ঢাকা ১০:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শতাব্দীর আতঙ্ক ‘নর’ইস্টার’ ঝড় নিয়ে প্রকাশিত হলো চাঞ্চল্যকর সব সত্য ভালুকায় গৃহবধূ ও দুই সন্তান হত্যা: প্রধান আসামি দেবর নজরুল গ্রেপ্তার উদ্ভিদের গোপন শব্দে সাড়া দেয় পতঙ্গ ও প্রাণীরা: গবেষণায় উদ্ভিদের ভাষার রহস্য উদঘাটন বাংলাদেশের জাহাজ ও বন্দর খাতে বিনিয়োগে সিঙ্গাপুরকে আহ্বান: নৌ উপদেষ্টা শামীম ওসমান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা, সন্তানদের সম্পদ বিবরণীর নোটিশ সংখ্যাগরিষ্ঠ দল ও জোট দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ প্রতিষ্ঠায় একমত হয়েছে: আলী রীয়াজ অপরাধী যেন কেউ ছাড়া না পায়, কঠোরভাবে দমন করতে হবে: ডিএমপি কমিশনার জনগণের সেন্টিমেন্ট বুঝে আগামী রমজানের আগেই নির্বাচন দিন: কুড়িগ্রামে রিজভী মাদরাসা আমাদের ঐতিহ্যের ধারক, এটিকে টিকিয়ে রাখতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস কখনো ‘জাতীয় সংস্কারক’ উপাধির স্বীকৃতি চান নি: প্রেস উইং

আর্থিক খাত সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশংসায় বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৪৮:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
  • / 15

ছবি সংগৃহীত

 

বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের নবনিযুক্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট জোহানেস জুট বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের প্রতি তাঁর দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। একইসঙ্গে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের আর্থিক খাত সংস্কারে নেওয়া উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন এবং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও তাঁর টিমের কাজকে চমৎকার বলে অভিহিত করেছেন।

সোমবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে এসব কথা বলেন জোহানেস জুট। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর জ্যাঁ পেসমে।

জোহানেস জুট বলেন, “বাংলাদেশের প্রতি আমার ভালোবাসা অনেক গভীর। ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত আমি বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালে কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি, সেই সময়ের অভিজ্ঞতা এখনো মনে আছে।”

তিনি বলেন, “আপনারা যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছেন, তাতে বিশ্বব্যাংক পাশে থাকবে। আমরা বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্ন ভাগ করে নিতে প্রস্তুত।”

গত বছরের জুলাইয়ে গণ-আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থীদের স্মরণ করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত সবার জন্য সেটি এক আবেগঘন সময় ছিল।”

জোহানেস জুটের আন্তরিক প্রশংসা ও সহযোগিতার আশ্বাসের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, “আমরা যখন দায়িত্ব গ্রহণ করি, তখন পরিস্থিতি ছিল যেন ভূমিকম্প–পরবর্তী ধ্বংসস্তূপ। আমাদের কোনো পূর্ব প্রস্তুতি ছিল না, কিন্তু উন্নয়ন সহযোগীরা পাশে দাঁড়িয়েছে। এতে আমরা আত্মবিশ্বাস পেয়েছি।”

তিনি আরও বলেন, “জুলাইয়ের গণ-আন্দোলনে তরুণেরা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছে। নারীরাও সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। আমরা সেই দিনটিকে নারী দিবস হিসেবে পালন করছি, যেন তাঁদের ত্যাগ বৃথা না যায়।”

বাংলাদেশকে একটি বৃহৎ অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশের উন্নয়ন মানেই দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়ন। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও পরিবহনব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। আমাদের সমুদ্রবন্দর রয়েছে, যা অর্থনীতির চালিকাশক্তি হয়ে উঠতে পারে।”

তিনি আরও বলেন, “যেসব দেশে জনশক্তি সংকট রয়েছে, তারা তাদের কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তর করলে আমরা শিল্প খাতের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু সরবরাহ করব।”

