০৬:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক। ফিফার শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হলেন ট্রাম্প ব্রাজিলে অবতরণের পর আগুনে পুড়ল এয়ারবাস এ-৩২০, অল্পের জন্য রক্ষা পেল যাত্রীরা পাক-আফগান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি, উত্তেজনা চরমে

জাতীয় ঐকমত্যে গুরুত্ব দিতে হবে, তাড়াহুড়োর সুযোগ নেই : সালাহউদ্দিন আহমেদ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৩২:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
  • / 110

ছবি সংগৃহীত

 

জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তুলতে পারলে দেশের জন্য একটি ইতিবাচক দিকনির্দেশনা তৈরি হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কোনো তাড়াহুড়ো না করে ধৈর্য ও সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত গ্রহণই দেশের জন্য মঙ্গলজনক।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপে বিএনপির প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিজ্ঞাপন

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “সংবিধান সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আজ থেকে বিচার বিভাগ সংক্রান্ত আলোচনা শুরু হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য কমিশন নিয়ে আলোচনা চলবে।”

তিনি আরও বলেন, “বিভিন্ন ইস্যুতে গণমাধ্যম ও জনমনে কিছু বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে স্প্রেডশিট সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে। তবে বিএনপি প্রতিটি দফা আলাদাভাবে বিশ্লেষণ করে দেখছে। কারণ, এটি রাষ্ট্র পরিচালনার একটি মৌলিক বিষয়। এখানে কোনো অবহেলা বা দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ নেই।”

বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে বিএনপির অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “বিচারকদের নিয়োগ, আলাদা বিচার বিভাগীয় সচিবালয় গঠন এবং বিচার বিভাগের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তবে এটি হতে হবে দেশের প্রচলিত আইন এবং সংবিধানের আওতায়।”

তিনি জানান, বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিএনপি ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে কাজ করছে এবং জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েই প্রতিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

সংলাপকে সামনে রেখে সালাহউদ্দিন আহমেদ আশা প্রকাশ করেন, সকল রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি কার্যকর জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে। আর এই ঐকমত্য দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং গণতান্ত্রিক উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

জাতীয় ঐকমত্যে গুরুত্ব দিতে হবে, তাড়াহুড়োর সুযোগ নেই : সালাহউদ্দিন আহমেদ

আপডেট সময় ০২:৩২:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

 

জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তুলতে পারলে দেশের জন্য একটি ইতিবাচক দিকনির্দেশনা তৈরি হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কোনো তাড়াহুড়ো না করে ধৈর্য ও সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত গ্রহণই দেশের জন্য মঙ্গলজনক।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপে বিএনপির প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিজ্ঞাপন

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “সংবিধান সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আজ থেকে বিচার বিভাগ সংক্রান্ত আলোচনা শুরু হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য কমিশন নিয়ে আলোচনা চলবে।”

তিনি আরও বলেন, “বিভিন্ন ইস্যুতে গণমাধ্যম ও জনমনে কিছু বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে স্প্রেডশিট সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে। তবে বিএনপি প্রতিটি দফা আলাদাভাবে বিশ্লেষণ করে দেখছে। কারণ, এটি রাষ্ট্র পরিচালনার একটি মৌলিক বিষয়। এখানে কোনো অবহেলা বা দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ নেই।”

বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে বিএনপির অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “বিচারকদের নিয়োগ, আলাদা বিচার বিভাগীয় সচিবালয় গঠন এবং বিচার বিভাগের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তবে এটি হতে হবে দেশের প্রচলিত আইন এবং সংবিধানের আওতায়।”

তিনি জানান, বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিএনপি ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে কাজ করছে এবং জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েই প্রতিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

সংলাপকে সামনে রেখে সালাহউদ্দিন আহমেদ আশা প্রকাশ করেন, সকল রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি কার্যকর জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে। আর এই ঐকমত্য দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং গণতান্ত্রিক উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।