খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা গণতন্ত্রের পথে সহায়ক হবে: মির্জা ফখরুল

- আপডেট সময় ১০:৩০:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫
- / 35
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বিকাশে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, “বেগম জিয়ার দেশে প্রত্যাবর্তন জাতি ও দেশের জন্য এক বড় খুশির খবর। বৈষম্যহীন, ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ গড়তে তার উপস্থিতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”
মঙ্গলবার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় দেশবাসীর কাছে বিএনপি চেয়ারপারসনের সুস্থতা কামনায় দোয়া চেয়েছেন ফখরুল।
দীর্ঘদিন লন্ডনে চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে কাতার রয়েল অ্যাম্বুলেন্সের বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় অবতরণ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তার সঙ্গে দেশে ফিরেছেন দুই পুত্রবধূও।
প্রিয় নেত্রীর আগমন উপলক্ষে সকাল থেকেই বিমানবন্দরের আশপাশে ভিড় জমাতে শুরু করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আসা নেতা-কর্মীদের মুখে ছিল উৎফুল্লতা ও আবেগঘন প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ চোখের জল ফেলেছেনও।
দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চিকিৎসার পর বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও তিনি এখনো পুরোপুরি সুস্থ নন। তাই আগত দিনগুলোতে তার বিশ্রাম ও পর্যবেক্ষণের মধ্যে থাকার কথা রয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা শুধু রাজনৈতিক দিক থেকে নয়, জাতীয় প্রেক্ষাপটেও একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। এটি দেশে গণতান্ত্রিক চর্চার ধারায় নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে বলে মনে করছেন তারা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তার দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও বেগবান হবে। একই সঙ্গে বিরোধী রাজনীতিতে নতুন উদ্দীপনা তৈরি হবে বলে আশা করছেন নেতাকর্মীরা।
বিএনপি চেয়ারপারসনের আগমনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও ছিল তৎপর। বিমানবন্দর এলাকা ও আশপাশে ছিল অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন।
এদিকে বেগম জিয়ার নিরাপত্তা ও পরবর্তী চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে দলটির পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
এটাই বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘ চিকিৎসা-পর্বের পর প্রথম দেশে প্রত্যাবর্তন, যা দল ও সমর্থকদের মাঝে নতুন আশার সঞ্চার করেছে।