ঢাকা ১১:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শতাব্দীর আতঙ্ক ‘নর’ইস্টার’ ঝড় নিয়ে প্রকাশিত হলো চাঞ্চল্যকর সব সত্য ভালুকায় গৃহবধূ ও দুই সন্তান হত্যা: প্রধান আসামি দেবর নজরুল গ্রেপ্তার উদ্ভিদের গোপন শব্দে সাড়া দেয় পতঙ্গ ও প্রাণীরা: গবেষণায় উদ্ভিদের ভাষার রহস্য উদঘাটন বাংলাদেশের জাহাজ ও বন্দর খাতে বিনিয়োগে সিঙ্গাপুরকে আহ্বান: নৌ উপদেষ্টা শামীম ওসমান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা, সন্তানদের সম্পদ বিবরণীর নোটিশ সংখ্যাগরিষ্ঠ দল ও জোট দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ প্রতিষ্ঠায় একমত হয়েছে: আলী রীয়াজ অপরাধী যেন কেউ ছাড়া না পায়, কঠোরভাবে দমন করতে হবে: ডিএমপি কমিশনার জনগণের সেন্টিমেন্ট বুঝে আগামী রমজানের আগেই নির্বাচন দিন: কুড়িগ্রামে রিজভী মাদরাসা আমাদের ঐতিহ্যের ধারক, এটিকে টিকিয়ে রাখতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস কখনো ‘জাতীয় সংস্কারক’ উপাধির স্বীকৃতি চান নি: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস কখনো ‘জাতীয় সংস্কারক’ উপাধির স্বীকৃতি চান নি: প্রেস উইং

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৫১:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
  • / 4

ছবি: সংগৃহীত

 

জাতীয় সংস্কারক’ হিসেবে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ঘোষণা সংক্রান্ত একটি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের রুল জারির পর বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস উইং।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) এক বিবৃতিতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ইউনূস নিজে কখনো ‘জাতীয় সংস্কারক’ উপাধির কোনো স্বীকৃতি চাননি। একইসঙ্গে সরকারও তাকে এই ধরনের কোনো উপাধি প্রদানের পরিকল্পনা করছে না।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, হাইকোর্ট থেকে জারি হওয়া রুলের অনুলিপি হাতে পাওয়ার পর আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে যথাযথ সময়ে তার উত্তর দেওয়া হবে।

সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়, রিটকারীর নিজ উদ্যোগেই এই আবেদন করা হয়েছে এবং এর পেছনে কী ভিত্তি রয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। এ বিষয়ে আইনি পর্যালোচনার পর প্রযোজ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করবে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়।

প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে সরকারের অবস্থান সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে বলা হয়, এই মুহূর্তে এমন কোনো উদ্যোগ সরকারের নেই, যেখানে ড. ইউনূসকে জাতীয় সংস্কারকের স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে। বরং বিষয়টি একান্তই রিটকারীর ব্যক্তিগত উদ্যোগ থেকে এসেছে এবং সরকার এতে কোনোভাবেই সম্পৃক্ত নয়।

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে আলোচনার সৃষ্টি হলেও সরকার এ বিষয়ে দায়িত্বশীল ও সংবেদনশীল অবস্থান গ্রহণ করছে বলে জানা গেছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশনার প্রতি সরকারের পূর্ণ শ্রদ্ধা রয়েছে এবং আইনানুগ প্রক্রিয়ায় বিষয়টির নিষ্পত্তি হবে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

সর্বশেষ, সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়, প্রফেসর ইউনূস নিজে যে কোনো ধরনের সম্মাননা বা উপাধি চাওয়ার বিষয়টি নাকচ করেছেন, যা সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। তাই বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি বা অতিরঞ্জিত ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই বলে মনে করছে অন্তর্বর্তী প্রশাসন।

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস কখনো ‘জাতীয় সংস্কারক’ উপাধির স্বীকৃতি চান নি: প্রেস উইং

আপডেট সময় ০৫:৫১:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

 

জাতীয় সংস্কারক’ হিসেবে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ঘোষণা সংক্রান্ত একটি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের রুল জারির পর বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস উইং।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) এক বিবৃতিতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ইউনূস নিজে কখনো ‘জাতীয় সংস্কারক’ উপাধির কোনো স্বীকৃতি চাননি। একইসঙ্গে সরকারও তাকে এই ধরনের কোনো উপাধি প্রদানের পরিকল্পনা করছে না।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, হাইকোর্ট থেকে জারি হওয়া রুলের অনুলিপি হাতে পাওয়ার পর আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে যথাযথ সময়ে তার উত্তর দেওয়া হবে।

সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়, রিটকারীর নিজ উদ্যোগেই এই আবেদন করা হয়েছে এবং এর পেছনে কী ভিত্তি রয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। এ বিষয়ে আইনি পর্যালোচনার পর প্রযোজ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করবে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়।

প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে সরকারের অবস্থান সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে বলা হয়, এই মুহূর্তে এমন কোনো উদ্যোগ সরকারের নেই, যেখানে ড. ইউনূসকে জাতীয় সংস্কারকের স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে। বরং বিষয়টি একান্তই রিটকারীর ব্যক্তিগত উদ্যোগ থেকে এসেছে এবং সরকার এতে কোনোভাবেই সম্পৃক্ত নয়।

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে আলোচনার সৃষ্টি হলেও সরকার এ বিষয়ে দায়িত্বশীল ও সংবেদনশীল অবস্থান গ্রহণ করছে বলে জানা গেছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশনার প্রতি সরকারের পূর্ণ শ্রদ্ধা রয়েছে এবং আইনানুগ প্রক্রিয়ায় বিষয়টির নিষ্পত্তি হবে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

সর্বশেষ, সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়, প্রফেসর ইউনূস নিজে যে কোনো ধরনের সম্মাননা বা উপাধি চাওয়ার বিষয়টি নাকচ করেছেন, যা সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। তাই বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি বা অতিরঞ্জিত ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই বলে মনে করছে অন্তর্বর্তী প্রশাসন।