ঢাকা ০৬:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতিসংঘের জুলাই অভ্যুত্থান রিপোর্টকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে সংরক্ষণে রুল জারি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইইউ-এর ১৭তম প্যাকেজের নিষেধাজ্ঞা: তুরস্ক সহ একাধিক দেশও এর অন্তর্ভুক্ত সুন্দরবন সুরক্ষায় নতুন কৌশলে বন বিভাগ, ফাঁদ জমা দিলে মিলছে পুরস্কার ভারতের অরুণাচলের ২৭ জায়গার নতুন নামকরণ করল চীন ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু আলোচনা নিয়ে সৌদির পূর্ণ সমর্থন আছে: সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্বনেতাদের সংলাপে আহ্বান নতুন পোপ লিও চতুর্দশের ভিসা সংকটে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে যাত্রী কমেছে, কমেছে রাজস্ব আয় মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে ৪৪ জন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করলো বিএসএফ ডিপ্লোমা নার্সিংকে ডিগ্রির মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে শাহবাগ নার্সিং শিক্ষার্থীদের অবরোধ আইপিএলে ৬ কোটি রুপিতে মোস্তাফিজকে দলে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস

পুতিনের সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে: ট্রাম্প

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৫৩:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
  • / 41

ছবি: সংগৃহীত

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার “ভালো ও ফলপ্রসূ” আলোচনা হয়েছে, যেখানে ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি এ আলোচনাকে শান্তি প্রতিষ্ঠার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

গত বৃহস্পতিবার মস্কোতে পুতিন ও মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফের মধ্যে বৈঠকের পর ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, “এই আলোচনা অবশেষে ভয়াবহ ও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান ঘটানোর খুব ভালো সুযোগ এনে দিয়েছে।”

অন্যদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই উদ্যোগকে সন্দেহের চোখে দেখছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, পুতিন কৌশলগতভাবে আলোচনাকে বিলম্বিত করে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চান। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারও পুতিনের উদ্দেশ্য নিয়ে সতর্ক করেছেন, বলেন, “রাশিয়াকে যুদ্ধবিরতির নামে ছলচাতুরী করতে দেওয়া যাবে না।”

গত সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে ইউক্রেন। তবে রাশিয়া এখনো এ বিষয়ে স্পষ্ট সিদ্ধান্ত নেয়নি। বৃহস্পতিবার পুতিন জানান, যুদ্ধবিরতির ধারণা তিনি সমর্থন করেন, তবে কিছু “জটিলতা” রয়েছে। পাশাপাশি তিনি বেশ কয়েকটি কঠিন শর্তারোপ করেছেন, যা ইউক্রেনের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। জেলেনস্কি পুতিনের এই অবস্থানকে “ছলনা” হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একাধিক পোস্টে লেখেন, “পুতিন এই যুদ্ধ থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন না, কারণ এতে তিনি সব হারাবেন। তাই তিনি শান্তি আলোচনাকে কঠিন শর্ত দিয়ে ধ্বংস করতে চান।”

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া, যা ঠান্ডা যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক সংঘাত সৃষ্টি করে। ২০২৪ সালের মাঝামাঝি থেকে রুশ বাহিনী ইউক্রেনে অগ্রসর হতে থাকে এবং ইতোমধ্যে প্রায় এক-পঞ্চমাংশ ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

ট্রাম্প স্পষ্ট করেছেন, তিনি দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধ চান না এবং দ্রুতই এই সংঘাতের অবসান দেখতে চান। তবে প্রশ্ন থেকে যায়, যুদ্ধবিরতি উদ্যোগ কি সত্যিই শান্তির ইঙ্গিত, নাকি নতুন রাজনৈতিক ও সামরিক কৌশলের অংশ?

নিউজটি শেয়ার করুন

পুতিনের সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে: ট্রাম্প

আপডেট সময় ১০:৫৩:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার “ভালো ও ফলপ্রসূ” আলোচনা হয়েছে, যেখানে ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি এ আলোচনাকে শান্তি প্রতিষ্ঠার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

গত বৃহস্পতিবার মস্কোতে পুতিন ও মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফের মধ্যে বৈঠকের পর ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, “এই আলোচনা অবশেষে ভয়াবহ ও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান ঘটানোর খুব ভালো সুযোগ এনে দিয়েছে।”

অন্যদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই উদ্যোগকে সন্দেহের চোখে দেখছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, পুতিন কৌশলগতভাবে আলোচনাকে বিলম্বিত করে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চান। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারও পুতিনের উদ্দেশ্য নিয়ে সতর্ক করেছেন, বলেন, “রাশিয়াকে যুদ্ধবিরতির নামে ছলচাতুরী করতে দেওয়া যাবে না।”

গত সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে ইউক্রেন। তবে রাশিয়া এখনো এ বিষয়ে স্পষ্ট সিদ্ধান্ত নেয়নি। বৃহস্পতিবার পুতিন জানান, যুদ্ধবিরতির ধারণা তিনি সমর্থন করেন, তবে কিছু “জটিলতা” রয়েছে। পাশাপাশি তিনি বেশ কয়েকটি কঠিন শর্তারোপ করেছেন, যা ইউক্রেনের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। জেলেনস্কি পুতিনের এই অবস্থানকে “ছলনা” হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একাধিক পোস্টে লেখেন, “পুতিন এই যুদ্ধ থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন না, কারণ এতে তিনি সব হারাবেন। তাই তিনি শান্তি আলোচনাকে কঠিন শর্ত দিয়ে ধ্বংস করতে চান।”

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া, যা ঠান্ডা যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক সংঘাত সৃষ্টি করে। ২০২৪ সালের মাঝামাঝি থেকে রুশ বাহিনী ইউক্রেনে অগ্রসর হতে থাকে এবং ইতোমধ্যে প্রায় এক-পঞ্চমাংশ ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

ট্রাম্প স্পষ্ট করেছেন, তিনি দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধ চান না এবং দ্রুতই এই সংঘাতের অবসান দেখতে চান। তবে প্রশ্ন থেকে যায়, যুদ্ধবিরতি উদ্যোগ কি সত্যিই শান্তির ইঙ্গিত, নাকি নতুন রাজনৈতিক ও সামরিক কৌশলের অংশ?