ঢাকা ১০:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হবিগঞ্জে দীর্ঘদিনের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে ঈদে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক লস এঞ্জেলেসে প্রতিবাদে বিক্ষোভ, নিয়ন্ত্রণে ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন” বিশ্ব সমুদ্র দিবস আজ ঈদের দ্বিতীয় দিন চলবে অধিকাংশ আন্তঃনগর ট্রেন, যুক্ত হচ্ছে অতিরিক্ত কোচ লন্ডনে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য বৈঠক সোমবার গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে হামলায় বিএনপি নেতার মৃত্যু ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেওয়া থেকে সরে দাঁড়াল ইউরোপের দুই প্রভাবশালী দেশ ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত ঢাকা থেকে বিদায় নিয়েছে ভুটান দল, রাতে আসছে সিঙ্গাপুরের ৪২ সদস্য বরগুনায় কোরবানির দিনে পশু কাটতে গিয়ে আহত ২০ জন

দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার মুখে শেখ হাসিনা ও পরিবারের সদস্যরা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:২২:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
  • / 22

ছবি সংগৃহীত

 

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব মঙ্গলবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

দুদকের উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম আদালতে এ সংক্রান্ত আবেদন করেন, যেখানে বলা হয় শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, ছোট বোন শেখ রেহানা, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, রেহানার মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিক এবং ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের নামে প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। দুদক এই অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।

দুদক জানিয়েছে, অভিযোগটি খতিয়ে দেখতে পাঁচ সদস্যের একটি অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়েছে। তদন্ত চলাকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তরা গোপনে দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে তদন্তের গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ড ও তথ্য সংগ্রহে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে, যা অনুসন্ধান প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করবে। এ কারণেই তাদের বিদেশ যাত্রা রোধ করা জরুরি হয়ে পড়ে।

আদালতের এই আদেশ দেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। দেশের ইতিহাসে দুর্নীতি দমন সংক্রান্ত এমন সিদ্ধান্ত বিরল ঘটনা। তবে অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের এই পদক্ষেপ বিচার ব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার একটি বড় পরীক্ষা। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে এটি দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। তবে,
অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার আগেই দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার মতো সিদ্ধান্ত কতটা যৌক্তিক সে নিয়েও নানা মহলে আলোচনা চলছে।

এদিকে, সাধারণ জনগণের মধ্যে এ ইস্যু নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ এটিকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের প্রতিফলন হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ বলছেন, এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হতে পারে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার মুখে শেখ হাসিনা ও পরিবারের সদস্যরা

আপডেট সময় ০৭:২২:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

 

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব মঙ্গলবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

দুদকের উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম আদালতে এ সংক্রান্ত আবেদন করেন, যেখানে বলা হয় শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, ছোট বোন শেখ রেহানা, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, রেহানার মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিক এবং ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের নামে প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। দুদক এই অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।

দুদক জানিয়েছে, অভিযোগটি খতিয়ে দেখতে পাঁচ সদস্যের একটি অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়েছে। তদন্ত চলাকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তরা গোপনে দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে তদন্তের গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ড ও তথ্য সংগ্রহে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে, যা অনুসন্ধান প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করবে। এ কারণেই তাদের বিদেশ যাত্রা রোধ করা জরুরি হয়ে পড়ে।

আদালতের এই আদেশ দেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। দেশের ইতিহাসে দুর্নীতি দমন সংক্রান্ত এমন সিদ্ধান্ত বিরল ঘটনা। তবে অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের এই পদক্ষেপ বিচার ব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার একটি বড় পরীক্ষা। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে এটি দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। তবে,
অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার আগেই দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার মতো সিদ্ধান্ত কতটা যৌক্তিক সে নিয়েও নানা মহলে আলোচনা চলছে।

এদিকে, সাধারণ জনগণের মধ্যে এ ইস্যু নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ এটিকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের প্রতিফলন হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ বলছেন, এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হতে পারে।