ঢাকা ১০:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সাত দিনের মধ্যে মাগুরায় ধর্ষণের বিচার কাজ শুরু: আইন উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল রাশিয়ায়, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনার সূচনা বলিভিয়ার পোটোসি অঞ্চলে বাস দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত, আহত ২০ জন নির্যাতিত শিশু আছিয়ার মৃত্যু, বিচার দাবি জামায়াত আমিরের আছিয়ার ধর্ষকদের ফাঁসি কার্যকর করে ন্যায়বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হোক: হাসনাত-সারজিস মাদকবিরোধী অভিযানে মানবতাবিরোধী অপরাধের সব দায় নিলেন দুতার্তে, আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি মাগুরার শিশুটির মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক, দ্রুত বিচার দাবি সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ আরও দুই মাস বাড়ল শনি গ্রহের চারপাশে নতুন ১২৮টি চাঁদের সন্ধান, আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি প্রদান আইজিপির আহ্বান: পুলিশের ওপর আক্রমণ না করে সহযোগিতা করুন

শাহজালাল বিমানবন্দরে এয়ার ট্রাফিক সিস্টেমে অটোমেশন: উন্নয়ন যুগের সূচনা

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক সিস্টেমে অটোমেশন প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে, যা এই গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরটির পরিচালনা এবং কার্যক্রমকে একটি নতুন যুগে নিয়ে যাবে। সিগন্যালের সময় কমিয়ে উড়োজাহাজ ওঠানামার পরিমাণ বৃদ্ধি করবে এই প্রযুক্তি, এবং আগামী মে মাসের মধ্যেই এর কার্যক্রম চালু হওয়ার আশা রয়েছে, জানিয়েছেন সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। বিশেষজ্ঞরা এ উদ্যোগকে যুগান্তকারী হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, যেটি বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনায় একটি নতুন দিগন্ত খুলে দিবে।

পাঁচ দশক পার করা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, যেখানে আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজ এখনো শেষ হয়নি, তবুও একক এয়ারফিল্ড ব্যবস্থার কারণে নানা সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করা যাচ্ছে না।
রক্ষণাবেক্ষণ এবং নানা সংকটের কারণে বিমান ওঠানামায় মাঝে মাঝেই রিশিডিউল করতে হয়, যা যাত্রীদের জন্য অস্বস্তিকর। অন্যদিকে, এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টের অটোমেশন না থাকায় এয়ারপোর্টের অ্যাপ্রোন এবং পার্কিং কার্যক্রম প্রধানত ব্যক্তি নির্ভর ছিল, যার ফলে সব কার্যক্রম চলত ধীর গতিতে।

এ পরিস্থিতির পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে, শাহজালাল বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় অটোমেশন চালু করা হচ্ছে। বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, “স্মার্ট সিস্টেম তৈরি করা হচ্ছে, যা ট্রাফিক কন্ট্রোলের সক্ষমতা বাড়াবে এবং এপ্রিল-মে মাস থেকেই এই সিস্টেম চালু হবে।” এটি বিমান অবতরণ, উড্ডয়ন এবং পার্কিং সবকিছুর অটোমেশন করবে, যা বিমানবন্দর পরিচালনাকে আরও সহজ এবং কার্যকর করবে।

এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টে সাধারণত থাকে ট্রাফিক সার্ভিস, ফ্লাইট ইনফরমেশন, এয়ারস্পেস ম্যানেজমেন্ট এবং এলার্টিং সার্ভিস। অটোমেশন চালু হলে ফ্লাইট ওঠানামার সংখ্যা বাড়বে, এবং বিমানবন্দর পরিচালনার সক্ষমতা বাড়বে। ইউনাইটেড কলেজ অব অটোমেশনের উপদেষ্টা এ. টি. এম. নজরুল ইসলাম বলেন, “অটোমেশন বিমানবন্দরের কার্যক্রমকে দ্রুত ও কার্যকরী করবে।”

তবে, বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, নতুন ব্যবস্থাপনায় সফলতা নিশ্চিত করতে সঠিক প্রশিক্ষণ এবং সঠিক ডেটা এন্ট্রি প্রয়োজন, নাহলে বিপর্যয়ের শঙ্কা থেকেই যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৬:৫২:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫
৫০৮ বার পড়া হয়েছে

শাহজালাল বিমানবন্দরে এয়ার ট্রাফিক সিস্টেমে অটোমেশন: উন্নয়ন যুগের সূচনা

আপডেট সময় ০৬:৫২:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

 

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক সিস্টেমে অটোমেশন প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে, যা এই গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরটির পরিচালনা এবং কার্যক্রমকে একটি নতুন যুগে নিয়ে যাবে। সিগন্যালের সময় কমিয়ে উড়োজাহাজ ওঠানামার পরিমাণ বৃদ্ধি করবে এই প্রযুক্তি, এবং আগামী মে মাসের মধ্যেই এর কার্যক্রম চালু হওয়ার আশা রয়েছে, জানিয়েছেন সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। বিশেষজ্ঞরা এ উদ্যোগকে যুগান্তকারী হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, যেটি বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনায় একটি নতুন দিগন্ত খুলে দিবে।

পাঁচ দশক পার করা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, যেখানে আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজ এখনো শেষ হয়নি, তবুও একক এয়ারফিল্ড ব্যবস্থার কারণে নানা সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করা যাচ্ছে না।
রক্ষণাবেক্ষণ এবং নানা সংকটের কারণে বিমান ওঠানামায় মাঝে মাঝেই রিশিডিউল করতে হয়, যা যাত্রীদের জন্য অস্বস্তিকর। অন্যদিকে, এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টের অটোমেশন না থাকায় এয়ারপোর্টের অ্যাপ্রোন এবং পার্কিং কার্যক্রম প্রধানত ব্যক্তি নির্ভর ছিল, যার ফলে সব কার্যক্রম চলত ধীর গতিতে।

এ পরিস্থিতির পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে, শাহজালাল বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় অটোমেশন চালু করা হচ্ছে। বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, “স্মার্ট সিস্টেম তৈরি করা হচ্ছে, যা ট্রাফিক কন্ট্রোলের সক্ষমতা বাড়াবে এবং এপ্রিল-মে মাস থেকেই এই সিস্টেম চালু হবে।” এটি বিমান অবতরণ, উড্ডয়ন এবং পার্কিং সবকিছুর অটোমেশন করবে, যা বিমানবন্দর পরিচালনাকে আরও সহজ এবং কার্যকর করবে।

এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টে সাধারণত থাকে ট্রাফিক সার্ভিস, ফ্লাইট ইনফরমেশন, এয়ারস্পেস ম্যানেজমেন্ট এবং এলার্টিং সার্ভিস। অটোমেশন চালু হলে ফ্লাইট ওঠানামার সংখ্যা বাড়বে, এবং বিমানবন্দর পরিচালনার সক্ষমতা বাড়বে। ইউনাইটেড কলেজ অব অটোমেশনের উপদেষ্টা এ. টি. এম. নজরুল ইসলাম বলেন, “অটোমেশন বিমানবন্দরের কার্যক্রমকে দ্রুত ও কার্যকরী করবে।”

তবে, বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, নতুন ব্যবস্থাপনায় সফলতা নিশ্চিত করতে সঠিক প্রশিক্ষণ এবং সঠিক ডেটা এন্ট্রি প্রয়োজন, নাহলে বিপর্যয়ের শঙ্কা থেকেই যাবে।