ঢাকা ০৬:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
২১ আগস্ট মামলায় খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের শুনানি শুরু শ্রীমঙ্গলে করলা চাষে বিপ্লব, বদলে যাচ্ছে গ্রামীণ জীবন গণতন্ত্রের পথে ঐকমত্য প্রয়োজন, মতপার্থক্য নয়: আলী রীয়াজ মেয়র পদে ইশরাক হোসেনকে বসানো নিয়ে উত্তপ্ত গুলিস্তান, চলছেই লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষার্থীদের হামলার নিন্দা সারজিস আলমের, ‘ধিক্কার জানাই এমন আচরণে’ সিন্ধু চুক্তি ভাঙার চিন্তা করবেন না, নয়াদিল্লিকে হুঁশিয়ারি পাক প্রধানমন্ত্রীর বাল্যবিবাহ বিরোধী পোস্টের জেরে প্রাণ গেল তরুণের: গ্রেফতার ৬ জন বাজেটে মৎস্য-প্রাণিসম্পদে বাড়তি ভর্তুকি ও ঋণ সুবিধা চান খাতসংশ্লিষ্টরা কুড়িগ্রাম সীমান্তে বজ্রপাতে ১ বিজিবি সদস্য নিহত, আহত আরো ৪ কোটচাঁদপুরে ট্রেনে অভিযান, ৩ কোটির হেরোইন উদ্ধার

তদন্ত অসম্পূর্ণ, ফাইয়াজের মামলায় পদক্ষেপ নিতে পারছে না মন্ত্রণালয় : আসিফ নজরুল

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:০৪:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
  • / 22

ছবি সংগৃহীত

 

 

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সংঘটিত সহিংসতায় পুলিশের কনস্টেবল গিয়াস উদ্দিন নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত এখনও সম্পন্ন হয়নি বলে জানিয়েছেন আইন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। দীর্ঘ আট মাস ধরে মামলার অগ্রগতি না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, তদন্ত শেষ না হওয়ায় সরকার এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না।

রোববার সকালে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত ৫০তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. আসিফ নজরুল জানান, মামলায় দুইজন অভিযুক্তের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রয়েছে, তবুও এতদিনেও কেন তা প্রত্যাহার করা হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তিনি বলেন, এ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে অনাগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা দুঃখজনক। দ্রুত তদন্ত শেষ করে বিচার কাজ শুরু করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, বিচার বিভাগের ওপর জনগণের আস্থা টিকিয়ে রাখতে হলে বিচারকদের নিরপেক্ষতা ও সততা বজায় রাখতে হবে। বিচারকদের আর্থিক দুর্নীতিতে জড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “সুবিধার কথা ভেবে নয়, দায়িত্ববোধ থেকেই বিচারকার্য সম্পাদন করতে হবে। বিচারকদের কাছে জনগণের প্রত্যাশা অত্যন্ত বেশি।”

বিচার বিভাগের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা স্বীকার করে ড. আসিফ নজরুল বলেন, এসব সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও বিচারকদের সর্বোচ্চ আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে। বিচারব্যবস্থাকে সহজতর ও সময়োপযোগী করতে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার এবং প্রশিক্ষণের মান উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, “বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যাতে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশ থেকেও প্রশিক্ষণার্থীরা এখানে আসতে আগ্রহী হয়।” পাশাপাশি অতীতে ইনস্টিটিউটকে রাজনৈতিক মঞ্চ হিসেবে ব্যবহারের সমালোচনা করে তিনি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেন।

এই মামলার দ্রুত তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ার অগ্রগতি এখন সময়ের দাবি এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

তদন্ত অসম্পূর্ণ, ফাইয়াজের মামলায় পদক্ষেপ নিতে পারছে না মন্ত্রণালয় : আসিফ নজরুল

আপডেট সময় ০১:০৪:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

 

 

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সংঘটিত সহিংসতায় পুলিশের কনস্টেবল গিয়াস উদ্দিন নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত এখনও সম্পন্ন হয়নি বলে জানিয়েছেন আইন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। দীর্ঘ আট মাস ধরে মামলার অগ্রগতি না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, তদন্ত শেষ না হওয়ায় সরকার এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না।

রোববার সকালে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত ৫০তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. আসিফ নজরুল জানান, মামলায় দুইজন অভিযুক্তের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রয়েছে, তবুও এতদিনেও কেন তা প্রত্যাহার করা হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তিনি বলেন, এ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে অনাগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা দুঃখজনক। দ্রুত তদন্ত শেষ করে বিচার কাজ শুরু করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, বিচার বিভাগের ওপর জনগণের আস্থা টিকিয়ে রাখতে হলে বিচারকদের নিরপেক্ষতা ও সততা বজায় রাখতে হবে। বিচারকদের আর্থিক দুর্নীতিতে জড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “সুবিধার কথা ভেবে নয়, দায়িত্ববোধ থেকেই বিচারকার্য সম্পাদন করতে হবে। বিচারকদের কাছে জনগণের প্রত্যাশা অত্যন্ত বেশি।”

বিচার বিভাগের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা স্বীকার করে ড. আসিফ নজরুল বলেন, এসব সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও বিচারকদের সর্বোচ্চ আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে। বিচারব্যবস্থাকে সহজতর ও সময়োপযোগী করতে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার এবং প্রশিক্ষণের মান উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, “বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যাতে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশ থেকেও প্রশিক্ষণার্থীরা এখানে আসতে আগ্রহী হয়।” পাশাপাশি অতীতে ইনস্টিটিউটকে রাজনৈতিক মঞ্চ হিসেবে ব্যবহারের সমালোচনা করে তিনি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেন।

এই মামলার দ্রুত তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ার অগ্রগতি এখন সময়ের দাবি এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।