ঢাকা ০২:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গোপালগঞ্জ কারাগার পরিদর্শনে দুই উপদেষ্টা উত্তরা ট্র্যাজেডি: বিমান বিধ্বস্তে ২৫ শিশুসহ ২৭ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো ভারতীয় আগরবাতি আমদানি ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চেয়েছিলেন ক্যাপ্টেন তৌকির, লড়েছেন শেষ পর্যন্ত উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত: হতাহতের খবর এখনও মেলেনি ইতালির প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় আসছেন: অভিবাসন বিষয়ক বৈঠক হবে বিশেষ গুরুত্বের সাথে ফার্মগেট স্টেশনে মেট্রোরেল আটকে যাওয়ার পর ফের চালু সাজিদের মৃত্যুর ঘটনায় ইবি প্রশাসনের সংবাদ সম্মেলন, তদন্তে শিক্ষার্থী অন্তর্ভুক্তির আশ্বাস ইকুয়েডরে ভয়াবহ সংঘর্ষ: পিকআপ ট্রাক ও এসইউভিতে নিহত ৯ ৪৮তম বিশেষ বিসিএস: ৫২০৬ জন উত্তীর্ণ

আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধকরণ সর্বজনীনভাবে গৃহীত সিদ্ধান্ত: প্রেসসচিব

প্রেসসচিব, আওয়ামীলীগ, নিষিদ্ধকরণ
  • আপডেট সময় ০৪:৪০:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫
  • / 25

ছবি সংগৃহীত

 

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)-তে আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা ‘সর্বজনীনভাবে গ্রহণযোগ্য’ বা ‘ইউনিভার্সালি একসেপ্টেড’ সিদ্ধান্ত।

সোমবার (১২ মে) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “এই সিদ্ধান্ত সবাই গ্রহণ করেছে। হয়তো দু-একটি দলের মত ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমরা সব দলের সঙ্গে কথা বলে এ সিদ্ধান্তে এসেছি।”

অনুষ্ঠানে ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল উপস্থিত ছিলেন।

শফিকুল আলম আরও বলেন, “জাতিসংঘের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত জুলাই-আগস্ট মাসে বাংলাদেশে প্রায় ১৪০০ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। যদিও আমাদের হিসাব মতে এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি। এটা ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র তুলে ধরে।”

তিনি বলেন, “গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের শাসনামলে খুন, গুম, লুটপাটের ভয়াবহ চিত্র স্পষ্ট হয়েছে। তিন হাজার পাঁচশরও বেশি মানুষ গুম হয়েছে। এমনকি শিশুদেরও রেহাই দেওয়া হয়নি। আয়নাঘরে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মানুষকে, দেওয়া হয়েছে ভয়ঙ্কর শাস্তি।”

তিনি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনে বলেন, “তারা জনগণের সব অধিকার কেড়ে নিয়েছে। মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে তাদের দ্বারা। আর এ কারণেই দলটিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।”

প্রেসসচিব দাবি করেন, আওয়ামী লীগের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড এবং লুটপাটের ইতিহাস আন্তর্জাতিক মহলেও আলোচিত হয়েছে।

তিনি বলেন, “এই নিষিদ্ধকরণ কোনো একক সিদ্ধান্ত নয়, বরং সব দলের সম্মিলিত মতামতের ফল। তাই এটি একটি গণতান্ত্রিক ও যৌক্তিক সিদ্ধান্ত হিসেবে গণ্য হচ্ছে।”

এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, আওয়ামী লীগের উপর নিষেধাজ্ঞা কোনো রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নয়, বরং জাতি ও রাষ্ট্রের স্বার্থে একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।

এদিকে, এ বক্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, এ ধরনের বক্তব্য দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের প্রেক্ষাপট আরও জটিল করে তুলতে পারে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধকরণ সর্বজনীনভাবে গৃহীত সিদ্ধান্ত: প্রেসসচিব

আপডেট সময় ০৪:৪০:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

 

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)-তে আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা ‘সর্বজনীনভাবে গ্রহণযোগ্য’ বা ‘ইউনিভার্সালি একসেপ্টেড’ সিদ্ধান্ত।

সোমবার (১২ মে) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “এই সিদ্ধান্ত সবাই গ্রহণ করেছে। হয়তো দু-একটি দলের মত ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমরা সব দলের সঙ্গে কথা বলে এ সিদ্ধান্তে এসেছি।”

অনুষ্ঠানে ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল উপস্থিত ছিলেন।

শফিকুল আলম আরও বলেন, “জাতিসংঘের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত জুলাই-আগস্ট মাসে বাংলাদেশে প্রায় ১৪০০ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। যদিও আমাদের হিসাব মতে এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি। এটা ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র তুলে ধরে।”

তিনি বলেন, “গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের শাসনামলে খুন, গুম, লুটপাটের ভয়াবহ চিত্র স্পষ্ট হয়েছে। তিন হাজার পাঁচশরও বেশি মানুষ গুম হয়েছে। এমনকি শিশুদেরও রেহাই দেওয়া হয়নি। আয়নাঘরে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মানুষকে, দেওয়া হয়েছে ভয়ঙ্কর শাস্তি।”

তিনি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনে বলেন, “তারা জনগণের সব অধিকার কেড়ে নিয়েছে। মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে তাদের দ্বারা। আর এ কারণেই দলটিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।”

প্রেসসচিব দাবি করেন, আওয়ামী লীগের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড এবং লুটপাটের ইতিহাস আন্তর্জাতিক মহলেও আলোচিত হয়েছে।

তিনি বলেন, “এই নিষিদ্ধকরণ কোনো একক সিদ্ধান্ত নয়, বরং সব দলের সম্মিলিত মতামতের ফল। তাই এটি একটি গণতান্ত্রিক ও যৌক্তিক সিদ্ধান্ত হিসেবে গণ্য হচ্ছে।”

এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, আওয়ামী লীগের উপর নিষেধাজ্ঞা কোনো রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নয়, বরং জাতি ও রাষ্ট্রের স্বার্থে একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।

এদিকে, এ বক্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, এ ধরনের বক্তব্য দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের প্রেক্ষাপট আরও জটিল করে তুলতে পারে।