ঢাকা ০৯:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শিক্ষকের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়, এমন কোনো কাজ শিক্ষার্থীদের করা উচিত নয়: শিক্ষা উপদেষ্টা জলমহাল নীতিমালা পরিবর্তন করে প্রকৃত মৎস্যজীবীদের পাবে অগ্রাধিকার: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বাংলাদেশ ব্যাংক পেতে যাচ্ছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছে ১১ জন মেয়ে ও ১৩৫ জন শিশু: শারমিন মুরশিদ চীন ও তুরস্কের সহায়তার অভিযোগ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করল পাকিস্তান লাগামহীন ও অবিশ্বাস্য মাত্রার লুটপাট আওয়ামী লীগ সরকারের বড় দৃষ্টান্ত: আসিফ মাহমুদ সারা দেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১৪৫৪ জন গ্রেপ্তার সব শ্রেণির মানুষের রক্ত-ঘামে জুলাই বিপ্লবের সাফল্য: আসিফ মাহমুদ ট্রাম্পের শুল্কনীতিতে বিপর্যস্ত মার্কিন অর্থনীতি, ছাঁটাই-ব্যয় সংকটে ব্যবসা খাত গাজীপুরে পুকুরে ডুবে দুই কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যু

শীর্ষ আদালতে খালাস পেলেন জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলাম

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:২৪:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
  • / 13

ছবি সংগৃহীত

 

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় থেকে জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামকে খালাস দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই রায় দেন। আদালত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল মঞ্জুর করে আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড বাতিল করে তাকে খালাস দেন।

এর আগে গত ৮ মে এই মামলার চূড়ান্ত শুনানি শেষে আদালত রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন। আপিলের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ মো. রায়হান উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ অনীক রুশদ হক এবং প্রসিকিউটর গাজী মনোয়ার হোসেন তামিম।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর আপিল বিভাগ তা খারিজ করে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন।

পরে রায়ের পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করেন আজহারুল ইসলাম। ২০২০ সালের ১৯ জুলাই দাখিল করা এই রিভিউ আবেদনের শুনানি হয় চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি। ওই দিন সর্বোচ্চ আদালত আবেদনটি গ্রহণ করে তাকে পুনরায় আপিলের সুযোগ দেন এবং শুনানির জন্য ২২ এপ্রিল তারিখ নির্ধারণ করেন।

আইনজীবীদের নির্দেশ দেওয়া হয়, এর মধ্যে আপিলের সারসংক্ষেপ (কনসাইজ স্টেটমেন্ট) জমা দিতে হবে। ধারাবাহিক শুনানির অংশ হিসেবে ২২ এপ্রিল এবং ৬ মে মামলার শুনানি হয়। পরে ৮ মে চূড়ান্ত শুনানি শেষে আদালত রায়ের দিন ধার্য করেন, যা আজ ঘোষণা করা হলো।

এই রায়ের মাধ্যমে এক যুগব্যাপী আইনি লড়াইয়ের পর জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় খালাস পেলেন।

এ রায় নিয়ে দেশজুড়ে নানা আলোচনা চলছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এমন গুরুত্বপূর্ণ রায় বিচার ব্যবস্থার ইতিহাসে বিশেষ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

শীর্ষ আদালতে খালাস পেলেন জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলাম

আপডেট সময় ১১:২৪:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

 

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় থেকে জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামকে খালাস দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই রায় দেন। আদালত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল মঞ্জুর করে আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড বাতিল করে তাকে খালাস দেন।

এর আগে গত ৮ মে এই মামলার চূড়ান্ত শুনানি শেষে আদালত রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন। আপিলের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ মো. রায়হান উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ অনীক রুশদ হক এবং প্রসিকিউটর গাজী মনোয়ার হোসেন তামিম।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর আপিল বিভাগ তা খারিজ করে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন।

পরে রায়ের পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করেন আজহারুল ইসলাম। ২০২০ সালের ১৯ জুলাই দাখিল করা এই রিভিউ আবেদনের শুনানি হয় চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি। ওই দিন সর্বোচ্চ আদালত আবেদনটি গ্রহণ করে তাকে পুনরায় আপিলের সুযোগ দেন এবং শুনানির জন্য ২২ এপ্রিল তারিখ নির্ধারণ করেন।

আইনজীবীদের নির্দেশ দেওয়া হয়, এর মধ্যে আপিলের সারসংক্ষেপ (কনসাইজ স্টেটমেন্ট) জমা দিতে হবে। ধারাবাহিক শুনানির অংশ হিসেবে ২২ এপ্রিল এবং ৬ মে মামলার শুনানি হয়। পরে ৮ মে চূড়ান্ত শুনানি শেষে আদালত রায়ের দিন ধার্য করেন, যা আজ ঘোষণা করা হলো।

এই রায়ের মাধ্যমে এক যুগব্যাপী আইনি লড়াইয়ের পর জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় খালাস পেলেন।

এ রায় নিয়ে দেশজুড়ে নানা আলোচনা চলছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এমন গুরুত্বপূর্ণ রায় বিচার ব্যবস্থার ইতিহাসে বিশেষ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।