শীর্ষ দলকে কোণঠাসা করে পোষ্য দলকে প্রশ্রয় দিচ্ছে সরকার: ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা

- আপডেট সময় ০১:৩০:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫
- / 4
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিছু রাজনৈতিক দলকে অলিখিতভাবে তাদের পোষ্য দল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন, সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে একটি সমন্বিত প্ল্যাটফর্মে আনতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। বরং কিছু দলকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে অন্যদের শত্রু মনে করে বৈরী অবস্থানে ঠেলে দিয়েছে।
এক জাতীয় দৈনিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “যে দলটি বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় এবং বিগত ১৭ বছর ধরে শেখ হাসিনার শাসনামলে নানা নিপীড়ন সত্ত্বেও প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে, সেই বিএনপিকেই সরকার নানা কৌশলে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে।”
তিনি আরও বলেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রথমদিকে বলেছিলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। কিন্তু সরকার নিজেই যদি ব্যর্থতার দিকে এগোয়, তাহলে আমরা কিছুই করতে পারি না। এখন দেখছি সরকার নিজের অযোগ্যতা প্রমাণ করেই চলেছে।”
অন্তর্বর্তী সরকারের গত ৯ মাসে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ার কথাও উল্লেখ করেন রুমিন। তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার পতনের পর মানুষ আশা করেছিল আওয়ামী লীগের মূল অপরাধীরা বিচারের মুখোমুখি হবে। কিন্তু তাদের কাউকে এখনও আইনের আওতায় আনা যায়নি, বরং অনেকেই নিরাপদে দেশ ছেড়ে চলে গেছে।”
অপরদিকে, আওয়ামী লীগের মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ও বিচার চলছে। অথচ যারা গুম, খুন ও নির্যাতনের মূল হোতা, তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে তিনি অভিযোগ করেন।
সরকারের করিডর সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে রুমিন বলেন, “একটি অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ শুধু দৈনন্দিন প্রশাসনিক কাজ সীমাবদ্ধ রাখা। করিডরের মতো কৌশলগত সিদ্ধান্ত কীভাবে তারা নিতে পারে?”
তিনি দ্বৈত নাগরিকত্ব ইস্যুতে বলেন, “সংবিধান অনুযায়ী, কেবল বাংলাদেশের নাগরিকই এমপি বা মন্ত্রী হতে পারেন। অথচ বর্তমান সরকারের অনেক উপদেষ্টারই দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে। এই অবস্থায় দেশের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।”
তিনি আরও জানান, সরকার এখনো কোনো নির্বাচনকালীন রোডম্যাপ দেয়নি। “ডিসেম্বর থেকে জুন’ এই ছয় মাসে নির্বাচন যে কোনো সময় হতে পারে বলে জনগণকে ধোঁয়াশায় রাখা হয়েছে। বাস্তবতা হলো, সরকারের দ্রুত নির্বাচনের কোনো ইচ্ছাই নেই।”