তরুণ ভোটারদের মন জয়েই বিএনপির মে মাসব্যাপী কর্মসূচি

- আপডেট সময় ১১:৩৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
- / ৫ বার পড়া হয়েছে
দেশের মোট ভোটারের এক-তৃতীয়াংশ তরুণ। আগামী জাতীয় নির্বাচনে এই তরুণ ভোটাররাই হতে যাচ্ছেন ‘ফ্যাক্টর’। তাই তাঁদের গুরুত্ব দিয়ে মে মাসজুড়ে বিশেষ কর্মসূচি হাতে নিচ্ছে বিএনপির তিন অঙ্গ সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। এর মাধ্যমে তরুণদের জাতীয় রাজনীতিতে সক্রিয় করতে চায় দলটি।
গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় ১০টি সাংগঠনিক বিভাগকে চারটি বৃহত্তর ভাগে ভাগ করে মে মাসজুড়ে সেমিনার ও সমাবেশের আয়োজন করা হচ্ছে।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, ৯ মে চট্টগ্রামে ‘কর্মসংস্থান ও বহুমাত্রিক শিল্পায়ন নিয়ে তারুণ্যের ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারের মধ্য দিয়ে শুরু হবে এই উদ্যোগ। পরদিন হবে সমাবেশ। এরপর ১৬-১৭ মে খুলনায়, ২৩-২৪ মে বগুড়ায় এবং ২৭-২৮ মে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে সেমিনার ও সমাবেশ। প্রতিটি বিভাগের সেমিনারে থাকবে আলাদা থিম, তবে সমাবেশের শিরোনাম অভিন্ন ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’।
যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেন, “চার কোটি তরুণ ভোটার আগামী নির্বাচনে বড় প্রভাব ফেলবে। তাঁদের মধ্যে অনেক মেধাবী আছেন, যাঁদের চিন্তা-ভাবনাকে আমরা গুরুত্ব দিতে চাই। এই কর্মসূচির মাধ্যমে তরুণদের মাঝে রাজনৈতিক বার্তা পৌঁছে দিতে চাই।”
তিনি জানান, সেমিনারগুলোতে বিএনপির ৩১ দফা রূপরেখা, তারেক রহমানের রাজনৈতিক দর্শন এবং জাতীয় উন্নয়নের ভাবনা তুলে ধরা হবে। এতে অংশ নেবেন দেশ-বিদেশে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সাংবাদিক, উদ্যোক্তা ও পেশাজীবীরা।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, “এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা তরুণদের সঙ্গে দলের সম্পর্ক তৈরি করতে চাই। তাঁরা প্রশ্ন করতে পারবেন, প্রস্তাব দিতে পারবেন এমনকি দলের নীতিমালায় দ্বিমতও জানাতে পারবেন। তরুণদের কর্মসংস্থান ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আমাদের ভাবনা সেমিনারে তুলে ধরা হবে।”
স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী বলেন, “শুধু মিছিল বা সভা নয়, তরুণদের সঙ্গে ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র বিনির্মাণ নিয়ে আলোচনার দরকার আছে। তাঁদের ভাবনা আমাদের রাজনীতিকে সমৃদ্ধ করবে।”
তরুণদের মন জয় করতেই বিএনপির এই উদ্যোগ এমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাঁদের মতে, এই কর্মসূচি নির্বাচনের আগে তরুণ ভোটারদের দখলে রাখার এক কৌশলী প্রচেষ্টা।