ঢাকা ০৮:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আসন্ন পাকিস্তান সিরিজের দল ঘোষণা করলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) রাজনৈতিক কর্মসূচি বা বক্তব্যের আগে দলকে হিসেব-নিকেশ করতে হবে: এ্যানি পুলিশের ১১০ কর্মকর্তাকে এসআই থেকে ইন্সপেক্টর পদে উত্তরণ পাকিস্তানে টানা বৃষ্টিতে ২৪ ঘণ্টায় ৬৩ জনের মৃত্যু, দুর্ভোগে লাখো মানুষ গোয়েন্দা তথ্য ছিল, কিন্তু এমন ব্যাপকতা ধারণা করা যায়নি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা” কিশোরগঞ্জে ব্যবসায়ী সৈয়দুর হত্যা মামলায় ১৩ জনের যাবজ্জীবন রাশিয়া-ইউক্রেন পাল্টাপাল্টি ড্রোন হামলার তীব্রতা, দুই পক্ষেই হতাহত ভোটার তালিকা সংযোজনসহ তিনটি অধ্যাদেশের খসড়া উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন অবৈধ ৬২ কোটি টাকার সম্পদের প্রমাণ মিলেছে তারিক সিদ্দিকের: দুদক চকরিয়ায় চুরি করতে গিয়ে পুলিশের স্ত্রীকে ধর্ষণ, আটক ১

অবৈধ ৬২ কোটি টাকার সম্পদের প্রমাণ মিলেছে তারিক সিদ্দিকের: দুদক

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:২১:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
  • / 3

ছবি সংগৃহীত

 

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ৬২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়া, তার স্ত্রী ও দুই সন্তানের নামেও ১২২ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, “তদন্তে দেশে ও বিদেশে আরও অনেক সম্পদের ইঙ্গিত মিলেছে। যাচাই-বাছাই ও দালিলিক প্রমাণ মিললেই সেগুলোও মামলার আওতায় আনা হবে।”

তদন্ত সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরের বাঙ্গালগাছ এলাকায় তারিক সিদ্দিক নির্মাণ করেছেন ‘বাগানবিলাস’ নামে একটি বিলাসবহুল বাগানবাড়ি। একই জেলার ফাওকাল এলাকাতেও রয়েছে তার ডুপ্লেক্স ভবনসহ বিশাল সম্পত্তি।

শুধু গাজীপুরেই নয়, রাজধানীর অভিজাত এলাকাগুলোতেও তার নামে ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নামে জমি ও বাড়ির মালিকানা রয়েছে। বারিধারা আবাসিক এলাকার পার্ক ভ্যালিতে রয়েছে একটি ফ্ল্যাট, আর বারিধারা ডিওএইচএসে রয়েছে সাততলা বিশিষ্ট একটি বাড়ি।

দুদক জানায়, তারিক সিদ্দিকের পরিবারের নামে প্রচুর সম্পদের তথ্য থাকলেও এখন পর্যন্ত দালিলিক প্রমাণে ৬২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের সন্ধান মিলেছে। পাশাপাশি ১২২ কোটি টাকার সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি নজরে এসেছে।

এছাড়া বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের নামে প্রায় ৮০০ কোটি টাকার বেশি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এরইমধ্যে তারিক সিদ্দিকসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে পৃথক মামলাও করা হয়েছে।

দুদকের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, “সম্পদের উৎস ও বৈধতা যাচাইয়ের পর প্রতিটি মামলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কমিশনের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর।”

এদিকে, উচ্চ পর্যায়ের এই সাবেক কর্মকর্তার এমন দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসায় রাজনৈতিক মহলসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তদন্তের অগ্রগতি অনুযায়ী মামলার পরিধি আরও বাড়তে পারে বলে জানা গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

অবৈধ ৬২ কোটি টাকার সম্পদের প্রমাণ মিলেছে তারিক সিদ্দিকের: দুদক

আপডেট সময় ০৭:২১:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

 

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ৬২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়া, তার স্ত্রী ও দুই সন্তানের নামেও ১২২ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, “তদন্তে দেশে ও বিদেশে আরও অনেক সম্পদের ইঙ্গিত মিলেছে। যাচাই-বাছাই ও দালিলিক প্রমাণ মিললেই সেগুলোও মামলার আওতায় আনা হবে।”

তদন্ত সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরের বাঙ্গালগাছ এলাকায় তারিক সিদ্দিক নির্মাণ করেছেন ‘বাগানবিলাস’ নামে একটি বিলাসবহুল বাগানবাড়ি। একই জেলার ফাওকাল এলাকাতেও রয়েছে তার ডুপ্লেক্স ভবনসহ বিশাল সম্পত্তি।

শুধু গাজীপুরেই নয়, রাজধানীর অভিজাত এলাকাগুলোতেও তার নামে ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নামে জমি ও বাড়ির মালিকানা রয়েছে। বারিধারা আবাসিক এলাকার পার্ক ভ্যালিতে রয়েছে একটি ফ্ল্যাট, আর বারিধারা ডিওএইচএসে রয়েছে সাততলা বিশিষ্ট একটি বাড়ি।

দুদক জানায়, তারিক সিদ্দিকের পরিবারের নামে প্রচুর সম্পদের তথ্য থাকলেও এখন পর্যন্ত দালিলিক প্রমাণে ৬২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের সন্ধান মিলেছে। পাশাপাশি ১২২ কোটি টাকার সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি নজরে এসেছে।

এছাড়া বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের নামে প্রায় ৮০০ কোটি টাকার বেশি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এরইমধ্যে তারিক সিদ্দিকসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে পৃথক মামলাও করা হয়েছে।

দুদকের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, “সম্পদের উৎস ও বৈধতা যাচাইয়ের পর প্রতিটি মামলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কমিশনের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর।”

এদিকে, উচ্চ পর্যায়ের এই সাবেক কর্মকর্তার এমন দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসায় রাজনৈতিক মহলসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তদন্তের অগ্রগতি অনুযায়ী মামলার পরিধি আরও বাড়তে পারে বলে জানা গেছে।