০৬:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক। ফিফার শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হলেন ট্রাম্প ব্রাজিলে অবতরণের পর আগুনে পুড়ল এয়ারবাস এ-৩২০, অল্পের জন্য রক্ষা পেল যাত্রীরা পাক-আফগান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি, উত্তেজনা চরমে

বাংলাদেশ-সৌদি সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী রিয়াদ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৫০:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
  • / 174

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে সৌদি আরব। সোমবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতে এই আগ্রহের কথা জানান বাংলাদেশে নবনিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ড. আবদুল্লাহ জাফর এইচ বিন আবিয়াহ।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে দীর্ঘদিনের ভ্রাতৃসুলভ সম্পর্ক রয়েছে। এই সম্পর্ককে আরও গভীর ও অর্থবহ করে তুলতে রিয়াদ সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।

বিজ্ঞাপন

রাষ্ট্রদূতের আগমন উপলক্ষে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান এবং তার কূটনৈতিক দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তৌহিদ হোসেন বলেন, “বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক আমাদের গর্বের বিষয়। দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার আরও নতুন দিগন্ত উন্মোচনের সুযোগ রয়েছে।”

সাক্ষাতে উভয়পক্ষই দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, বিনিয়োগ, মানবসম্পদ উন্নয়ন, প্রবাসী কল্যাণসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া ওমরাহ ও হজ ব্যবস্থাপনা সহজতর করার বিষয়ে দুই দেশের সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়।

পরে সৌদি রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়ামের সঙ্গেও পৃথকভাবে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সেখানেও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়।

রাষ্ট্রদূতের এই সৌজন্য সাক্ষাৎকে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ধারাবাহিকতা এবং ভবিষ্যৎ অংশীদারত্বের একটি ইতিবাচক বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূতের এ ধরনের উদ্যোগ ভবিষ্যতে বাংলাদেশ-সৌদি সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় ও ফলপ্রসূ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ-সৌদি সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী রিয়াদ

আপডেট সময় ০২:৫০:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

 

বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে সৌদি আরব। সোমবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতে এই আগ্রহের কথা জানান বাংলাদেশে নবনিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ড. আবদুল্লাহ জাফর এইচ বিন আবিয়াহ।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে দীর্ঘদিনের ভ্রাতৃসুলভ সম্পর্ক রয়েছে। এই সম্পর্ককে আরও গভীর ও অর্থবহ করে তুলতে রিয়াদ সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।

বিজ্ঞাপন

রাষ্ট্রদূতের আগমন উপলক্ষে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান এবং তার কূটনৈতিক দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তৌহিদ হোসেন বলেন, “বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক আমাদের গর্বের বিষয়। দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার আরও নতুন দিগন্ত উন্মোচনের সুযোগ রয়েছে।”

সাক্ষাতে উভয়পক্ষই দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, বিনিয়োগ, মানবসম্পদ উন্নয়ন, প্রবাসী কল্যাণসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া ওমরাহ ও হজ ব্যবস্থাপনা সহজতর করার বিষয়ে দুই দেশের সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়।

পরে সৌদি রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়ামের সঙ্গেও পৃথকভাবে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সেখানেও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়।

রাষ্ট্রদূতের এই সৌজন্য সাক্ষাৎকে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ধারাবাহিকতা এবং ভবিষ্যৎ অংশীদারত্বের একটি ইতিবাচক বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূতের এ ধরনের উদ্যোগ ভবিষ্যতে বাংলাদেশ-সৌদি সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় ও ফলপ্রসূ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।