ঢাকা ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শতাব্দীর আতঙ্ক ‘নর’ইস্টার’ ঝড় নিয়ে প্রকাশিত হলো চাঞ্চল্যকর সব সত্য ভালুকায় গৃহবধূ ও দুই সন্তান হত্যা: প্রধান আসামি দেবর নজরুল গ্রেপ্তার উদ্ভিদের গোপন শব্দে সাড়া দেয় পতঙ্গ ও প্রাণীরা: গবেষণায় উদ্ভিদের ভাষার রহস্য উদঘাটন বাংলাদেশের জাহাজ ও বন্দর খাতে বিনিয়োগে সিঙ্গাপুরকে আহ্বান: নৌ উপদেষ্টা শামীম ওসমান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা, সন্তানদের সম্পদ বিবরণীর নোটিশ সংখ্যাগরিষ্ঠ দল ও জোট দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ প্রতিষ্ঠায় একমত হয়েছে: আলী রীয়াজ অপরাধী যেন কেউ ছাড়া না পায়, কঠোরভাবে দমন করতে হবে: ডিএমপি কমিশনার জনগণের সেন্টিমেন্ট বুঝে আগামী রমজানের আগেই নির্বাচন দিন: কুড়িগ্রামে রিজভী মাদরাসা আমাদের ঐতিহ্যের ধারক, এটিকে টিকিয়ে রাখতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস কখনো ‘জাতীয় সংস্কারক’ উপাধির স্বীকৃতি চান নি: প্রেস উইং

বাংলাদেশ-ভারত গঙ্গা পানি চুক্তিতে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল: নতুন আলোচনা শুরু কলকাতায়

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৩০:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫
  • / 38

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে গঙ্গা পানি চুক্তি নিয়ে নতুন আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল সোমবার (৩ মার্চ) কলকাতার উদ্দেশে রওনা হয়েছে। পাঁচ দিনের এই সফরে প্রতিনিধি দলটি পানি চুক্তি সংক্রান্ত বৈঠক ছাড়াও ফারাক্কা বাঁধ পরিদর্শন করবেন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন যৌথ নদী কমিশনের সদস্য মোহাম্মদ আবুল হোসেন।

প্রতিনিধি দলটি কলকাতায় পৌঁছানোর পর প্রথমেই ফারাক্কা বাঁধ পরিদর্শন করবেন। ৪ মার্চ তারা ফারাক্কা বাঁধে জল প্রবাহ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের জন্য সরজমিনে পরিদর্শন করবেন। এরপর ৬ ও ৭ মার্চ কলকাতার একটি পাঁচতারকা হোটেলে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কমিশনার আরআর সাম্ভারিয়া পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে চিঠি দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করেছেন।

বর্তমানে যে গঙ্গা পানি চুক্তি কার্যকর রয়েছে, তা ১৯৯৬ সালে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ৩০ বছর মেয়াদী এই চুক্তি আগামী বছর শেষ হতে যাচ্ছে। চুক্তির সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছিলেন। গত বছর পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি ভারত সফরকালে গঙ্গা পানি চুক্তি নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা করেছিলেন।

এবার বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বাড়তি পানি দাবি তোলার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ভারত তা মেনে নেবে কি না, তা রাজ্য সরকারের অবস্থানের ওপর নির্ভর করছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দাবি, গঙ্গায় অতিরিক্ত পানি নেই, তাই বাংলাদেশকে আরো পানি দেয়া সম্ভব নয়। ফলে গঙ্গা পানি চুক্তি নিয়ে তিস্তার মতো নতুন কোনো বিতর্কের উদ্ভব হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এবারের সফর চুক্তি সম্পর্কিত নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা তৈরির এক সুযোগ হতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ-ভারত গঙ্গা পানি চুক্তিতে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল: নতুন আলোচনা শুরু কলকাতায়

আপডেট সময় ০১:৩০:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫

 

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে গঙ্গা পানি চুক্তি নিয়ে নতুন আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল সোমবার (৩ মার্চ) কলকাতার উদ্দেশে রওনা হয়েছে। পাঁচ দিনের এই সফরে প্রতিনিধি দলটি পানি চুক্তি সংক্রান্ত বৈঠক ছাড়াও ফারাক্কা বাঁধ পরিদর্শন করবেন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন যৌথ নদী কমিশনের সদস্য মোহাম্মদ আবুল হোসেন।

প্রতিনিধি দলটি কলকাতায় পৌঁছানোর পর প্রথমেই ফারাক্কা বাঁধ পরিদর্শন করবেন। ৪ মার্চ তারা ফারাক্কা বাঁধে জল প্রবাহ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের জন্য সরজমিনে পরিদর্শন করবেন। এরপর ৬ ও ৭ মার্চ কলকাতার একটি পাঁচতারকা হোটেলে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কমিশনার আরআর সাম্ভারিয়া পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে চিঠি দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করেছেন।

বর্তমানে যে গঙ্গা পানি চুক্তি কার্যকর রয়েছে, তা ১৯৯৬ সালে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ৩০ বছর মেয়াদী এই চুক্তি আগামী বছর শেষ হতে যাচ্ছে। চুক্তির সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছিলেন। গত বছর পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি ভারত সফরকালে গঙ্গা পানি চুক্তি নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা করেছিলেন।

এবার বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বাড়তি পানি দাবি তোলার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ভারত তা মেনে নেবে কি না, তা রাজ্য সরকারের অবস্থানের ওপর নির্ভর করছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দাবি, গঙ্গায় অতিরিক্ত পানি নেই, তাই বাংলাদেশকে আরো পানি দেয়া সম্ভব নয়। ফলে গঙ্গা পানি চুক্তি নিয়ে তিস্তার মতো নতুন কোনো বিতর্কের উদ্ভব হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এবারের সফর চুক্তি সম্পর্কিত নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা তৈরির এক সুযোগ হতে পারে।