০৫:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আমলাদের দায়িত্ব কমিয়ে আনা হবে: আমীর খসরু শাপলা দেওয়ার সুযোগ নেই, অন্য প্রতীক দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি: ইসি সচিব হানিফসহ ৪ জনের অভিযোগ গঠন নিয়ে শুনানি আজ পারমাণবিক চালিত আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে পরীক্ষার ঘোষণা পুতিনের নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি

খুলনায় আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, পুলিশি নজরে নেতা-কর্মীরা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৪২:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
  • / 63

ছবি সংগৃহীত

 

 

খুলনা নগরীর রাজপথে রোববার সকাল সকাল দেখা গেল ভিন্ন এক চিত্র। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে জিরো পয়েন্ট এলাকায় হঠাৎ করেই শুরু হয় এক ঝটিকা মিছিল। ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, খুলনা জেলা শাখা’র ব্যানারে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে অংশ নেন বেশ কিছু নেতা-কর্মী। তবে তাঁদের মধ্যে পরিচিত মুখ ছিল না বললেই চলে।

বিজ্ঞাপন

গেল ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পর খুলনায় এটাই প্রথম দলটির পক্ষ থেকে প্রকাশ্য কোনো কর্মসূচি। হঠাৎ এই কর্মসূচি ঘিরে এলাকায় সৃষ্টি হয় কৌতূহল। মিছিলের ছবি ও ভিডিও মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

ছবিগুলোতে দেখা গেছে, নেতা-কর্মীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি সংবলিত ব্যানার বহন করছেন। তারা স্লোগানে মুখর ছিলেন ‘শেখ হাসিনা ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’, ‘শেখ হাসিনার সরকার বারবার দরকার’, ‘শেখ হাসিনা ফিরবে আবার বীরের বেশে’। স্লোগানের শব্দ রাজপথ কাঁপিয়ে তোলে এক সময়।

এই বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা মুখ খুলতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের একজন নেতা জানান, দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই কর্মসূচিতে পরিচিত কোনো নেতা-কর্মী অংশ নেননি। তিনি বলেন, “দলীয় নির্দেশ ছিল, মিছিলে অপরিচিত নেতা-কর্মীরা থাকবেন যাতে প্রশাসনের নজর এড়ানো যায়। তাই উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কর্মীদের নিয়ে এই মিছিল করা হয়েছে।”

জিরো পয়েন্ট এলাকা খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) হরিণটানা থানার আওতাভুক্ত। থানা সূত্রে জানা যায়, মিছিলটি পরিকল্পিতভাবে দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করে নেতা-কর্মীরা স্থান ত্যাগ করেন। হরিণটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খাইরুল বাশার জানান, “গাড়ি থেকে নেমেই হঠাৎ মিছিল শুরু করেন তারা এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই সরে পড়েন। ভোরবেলা হওয়ায় সড়কে মানুষের চলাচল কম ছিল, ফলে পুলিশ তাৎক্ষণিক প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়। তবে মিছিলকারীদের শনাক্ত ও আটকের চেষ্টা চলছে।”

হঠাৎ করে এমন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে খুলনার রাজনৈতিক অঙ্গনে আবারো আলোচনার ঝড় উঠেছে। স্থানীয়রা বলছেন, এই মিছিল হয়তো আগাম আরও বড় কোনো কর্মসূচির ইঙ্গিত দিচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

খুলনায় আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, পুলিশি নজরে নেতা-কর্মীরা

আপডেট সময় ১২:৪২:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

 

 

খুলনা নগরীর রাজপথে রোববার সকাল সকাল দেখা গেল ভিন্ন এক চিত্র। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে জিরো পয়েন্ট এলাকায় হঠাৎ করেই শুরু হয় এক ঝটিকা মিছিল। ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, খুলনা জেলা শাখা’র ব্যানারে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে অংশ নেন বেশ কিছু নেতা-কর্মী। তবে তাঁদের মধ্যে পরিচিত মুখ ছিল না বললেই চলে।

বিজ্ঞাপন

গেল ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পর খুলনায় এটাই প্রথম দলটির পক্ষ থেকে প্রকাশ্য কোনো কর্মসূচি। হঠাৎ এই কর্মসূচি ঘিরে এলাকায় সৃষ্টি হয় কৌতূহল। মিছিলের ছবি ও ভিডিও মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

ছবিগুলোতে দেখা গেছে, নেতা-কর্মীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি সংবলিত ব্যানার বহন করছেন। তারা স্লোগানে মুখর ছিলেন ‘শেখ হাসিনা ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’, ‘শেখ হাসিনার সরকার বারবার দরকার’, ‘শেখ হাসিনা ফিরবে আবার বীরের বেশে’। স্লোগানের শব্দ রাজপথ কাঁপিয়ে তোলে এক সময়।

এই বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা মুখ খুলতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের একজন নেতা জানান, দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই কর্মসূচিতে পরিচিত কোনো নেতা-কর্মী অংশ নেননি। তিনি বলেন, “দলীয় নির্দেশ ছিল, মিছিলে অপরিচিত নেতা-কর্মীরা থাকবেন যাতে প্রশাসনের নজর এড়ানো যায়। তাই উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কর্মীদের নিয়ে এই মিছিল করা হয়েছে।”

জিরো পয়েন্ট এলাকা খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) হরিণটানা থানার আওতাভুক্ত। থানা সূত্রে জানা যায়, মিছিলটি পরিকল্পিতভাবে দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করে নেতা-কর্মীরা স্থান ত্যাগ করেন। হরিণটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খাইরুল বাশার জানান, “গাড়ি থেকে নেমেই হঠাৎ মিছিল শুরু করেন তারা এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই সরে পড়েন। ভোরবেলা হওয়ায় সড়কে মানুষের চলাচল কম ছিল, ফলে পুলিশ তাৎক্ষণিক প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়। তবে মিছিলকারীদের শনাক্ত ও আটকের চেষ্টা চলছে।”

হঠাৎ করে এমন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে খুলনার রাজনৈতিক অঙ্গনে আবারো আলোচনার ঝড় উঠেছে। স্থানীয়রা বলছেন, এই মিছিল হয়তো আগাম আরও বড় কোনো কর্মসূচির ইঙ্গিত দিচ্ছে।