নারীর ক্ষমতায়নে নেওয়া উদ্যোগের প্রশংসা করে জোহানেস জুট বলেন, “বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় বাংলাদেশে মেয়েদের জন্য চালু হওয়া শিক্ষাবৃত্তি প্রকল্প এখন বহু দেশে অনুসরণ করা হচ্ছে।”

তিনি জানান, গত অর্থবছরে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশে তিন বিলিয়নেরও বেশি ডলার বিনিয়োগ করেছে এবং আগামীতেও সমানভাবে সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী জানান, নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) নতুন পরিচালনা ব্যবস্থায় কনটেইনার হ্যান্ডলিং উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। একইসঙ্গে জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে নিট বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে, যার বেশিরভাগ এসেছে ইন্ট্রা-কোম্পানি ঋণ ও শক্তিশালী ইকুইটি বিনিয়োগ থেকে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আর্থিক খাত সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশংসায় বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট

আপডেট সময় ০৩:৪৮:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

 

বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের নবনিযুক্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট জোহানেস জুট বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের প্রতি তাঁর দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। একইসঙ্গে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের আর্থিক খাত সংস্কারে নেওয়া উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন এবং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও তাঁর টিমের কাজকে চমৎকার বলে অভিহিত করেছেন।

সোমবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে এসব কথা বলেন জোহানেস জুট। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর জ্যাঁ পেসমে।

জোহানেস জুট বলেন, “বাংলাদেশের প্রতি আমার ভালোবাসা অনেক গভীর। ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত আমি বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালে কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি, সেই সময়ের অভিজ্ঞতা এখনো মনে আছে।”

তিনি বলেন, “আপনারা যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছেন, তাতে বিশ্বব্যাংক পাশে থাকবে। আমরা বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্ন ভাগ করে নিতে প্রস্তুত।”

গত বছরের জুলাইয়ে গণ-আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থীদের স্মরণ করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত সবার জন্য সেটি এক আবেগঘন সময় ছিল।”

জোহানেস জুটের আন্তরিক প্রশংসা ও সহযোগিতার আশ্বাসের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, “আমরা যখন দায়িত্ব গ্রহণ করি, তখন পরিস্থিতি ছিল যেন ভূমিকম্প–পরবর্তী ধ্বংসস্তূপ। আমাদের কোনো পূর্ব প্রস্তুতি ছিল না, কিন্তু উন্নয়ন সহযোগীরা পাশে দাঁড়িয়েছে। এতে আমরা আত্মবিশ্বাস পেয়েছি।”

তিনি আরও বলেন, “জুলাইয়ের গণ-আন্দোলনে তরুণেরা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছে। নারীরাও সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। আমরা সেই দিনটিকে নারী দিবস হিসেবে পালন করছি, যেন তাঁদের ত্যাগ বৃথা না যায়।”

বাংলাদেশকে একটি বৃহৎ অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশের উন্নয়ন মানেই দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়ন। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও পরিবহনব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। আমাদের সমুদ্রবন্দর রয়েছে, যা অর্থনীতির চালিকাশক্তি হয়ে উঠতে পারে।”

তিনি আরও বলেন, “যেসব দেশে জনশক্তি সংকট রয়েছে, তারা তাদের কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তর করলে আমরা শিল্প খাতের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু সরবরাহ করব।”

নারীর ক্ষমতায়নে নেওয়া উদ্যোগের প্রশংসা করে জোহানেস জুট বলেন, “বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় বাংলাদেশে মেয়েদের জন্য চালু হওয়া শিক্ষাবৃত্তি প্রকল্প এখন বহু দেশে অনুসরণ করা হচ্ছে।”

তিনি জানান, গত অর্থবছরে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশে তিন বিলিয়নেরও বেশি ডলার বিনিয়োগ করেছে এবং আগামীতেও সমানভাবে সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী জানান, নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) নতুন পরিচালনা ব্যবস্থায় কনটেইনার হ্যান্ডলিং উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। একইসঙ্গে জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে নিট বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে, যার বেশিরভাগ এসেছে ইন্ট্রা-কোম্পানি ঋণ ও শক্তিশালী ইকুইটি বিনিয়োগ থেকে।