ঢাকা ১১:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৩ মার্চ ২০২৫, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শান্তিরক্ষা মিশন এলাকা সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক পরিদর্শনে গেলেন সেনাবাহিনী প্রধান তুরস্ক বিশ্ব রাজনীতিতে ‘পাকা খেলোয়াড়’ : এরদোয়ান মির্জা ফখরুলের সুস্থতা কামনা করলেন জামায়াত আমির বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের নাম পরিবর্তন: নতুন নাম বাংলাদেশ স্যাটেলাইট-১ মঙ্গলবার জাতীয় নাগরিক পার্টির দুই কর্মসূচি শাহজাদপুরে আবাসিক হোটেলে অগ্নিকাণ্ড: তালাবদ্ধ সিঁড়ির ফাঁদে চারজনের মৃত্যু রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শন: নীতিমালার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে হাইকোর্টের রুল ইউক্রেনকে রক্ষা করতে যুক্তরাজ্যের ‘কোয়ালিশন অব উইলিং’ জোট গড়ার আহ্বান ইউক্রেনের পাশে ইউরোপ, স্টারমারের চার দফা কর্মসূচি: নতুন জোট গঠনের পরিকল্পনা লা লিগার শীর্ষে বার্সা, প্রিমিয়ার লিগের মুকুটের খুব কাছে লিভারপুল

বাংলাদেশ-ভারত গঙ্গা পানি চুক্তিতে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল: নতুন আলোচনা শুরু কলকাতায়

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে গঙ্গা পানি চুক্তি নিয়ে নতুন আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল সোমবার (৩ মার্চ) কলকাতার উদ্দেশে রওনা হয়েছে। পাঁচ দিনের এই সফরে প্রতিনিধি দলটি পানি চুক্তি সংক্রান্ত বৈঠক ছাড়াও ফারাক্কা বাঁধ পরিদর্শন করবেন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন যৌথ নদী কমিশনের সদস্য মোহাম্মদ আবুল হোসেন।

প্রতিনিধি দলটি কলকাতায় পৌঁছানোর পর প্রথমেই ফারাক্কা বাঁধ পরিদর্শন করবেন। ৪ মার্চ তারা ফারাক্কা বাঁধে জল প্রবাহ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের জন্য সরজমিনে পরিদর্শন করবেন। এরপর ৬ ও ৭ মার্চ কলকাতার একটি পাঁচতারকা হোটেলে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কমিশনার আরআর সাম্ভারিয়া পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে চিঠি দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করেছেন।

বর্তমানে যে গঙ্গা পানি চুক্তি কার্যকর রয়েছে, তা ১৯৯৬ সালে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ৩০ বছর মেয়াদী এই চুক্তি আগামী বছর শেষ হতে যাচ্ছে। চুক্তির সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছিলেন। গত বছর পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি ভারত সফরকালে গঙ্গা পানি চুক্তি নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা করেছিলেন।

এবার বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বাড়তি পানি দাবি তোলার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ভারত তা মেনে নেবে কি না, তা রাজ্য সরকারের অবস্থানের ওপর নির্ভর করছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দাবি, গঙ্গায় অতিরিক্ত পানি নেই, তাই বাংলাদেশকে আরো পানি দেয়া সম্ভব নয়। ফলে গঙ্গা পানি চুক্তি নিয়ে তিস্তার মতো নতুন কোনো বিতর্কের উদ্ভব হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এবারের সফর চুক্তি সম্পর্কিত নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা তৈরির এক সুযোগ হতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০১:৩০:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫
৫০৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ-ভারত গঙ্গা পানি চুক্তিতে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল: নতুন আলোচনা শুরু কলকাতায়

আপডেট সময় ০১:৩০:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫

 

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে গঙ্গা পানি চুক্তি নিয়ে নতুন আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল সোমবার (৩ মার্চ) কলকাতার উদ্দেশে রওনা হয়েছে। পাঁচ দিনের এই সফরে প্রতিনিধি দলটি পানি চুক্তি সংক্রান্ত বৈঠক ছাড়াও ফারাক্কা বাঁধ পরিদর্শন করবেন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন যৌথ নদী কমিশনের সদস্য মোহাম্মদ আবুল হোসেন।

প্রতিনিধি দলটি কলকাতায় পৌঁছানোর পর প্রথমেই ফারাক্কা বাঁধ পরিদর্শন করবেন। ৪ মার্চ তারা ফারাক্কা বাঁধে জল প্রবাহ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের জন্য সরজমিনে পরিদর্শন করবেন। এরপর ৬ ও ৭ মার্চ কলকাতার একটি পাঁচতারকা হোটেলে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কমিশনার আরআর সাম্ভারিয়া পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে চিঠি দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করেছেন।

বর্তমানে যে গঙ্গা পানি চুক্তি কার্যকর রয়েছে, তা ১৯৯৬ সালে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ৩০ বছর মেয়াদী এই চুক্তি আগামী বছর শেষ হতে যাচ্ছে। চুক্তির সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছিলেন। গত বছর পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি ভারত সফরকালে গঙ্গা পানি চুক্তি নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা করেছিলেন।

এবার বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বাড়তি পানি দাবি তোলার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ভারত তা মেনে নেবে কি না, তা রাজ্য সরকারের অবস্থানের ওপর নির্ভর করছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দাবি, গঙ্গায় অতিরিক্ত পানি নেই, তাই বাংলাদেশকে আরো পানি দেয়া সম্ভব নয়। ফলে গঙ্গা পানি চুক্তি নিয়ে তিস্তার মতো নতুন কোনো বিতর্কের উদ্ভব হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এবারের সফর চুক্তি সম্পর্কিত নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা তৈরির এক সুযোগ হতে পারে।