ঢাকা ০৫:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প

বাংলাদেশ ব্যাংক দুর্নীতি তদন্তে নতুন মোড়: দুদক পরিচালক প্রত্যাহার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৩৬:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 65

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের দুর্নীতির তদন্ত থেকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামানকে হঠাৎ করেই প্রত্যাহার করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছে।

দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন জানিয়েছেন, তদন্ত কার্যক্রমে তদারককারী হিসেবে কাজী সায়েমুজ্জামানকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের লকার সংক্রান্ত মন্তব্যের জন্য তাকে কৈফিয়ত দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত লকার তদন্ত নিয়ে দুদকের অভিযান প্রশ্নবিদ্ধ হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক দুদক চেয়ারম্যানকে দেওয়া এক চিঠিতে জানায়, অভিযুক্ত পরিচালকের সামাজিক মাধ্যমে করা মন্তব্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নীতিমালার পরিপন্থী।

বাংলাদেশ ব্যাংকে দুদকের অভিযান

রোববার দুদকের একটি দল বাংলাদেশ ব্যাংকে অভিযান চালায়। তদন্তে দেখা যায়, সন্দেহভাজন ২৫ কর্মকর্তার নামে কোনো লকার নেই। তবে আরও কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকায় ভবিষ্যতে আদালতের অনুমোদন নিয়ে অভিযান চালানো হতে পারে।

এর আগে ২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ভল্টে ব্যক্তিগত লকার সাময়িকভাবে ‘ফ্রিজ’ করার জন্য গভর্নরকে চিঠি দেয় দুদক। ২৬ জানুয়ারি আদালতের অনুমোদন নিয়ে এক ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর সেফ ডিপোজিট লকার তল্লাশি করে দুদক। সেখান থেকে ৫৫ হাজার ইউরো, ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার, ১০০৫.৪ গ্রাম স্বর্ণ ও ৭০ লাখ টাকার এফডিআর উদ্ধার করা হয়, যা আয়কর নথিতে ছিল না।

নজরদারিতে আরও ২৫ কর্মকর্তা

বাংলাদেশ ব্যাংকের ২৫ জন সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তা দুর্নীতি, অর্থপাচার ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে দুদকের নজরদারিতে রয়েছেন। এখন পর্যন্ত ২৭২টি সেফ ডিপোজিট লকার চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। দুদক জানিয়েছে, তদন্ত অব্যাহত থাকবে এবং প্রয়োজনে আরও অভিযান পরিচালনা করা হবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ ব্যাংক দুর্নীতি তদন্তে নতুন মোড়: দুদক পরিচালক প্রত্যাহার

আপডেট সময় ১০:৩৬:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের দুর্নীতির তদন্ত থেকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামানকে হঠাৎ করেই প্রত্যাহার করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছে।

দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন জানিয়েছেন, তদন্ত কার্যক্রমে তদারককারী হিসেবে কাজী সায়েমুজ্জামানকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের লকার সংক্রান্ত মন্তব্যের জন্য তাকে কৈফিয়ত দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত লকার তদন্ত নিয়ে দুদকের অভিযান প্রশ্নবিদ্ধ হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক দুদক চেয়ারম্যানকে দেওয়া এক চিঠিতে জানায়, অভিযুক্ত পরিচালকের সামাজিক মাধ্যমে করা মন্তব্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নীতিমালার পরিপন্থী।

বাংলাদেশ ব্যাংকে দুদকের অভিযান

রোববার দুদকের একটি দল বাংলাদেশ ব্যাংকে অভিযান চালায়। তদন্তে দেখা যায়, সন্দেহভাজন ২৫ কর্মকর্তার নামে কোনো লকার নেই। তবে আরও কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকায় ভবিষ্যতে আদালতের অনুমোদন নিয়ে অভিযান চালানো হতে পারে।

এর আগে ২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ভল্টে ব্যক্তিগত লকার সাময়িকভাবে ‘ফ্রিজ’ করার জন্য গভর্নরকে চিঠি দেয় দুদক। ২৬ জানুয়ারি আদালতের অনুমোদন নিয়ে এক ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর সেফ ডিপোজিট লকার তল্লাশি করে দুদক। সেখান থেকে ৫৫ হাজার ইউরো, ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার, ১০০৫.৪ গ্রাম স্বর্ণ ও ৭০ লাখ টাকার এফডিআর উদ্ধার করা হয়, যা আয়কর নথিতে ছিল না।

নজরদারিতে আরও ২৫ কর্মকর্তা

বাংলাদেশ ব্যাংকের ২৫ জন সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তা দুর্নীতি, অর্থপাচার ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে দুদকের নজরদারিতে রয়েছেন। এখন পর্যন্ত ২৭২টি সেফ ডিপোজিট লকার চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। দুদক জানিয়েছে, তদন্ত অব্যাহত থাকবে এবং প্রয়োজনে আরও অভিযান পরিচালনা করা হবে।