ঢাকা ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :

আ. লীগের অনিয়মের ফলেই আজ সংকট ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন পড়েছে : বাণিজ্য উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:১৯:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
  • / ১৬ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণ এখন সময়ের দাবি হলেও, বিষয়টি ঘিরে তৈরি হয়েছে দ্বান্দ্বিক আলোচনা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সরকার উত্তরণের প্রস্তুতিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

সম্প্রতি সচিবালয়ে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমরা যেহেতু তিনটি আন্তর্জাতিক মানদণ্ডেই উত্তীর্ণ হয়েছি, তাই পেছনে ফেরার সুযোগ নেই। তবে প্রশ্ন থেকে যায় এই উত্তরণ কতটা টেকসই?”

তিনি বেসরকারি খাতের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন, “তারা এত বছর নীরব ছিল কেন? এখন কেন দেরিতে আওয়াজ তুলছে?” উপদেষ্টা মনে করেন, উত্তরণ বিলম্বিত করাটা সরকারের ইচ্ছার বিষয় নয় বরং এটি একটি বৈশ্বিক প্রক্রিয়া, যেটি সময়মতো সম্পন্ন করাই শ্রেয়।

তবে অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী মহলের একাংশ মনে করেন, বৈশ্বিক মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ সামাল দিতে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আরো কিছু সময় প্রয়োজন।

অন্যদিকে, প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, সরকার জাতিসংঘ নির্ধারিত সময়সূচি মেনে উত্তরণ সম্পন্ন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে শিল্পখাতে প্রভাব পর্যালোচনায় বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুসরণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ এলডিসি তালিকাভুক্ত হয় এবং সেই সুবিধার হাত ধরে চীনের পরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে। উত্তরণের পর তিন বছর ‘গ্রেস পিরিয়ড’ থাকলেও বাণিজ্যিক সুবিধা হারানোর ঝুঁকি রয়েছে।

বাংলাদেশ বর্তমানে ৩৮টি দেশে প্রায় ৭৮ শতাংশ রপ্তানির ওপর শুল্কমুক্ত সুবিধা পাচ্ছে। এলডিসি-পরবর্তী সময়ে এ সুবিধা প্রত্যাহার হলে বছরে প্রায় ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাণিজ্য ক্ষতি হতে পারে।

তবে আশার কথা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া ২০২৯ সাল পর্যন্ত শর্তসাপেক্ষে শুল্কমুক্ত সুবিধা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সরকার বলছে চ্যালেঞ্জ আছে, কিন্তু প্রত্যয় আরও দৃঢ়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আ. লীগের অনিয়মের ফলেই আজ সংকট ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন পড়েছে : বাণিজ্য উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৫:১৯:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

 

বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণ এখন সময়ের দাবি হলেও, বিষয়টি ঘিরে তৈরি হয়েছে দ্বান্দ্বিক আলোচনা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সরকার উত্তরণের প্রস্তুতিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

সম্প্রতি সচিবালয়ে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমরা যেহেতু তিনটি আন্তর্জাতিক মানদণ্ডেই উত্তীর্ণ হয়েছি, তাই পেছনে ফেরার সুযোগ নেই। তবে প্রশ্ন থেকে যায় এই উত্তরণ কতটা টেকসই?”

তিনি বেসরকারি খাতের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন, “তারা এত বছর নীরব ছিল কেন? এখন কেন দেরিতে আওয়াজ তুলছে?” উপদেষ্টা মনে করেন, উত্তরণ বিলম্বিত করাটা সরকারের ইচ্ছার বিষয় নয় বরং এটি একটি বৈশ্বিক প্রক্রিয়া, যেটি সময়মতো সম্পন্ন করাই শ্রেয়।

তবে অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী মহলের একাংশ মনে করেন, বৈশ্বিক মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ সামাল দিতে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আরো কিছু সময় প্রয়োজন।

অন্যদিকে, প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, সরকার জাতিসংঘ নির্ধারিত সময়সূচি মেনে উত্তরণ সম্পন্ন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে শিল্পখাতে প্রভাব পর্যালোচনায় বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুসরণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ এলডিসি তালিকাভুক্ত হয় এবং সেই সুবিধার হাত ধরে চীনের পরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে। উত্তরণের পর তিন বছর ‘গ্রেস পিরিয়ড’ থাকলেও বাণিজ্যিক সুবিধা হারানোর ঝুঁকি রয়েছে।

বাংলাদেশ বর্তমানে ৩৮টি দেশে প্রায় ৭৮ শতাংশ রপ্তানির ওপর শুল্কমুক্ত সুবিধা পাচ্ছে। এলডিসি-পরবর্তী সময়ে এ সুবিধা প্রত্যাহার হলে বছরে প্রায় ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাণিজ্য ক্ষতি হতে পারে।

তবে আশার কথা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া ২০২৯ সাল পর্যন্ত শর্তসাপেক্ষে শুল্কমুক্ত সুবিধা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সরকার বলছে চ্যালেঞ্জ আছে, কিন্তু প্রত্যয় আরও দৃঢ়।