ঢাকা ০২:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শর্তসাপেক্ষে সাবেক আইজিপি মামুনের ক্ষমা বিবেচনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল চট্টগ্রামে স্ত্রীকে ১১ টুকরো করে হত্যা, স্বামী সুমন গ্রেপ্তার গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত অন্তত ১৭, আহত বহু টানা বর্ষণে বিপর্যস্ত ২১ জেলার কৃষি, তলিয়ে গেছে কৃষকের স্বপ্ন ও ফসলি জমি ফেনীর বন্যা নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বাঁধ নির্মাণের চিন্তা সরকারের: ত্রাণ উপদেষ্টা তাপমাত্রা ও বজ্রসহ বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা উইম্বলডন থেকে বিদায় জোকোভিচের, ফাইনালে মুখোমুখি আলকারাজ-সিনার নির্বাচনের আগে যেকোনো মূল্যে আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করা হবে: উপ-প্রেস সচিব ব্যবসায়ী হত্যার ভিডিও প্রকাশে ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা চলছে: যুবদল সভাপতি

শীর্ষ বৈঠকের সম্ভাবনা, ইউনূস-মোদি বৈঠকে ঢাকার আগ্রহ, দিল্লির সাড়া প্রতীক্ষায়: পররাষ্ট্রসচিব

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৪৩:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
  • / 30

ছবি সংগৃহীত

 

বিমসটেক সম্মেলনের সাইডলাইনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই সম্ভাবনাকে ঘিরে জোর প্রস্তুতি চলছে ঢাকায়। তবে এখনও দিল্লির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক সম্মতি আসেনি।

পররাষ্ট্রসচিব এম জসীম উদ্দিন মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। ড. ইউনূসের আসন্ন চীন ও থাইল্যান্ড সফর সামনে রেখে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

বৈঠক প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, “আমরা যেকোনো দেশের সঙ্গে শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠককে গুরুত্ব দিয়ে দেখি। বিশেষ করে ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই বৈঠকটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আমরা মনে করি, যদি এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়, তবে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে যে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে, তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।”

তিনি আরও জানান, “বাংলাদেশ প্রস্তুত আমরা ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। এখন ভারতের ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি।”

এ সময় একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, দিল্লি প্রস্তুত কিনা তা কিভাবে জানা যাবে? জবাবে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, “দিল্লি প্রস্তুত কি না, সেটা দিল্লিই বলতে পারবে। তবে আমরা আশাবাদী ও অপেক্ষায় আছি।”

এই সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক আব্দুল মোতালেব সরকার, মোহাম্মদ নূরে আলম ও মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন এক সময় এই সম্ভাব্য বৈঠকের কথা সামনে এলো, যখন আঞ্চলিক কূটনীতিতে কিছুটা চ্যালেঞ্জ ও দূরত্ব দেখা দিয়েছে। ফলে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলে তা শুধু বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কই নয়, বরং গোটা দক্ষিণ এশিয়ার কূটনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন বার্তা দিতে পারে।

এখন চোখ দিল্লির দিকে দেখা যাক মোদি সরকার কী সিদ্ধান্ত নেয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

শীর্ষ বৈঠকের সম্ভাবনা, ইউনূস-মোদি বৈঠকে ঢাকার আগ্রহ, দিল্লির সাড়া প্রতীক্ষায়: পররাষ্ট্রসচিব

আপডেট সময় ০৪:৪৩:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

 

বিমসটেক সম্মেলনের সাইডলাইনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই সম্ভাবনাকে ঘিরে জোর প্রস্তুতি চলছে ঢাকায়। তবে এখনও দিল্লির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক সম্মতি আসেনি।

পররাষ্ট্রসচিব এম জসীম উদ্দিন মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। ড. ইউনূসের আসন্ন চীন ও থাইল্যান্ড সফর সামনে রেখে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

বৈঠক প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, “আমরা যেকোনো দেশের সঙ্গে শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠককে গুরুত্ব দিয়ে দেখি। বিশেষ করে ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই বৈঠকটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আমরা মনে করি, যদি এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়, তবে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে যে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে, তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।”

তিনি আরও জানান, “বাংলাদেশ প্রস্তুত আমরা ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। এখন ভারতের ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি।”

এ সময় একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, দিল্লি প্রস্তুত কিনা তা কিভাবে জানা যাবে? জবাবে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, “দিল্লি প্রস্তুত কি না, সেটা দিল্লিই বলতে পারবে। তবে আমরা আশাবাদী ও অপেক্ষায় আছি।”

এই সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক আব্দুল মোতালেব সরকার, মোহাম্মদ নূরে আলম ও মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন এক সময় এই সম্ভাব্য বৈঠকের কথা সামনে এলো, যখন আঞ্চলিক কূটনীতিতে কিছুটা চ্যালেঞ্জ ও দূরত্ব দেখা দিয়েছে। ফলে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলে তা শুধু বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কই নয়, বরং গোটা দক্ষিণ এশিয়ার কূটনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন বার্তা দিতে পারে।

এখন চোখ দিল্লির দিকে দেখা যাক মোদি সরকার কী সিদ্ধান্ত নেয়।