ঢাকা ০৩:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সাগরিকার হ্যাটট্রিক: শ্রীলঙ্কাকে গোলবন্যায় ভাসাল বাংলাদেশ বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষ: পাবনায় ১০ নেতাকর্মীর বহিষ্কার কর্ণফুলী ইপিজেডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: আগুন নিয়ন্ত্রণে ৮ ইউনিটের অভিযান চারদিন সাগরে ভেসে থাকা ৯ জেলেকে উদ্ধার: এখনও নিখোঁজ ৩ বাংলাদেশে প্রথমবার মুক্তি পাচ্ছে নেপালি ছবি: ‘ন ডরাই’ এর বিনিময়ে ফয়জুল করীম: ‘দেশের রাজনৈতিক সংস্কার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়’ বিশ্বাসীদের কবি আল মাহমুদের ৯০তম জন্মদিন আজ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের পথে ইউরোপীয় ইউনিয়ন হাসপাতাল নিতে বলায় গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা: আতঙ্কজনক ঘটনা ডেঙ্গু আতঙ্ক: মৃত্যু ২, হাসপাতালে ভর্তি ৩৩৭

সচিবালয়ে দপ্তর ছেড়ে নিচে নেমে কর্মচারীদের বিক্ষোভ, ‘কালাকানুন’ প্রত্যাহারের দাবি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৪০:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫
  • / 53

ছবি সংগৃহীত

 

 

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়া অনুমোদনের প্রতিবাদে আজ রোববার দ্বিতীয় দিনের মতো বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের ডাকে সচিবালয়ের ভেতরে বড় ধরনের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সকাল থেকেই সচিবালয়ে শত শত কর্মকর্তা-কর্মচারী দপ্তর ছেড়ে নিচে নেমে মিছিলে যোগ দেন। বিক্ষোভকারীরা ‘অবৈধ কালো আইন মানি না’, ‘দমনমূলক আইন বাতিল করো’, ‘অধিকার হরণে প্রতিবাদ’— এমন সব স্লোগানে মুখর ছিলেন।

বিক্ষোভকারী কর্মচারীরা অভিযোগ করেন, সদ্য অনুমোদিত খসড়ায় সাড়ে চার দশক আগের কিছু বিশেষ বিধানের নির্যাতনমূলক ধারা সংযোজন করা হয়েছে। এতে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সহজে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ও চাকরিচ্যুত করার সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে দাবি তাদের।

এ অধ্যাদেশকে ‘নিবর্তনমূলক ও সংবিধানবিরোধী’ উল্লেখ করে তারা অবিলম্বে খসড়া পুনর্বিবেচনা ও প্রত্যাহারের দাবি জানান।

গত বৃহস্পতিবার, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ সংশোধন করে নতুন ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর থেকেই সচিবালয়ের ভেতরে কর্মচারীদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ ও ক্ষোভ দেখা দেয়।

সচিবালয়ের ভেতরে এতো বড় মিছিল ও কর্মবিরতির ফলে বিভিন্ন দপ্তরের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটে। প্রশাসন দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে অতিরিক্ত নিরাপত্তা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এখনো কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

কর্মচারী পরিষদের বক্তব্য
সংযুক্ত পরিষদের একজন মুখপাত্র বলেন, “এটি একটি সুপরিকল্পিত দমনমূলক অধ্যাদেশ। আমরা এর বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাবো। প্রয়োজনে কর্মবিরতি কর্মসূচিও দেওয়া হবে।”

অন্তর্বর্তী সরকারের এমন সিদ্ধান্ত, নির্বাচনের পূর্বমুহূর্তে সরকারি কর্মচারীদের মনোভাব ও প্রশাসনিক স্থিতিশীলতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, সরকারকে দ্রুত এই বিষয়ে গঠনমূলক সংলাপে বসতে হবে, নইলে ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সচিবালয়ে দপ্তর ছেড়ে নিচে নেমে কর্মচারীদের বিক্ষোভ, ‘কালাকানুন’ প্রত্যাহারের দাবি

আপডেট সময় ১২:৪০:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

 

 

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়া অনুমোদনের প্রতিবাদে আজ রোববার দ্বিতীয় দিনের মতো বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের ডাকে সচিবালয়ের ভেতরে বড় ধরনের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সকাল থেকেই সচিবালয়ে শত শত কর্মকর্তা-কর্মচারী দপ্তর ছেড়ে নিচে নেমে মিছিলে যোগ দেন। বিক্ষোভকারীরা ‘অবৈধ কালো আইন মানি না’, ‘দমনমূলক আইন বাতিল করো’, ‘অধিকার হরণে প্রতিবাদ’— এমন সব স্লোগানে মুখর ছিলেন।

বিক্ষোভকারী কর্মচারীরা অভিযোগ করেন, সদ্য অনুমোদিত খসড়ায় সাড়ে চার দশক আগের কিছু বিশেষ বিধানের নির্যাতনমূলক ধারা সংযোজন করা হয়েছে। এতে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সহজে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ও চাকরিচ্যুত করার সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে দাবি তাদের।

এ অধ্যাদেশকে ‘নিবর্তনমূলক ও সংবিধানবিরোধী’ উল্লেখ করে তারা অবিলম্বে খসড়া পুনর্বিবেচনা ও প্রত্যাহারের দাবি জানান।

গত বৃহস্পতিবার, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ সংশোধন করে নতুন ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর থেকেই সচিবালয়ের ভেতরে কর্মচারীদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ ও ক্ষোভ দেখা দেয়।

সচিবালয়ের ভেতরে এতো বড় মিছিল ও কর্মবিরতির ফলে বিভিন্ন দপ্তরের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটে। প্রশাসন দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে অতিরিক্ত নিরাপত্তা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এখনো কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

কর্মচারী পরিষদের বক্তব্য
সংযুক্ত পরিষদের একজন মুখপাত্র বলেন, “এটি একটি সুপরিকল্পিত দমনমূলক অধ্যাদেশ। আমরা এর বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাবো। প্রয়োজনে কর্মবিরতি কর্মসূচিও দেওয়া হবে।”

অন্তর্বর্তী সরকারের এমন সিদ্ধান্ত, নির্বাচনের পূর্বমুহূর্তে সরকারি কর্মচারীদের মনোভাব ও প্রশাসনিক স্থিতিশীলতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, সরকারকে দ্রুত এই বিষয়ে গঠনমূলক সংলাপে বসতে হবে, নইলে ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে।