ঢাকা ০৩:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গোপালগঞ্জ কারাগার পরিদর্শনে দুই উপদেষ্টা উত্তরা ট্র্যাজেডি: বিমান বিধ্বস্তে ২৫ শিশুসহ ২৭ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো ভারতীয় আগরবাতি আমদানি ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চেয়েছিলেন ক্যাপ্টেন তৌকির, লড়েছেন শেষ পর্যন্ত উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত: হতাহতের খবর এখনও মেলেনি ইতালির প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় আসছেন: অভিবাসন বিষয়ক বৈঠক হবে বিশেষ গুরুত্বের সাথে ফার্মগেট স্টেশনে মেট্রোরেল আটকে যাওয়ার পর ফের চালু সাজিদের মৃত্যুর ঘটনায় ইবি প্রশাসনের সংবাদ সম্মেলন, তদন্তে শিক্ষার্থী অন্তর্ভুক্তির আশ্বাস ইকুয়েডরে ভয়াবহ সংঘর্ষ: পিকআপ ট্রাক ও এসইউভিতে নিহত ৯ ৪৮তম বিশেষ বিসিএস: ৫২০৬ জন উত্তীর্ণ

খুলনায় আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, পুলিশি নজরে নেতা-কর্মীরা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৪২:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
  • / 39

ছবি সংগৃহীত

 

 

খুলনা নগরীর রাজপথে রোববার সকাল সকাল দেখা গেল ভিন্ন এক চিত্র। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে জিরো পয়েন্ট এলাকায় হঠাৎ করেই শুরু হয় এক ঝটিকা মিছিল। ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, খুলনা জেলা শাখা’র ব্যানারে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে অংশ নেন বেশ কিছু নেতা-কর্মী। তবে তাঁদের মধ্যে পরিচিত মুখ ছিল না বললেই চলে।

গেল ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পর খুলনায় এটাই প্রথম দলটির পক্ষ থেকে প্রকাশ্য কোনো কর্মসূচি। হঠাৎ এই কর্মসূচি ঘিরে এলাকায় সৃষ্টি হয় কৌতূহল। মিছিলের ছবি ও ভিডিও মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

ছবিগুলোতে দেখা গেছে, নেতা-কর্মীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি সংবলিত ব্যানার বহন করছেন। তারা স্লোগানে মুখর ছিলেন ‘শেখ হাসিনা ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’, ‘শেখ হাসিনার সরকার বারবার দরকার’, ‘শেখ হাসিনা ফিরবে আবার বীরের বেশে’। স্লোগানের শব্দ রাজপথ কাঁপিয়ে তোলে এক সময়।

এই বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা মুখ খুলতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের একজন নেতা জানান, দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই কর্মসূচিতে পরিচিত কোনো নেতা-কর্মী অংশ নেননি। তিনি বলেন, “দলীয় নির্দেশ ছিল, মিছিলে অপরিচিত নেতা-কর্মীরা থাকবেন যাতে প্রশাসনের নজর এড়ানো যায়। তাই উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কর্মীদের নিয়ে এই মিছিল করা হয়েছে।”

জিরো পয়েন্ট এলাকা খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) হরিণটানা থানার আওতাভুক্ত। থানা সূত্রে জানা যায়, মিছিলটি পরিকল্পিতভাবে দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করে নেতা-কর্মীরা স্থান ত্যাগ করেন। হরিণটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খাইরুল বাশার জানান, “গাড়ি থেকে নেমেই হঠাৎ মিছিল শুরু করেন তারা এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই সরে পড়েন। ভোরবেলা হওয়ায় সড়কে মানুষের চলাচল কম ছিল, ফলে পুলিশ তাৎক্ষণিক প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়। তবে মিছিলকারীদের শনাক্ত ও আটকের চেষ্টা চলছে।”

হঠাৎ করে এমন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে খুলনার রাজনৈতিক অঙ্গনে আবারো আলোচনার ঝড় উঠেছে। স্থানীয়রা বলছেন, এই মিছিল হয়তো আগাম আরও বড় কোনো কর্মসূচির ইঙ্গিত দিচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

খুলনায় আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, পুলিশি নজরে নেতা-কর্মীরা

আপডেট সময় ১২:৪২:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

 

 

খুলনা নগরীর রাজপথে রোববার সকাল সকাল দেখা গেল ভিন্ন এক চিত্র। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে জিরো পয়েন্ট এলাকায় হঠাৎ করেই শুরু হয় এক ঝটিকা মিছিল। ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, খুলনা জেলা শাখা’র ব্যানারে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে অংশ নেন বেশ কিছু নেতা-কর্মী। তবে তাঁদের মধ্যে পরিচিত মুখ ছিল না বললেই চলে।

গেল ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পর খুলনায় এটাই প্রথম দলটির পক্ষ থেকে প্রকাশ্য কোনো কর্মসূচি। হঠাৎ এই কর্মসূচি ঘিরে এলাকায় সৃষ্টি হয় কৌতূহল। মিছিলের ছবি ও ভিডিও মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

ছবিগুলোতে দেখা গেছে, নেতা-কর্মীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি সংবলিত ব্যানার বহন করছেন। তারা স্লোগানে মুখর ছিলেন ‘শেখ হাসিনা ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’, ‘শেখ হাসিনার সরকার বারবার দরকার’, ‘শেখ হাসিনা ফিরবে আবার বীরের বেশে’। স্লোগানের শব্দ রাজপথ কাঁপিয়ে তোলে এক সময়।

এই বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা মুখ খুলতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের একজন নেতা জানান, দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই কর্মসূচিতে পরিচিত কোনো নেতা-কর্মী অংশ নেননি। তিনি বলেন, “দলীয় নির্দেশ ছিল, মিছিলে অপরিচিত নেতা-কর্মীরা থাকবেন যাতে প্রশাসনের নজর এড়ানো যায়। তাই উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কর্মীদের নিয়ে এই মিছিল করা হয়েছে।”

জিরো পয়েন্ট এলাকা খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) হরিণটানা থানার আওতাভুক্ত। থানা সূত্রে জানা যায়, মিছিলটি পরিকল্পিতভাবে দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করে নেতা-কর্মীরা স্থান ত্যাগ করেন। হরিণটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খাইরুল বাশার জানান, “গাড়ি থেকে নেমেই হঠাৎ মিছিল শুরু করেন তারা এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই সরে পড়েন। ভোরবেলা হওয়ায় সড়কে মানুষের চলাচল কম ছিল, ফলে পুলিশ তাৎক্ষণিক প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়। তবে মিছিলকারীদের শনাক্ত ও আটকের চেষ্টা চলছে।”

হঠাৎ করে এমন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে খুলনার রাজনৈতিক অঙ্গনে আবারো আলোচনার ঝড় উঠেছে। স্থানীয়রা বলছেন, এই মিছিল হয়তো আগাম আরও বড় কোনো কর্মসূচির ইঙ্গিত দিচ্ছে।