠিক নেতা ও নীতি নির্বাচন করতে না পারায় সফল হতে পারিনি। গত ৫৪ বছরে অনেক দল ক্ষমতায় এসেছে, দেশ শাসন করেছে, কিন্তু ইসলামি দল রাষ্ট্রক্ষমতায় আসতে পারেনি। এবার ইসলামপন্থীদের ঐক্যের প্রশ্নে জনগণের মধ্যে ব্যাপক প্রত্যাশা সৃষ্টি হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি প্রথম থেকেই ইসলামপন্থী ভোটগুলো একত্রিত করার কথা বলে আসছি। আগামী নির্বাচনে কেবল ইসলামি দলই নয়, বরং দেশপ্রেমিক অনেক দলও একবাক্স নীতিতে আসতে পারে। যদি আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে অংশ নিতে পারি, তাহলে আগামী দিনে ইসলামপন্থীরাই হবে দেশের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি।”
নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারের প্রসঙ্গে চরমোনাই পীর বলেন, আগামী নির্বাচনে অবশ্যই পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতি চালু করতে হবে। জনগণের রায় যথাযথভাবে প্রতিফলিত করতে যে যত শতাংশ ভোট পাবে, তার তত শতাংশ আসনে প্রতিনিধিত্ব থাকবে এটাই এখন দেশের মানুষের দাবি, এবং অনেক রাজনৈতিক দলেরও চাওয়া।
তিনি বিএনপিকেও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
সংবিধান সংস্কারের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সংস্কারের বিষয়ে অটল ও অবিচল। এই সংস্কারে দেরি করা মানে ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল হবে।
তিনি বলেন, “৭২-এর সংবিধান জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করেছে। তাই সেই ভুল শোধরাতে হবে।”