ঢাকা ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প বেলুন, রশি আর জেদ, এই তিন দিয়েই ডুবন্ত যুদ্ধজাহাজ তুলল উত্তর কোরিয়া 🕋 পবিত্র হজ আজ

ধর্ষণ ও নারী নিপীড়ন বিরোধী আন্দোলনে সরকারের দৃঢ় অবস্থান: পুলিশ ও জনগণের সহযোগিতার আহ্বান তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:২০:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
  • / 28

ছবি সংগৃহীত

 

ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে সরকার দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং এ বিষয়ে আরও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের প্রতি সরকারের আন্তরিকতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি এও উল্লেখ করেন যে, নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে পুলিশ ও জনগণের সম্মিলিত উদ্যোগ জরুরি। তবে, তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, কোনো পরিস্থিতি যেন রাষ্ট্রবিরোধী শক্তির কাছে সুযোগ না দেয়, এবং অস্থিতিশীলতার কোনো প্রচেষ্টা যেন প্রশ্রয় না পায়।

মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকার শাহবাগ এলাকায় ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ প্ল্যাটফর্মের আয়োজনে ধর্ষণবিরোধী পদযাত্রার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন উপদেষ্টা। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি সরকারবিরোধী প্রতিবাদকে ‘ফ্যাশন স্টেটমেন্ট’ হিসেবে না দেখার আহ্বান জানান এবং বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারকে বাধাগ্রস্ত না করার উপর জোর দেন।

মাহফুজ আলম আরও বলেন, ‘পুলিশ এখন পর্যন্ত নারীবিদ্বেষী ও ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে এবং এভাবেই জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে।’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, পুলিশ একা আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারবে না, রাষ্ট্রের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

এ সময় তিনি পুলিশ বিভাগের সংস্কারের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘পুলিশের মনোবল পুনঃস্থাপন করতে সময় এবং সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। নাগরিকদের সেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে পুলিশের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।’
এছাড়া, উপদেষ্টা মনে করেন, ‘মব বিচার’ বা জনতার হাতে আইন তুলে নেওয়ার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে হবে। অভ্যুত্থানের শিবিরের গালভরা স্লোগান ও সহিংসতার পথ পরিহার করে, একটি সুস্পষ্ট রূপরেখা নিয়ে সবার মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজে বের করা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ সবার, সকল নাগরিকের। সরকারের অবস্থান স্পষ্ট কোনো নাগরিকের বিরুদ্ধে সহিংসতা সহ্য করা হবে না। তবে, নাগরিক আন্দোলন যেন মব সন্ত্রাস বা মব জাস্টিসের দিকে না চলে যায়, সে জন্য সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।’

এভাবে সরকারের সার্বিক পদক্ষেপের মাধ্যমে ধর্ষণ ও নারী নিপীড়ন বিরোধী আন্দোলন আরও শক্তিশালী হবে বলে তিনি আশাবাদী।

নিউজটি শেয়ার করুন

ধর্ষণ ও নারী নিপীড়ন বিরোধী আন্দোলনে সরকারের দৃঢ় অবস্থান: পুলিশ ও জনগণের সহযোগিতার আহ্বান তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টার

আপডেট সময় ১১:২০:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

 

ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে সরকার দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং এ বিষয়ে আরও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের প্রতি সরকারের আন্তরিকতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি এও উল্লেখ করেন যে, নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে পুলিশ ও জনগণের সম্মিলিত উদ্যোগ জরুরি। তবে, তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, কোনো পরিস্থিতি যেন রাষ্ট্রবিরোধী শক্তির কাছে সুযোগ না দেয়, এবং অস্থিতিশীলতার কোনো প্রচেষ্টা যেন প্রশ্রয় না পায়।

মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকার শাহবাগ এলাকায় ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ প্ল্যাটফর্মের আয়োজনে ধর্ষণবিরোধী পদযাত্রার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন উপদেষ্টা। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি সরকারবিরোধী প্রতিবাদকে ‘ফ্যাশন স্টেটমেন্ট’ হিসেবে না দেখার আহ্বান জানান এবং বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারকে বাধাগ্রস্ত না করার উপর জোর দেন।

মাহফুজ আলম আরও বলেন, ‘পুলিশ এখন পর্যন্ত নারীবিদ্বেষী ও ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে এবং এভাবেই জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে।’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, পুলিশ একা আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারবে না, রাষ্ট্রের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

এ সময় তিনি পুলিশ বিভাগের সংস্কারের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘পুলিশের মনোবল পুনঃস্থাপন করতে সময় এবং সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। নাগরিকদের সেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে পুলিশের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।’
এছাড়া, উপদেষ্টা মনে করেন, ‘মব বিচার’ বা জনতার হাতে আইন তুলে নেওয়ার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে হবে। অভ্যুত্থানের শিবিরের গালভরা স্লোগান ও সহিংসতার পথ পরিহার করে, একটি সুস্পষ্ট রূপরেখা নিয়ে সবার মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজে বের করা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ সবার, সকল নাগরিকের। সরকারের অবস্থান স্পষ্ট কোনো নাগরিকের বিরুদ্ধে সহিংসতা সহ্য করা হবে না। তবে, নাগরিক আন্দোলন যেন মব সন্ত্রাস বা মব জাস্টিসের দিকে না চলে যায়, সে জন্য সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।’

এভাবে সরকারের সার্বিক পদক্ষেপের মাধ্যমে ধর্ষণ ও নারী নিপীড়ন বিরোধী আন্দোলন আরও শক্তিশালী হবে বলে তিনি আশাবাদী।