গেজেট আকারে প্রকাশ পেল রাজনৈতিক দলের বিচারের সংশোধিত ট্রাইব্যুনাল আইন

- আপডেট সময় ০২:০৭:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
- / 6
আন্তর্জাতিক অপরাধে জড়িত রাজনৈতিক দল, অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার বিধান রেখে ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩’ সংশোধন করেছে সরকার। সংশোধিত আইনটির গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে শনিবার (১০ মে) রাতে। বিষয়টি রোববার (১১ মে) জানা যায়।
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত গেজেটে বলা হয়, সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রপতি ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) (দ্বিতীয় সংশোধনী) অর্ডিন্যান্স, ২০২৫’ প্রণয়ন ও জারি করেছেন।
সংশোধিত আইন অনুযায়ী, যদি কোনো রাজনৈতিক দল, এর অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠী আন্তর্জাতিক অপরাধে জড়িত বলে ট্রাইব্যুনালের কাছে প্রতীয়মান হয়, তাহলে ওই সংগঠনের কার্যক্রম স্থগিত বা নিষিদ্ধ করা, নিবন্ধন বা লাইসেন্স বাতিল এবং সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষমতা ট্রাইব্যুনাল প্রয়োগ করতে পারবে।
শনিবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠক শেষে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের জানান, “জুলাই আন্দোলনে সংঘটিত গণহত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনতেই এই আইনি সংশোধনী আনা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দলটির সকল কার্যক্রম, বিশেষ করে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে পরিচালিত কার্যক্রম, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় নিষিদ্ধ থাকবে।”
নতুন সংশোধনীতে আরও বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যদি সংশ্লিষ্ট সংগঠনের পক্ষে আন্তর্জাতিক অপরাধে সহায়তা, নির্দেশনা, প্ররোচনা, ষড়যন্ত্র বা সরাসরি অংশগ্রহণ করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই সংশোধনী আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে রাজনৈতিক সহিংসতা ও যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রমে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় যোগ করবে। তবে এ ধরনের সিদ্ধান্তকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র বিতর্ক ও প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন।
এই আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর কার্যক্রম আরও স্বচ্ছ ও দায়বদ্ধ হবে বলেও সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।