‘ফ্যাসিস্টরা বিদায় নিয়েছে, কিন্তু ফ্যাসিজম রয়ে গেছে: জামায়াত আমির

- আপডেট সময় ০২:৫৮:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫
- / 7
গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটলেও দেশ থেকে ফ্যাসিজম পুরোপুরি নির্মূল হয়নি এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। মঙ্গলবার (৩ জুন) রাজধানীর বনানীতে হোটেল শেরাটনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “জীবন বাজি রেখে যারা পরিবর্তনের সংগ্রামে অংশ নিয়েছিলেন, তাদের উদ্দেশ্য ছিল ফ্যাসিজমের সম্পূর্ণ বিদায়। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, শাসকরা বিদায় নিলেও ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থার প্রভাব এখনো জাতির ঘাড়ে রয়ে গেছে।”
তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিজম নির্মূলের একমাত্র পথ হলো একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। এমন একটি নির্বাচনের মধ্য দিয়েই জনগণের কাছে জবাবদিহিতামূলক একটি সরকার গঠিত হতে পারে। সেই লক্ষ্যে জামায়াতে ইসলামীর রয়েছে ঐতিহাসিক অবদান।”
ডা. শফিকুর রহমান অভিযোগ করেন, বিগত সরকারের ইঙ্গিতে একটি মহল জামায়াতের নিবন্ধন ও প্রতীকের বিরুদ্ধে আদালতে যায় এবং ফ্যাসিবাদী প্রভাবে তৎকালীন বিচারব্যবস্থা বেআইনি রায় প্রদান করে। এর ফলে দলটি তাদের রাজনৈতিক অধিকার হারায়।
তিনি বলেন, “৫ আগস্টের অভ্যুত্থান না হলে আমরা এখনো আমাদের রাজনৈতিক অধিকার ফিরে পেতাম না। ফ্যাসিস্টরা বিদায় নিয়েছে, কিন্তু ফ্যাসিজম এখনো যায়নি। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ছাড়া এর সমাধান নেই।”
তিনি আরও বলেন, “দেশের রাজনীতি, সমাজ ও সার্বভৌমত্বে কোনো বিদেশি বা স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর আধিপত্য মেনে নেওয়া হবে না। জনগণ যাতে স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে, সে পরিবেশ তৈরিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন দিতে হবে।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জামায়াত আমির জানান, “নির্বাচন কমিশনের সদিচ্ছা ও দক্ষতা যাচাইয়ে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত।” তিনি বলেন, “জাতীয় নির্বাচন আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে হলে ভালো, তবে এপ্রিল পেরোনো উচিত হবে না।”
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সম্প্রতি দেশের সর্বোচ্চ আদালত, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ থেকে সর্বসম্মত রায়ের মাধ্যমে দলীয় নিবন্ধন ফিরে পাওয়ায় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।