আধুনিকতার চাপে মাদ্রাসা শিক্ষা ধ্বংস হতে দেওয়া যাবে না: ধর্ম উপদেষ্টা

- আপডেট সময় ০৫:৫৫:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫
- / 3
ঢাকা, ৯ জুলাই: ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, মাদ্রাসা শিক্ষা একটি বিশেষায়িত ও ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা ব্যবস্থা। আধুনিকতার নামে এ শিক্ষার স্বকীয়তা ধ্বংস হতে দেওয়া যাবে না। বরং অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে এনে মাদ্রাসা শিক্ষার স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখা জরুরি।
বুধবার রাজধানীর আইডিইবি মিলনায়তনে ‘টেকসই উন্নয়নে আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষা ধারা: চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ মাদ্রাসা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ আয়োজিত এ সেমিনারে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শতাধিক ইসলামি পণ্ডিত, আলেম-ওলামা ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থী অংশ নেন।
ড. খালিদ বলেন, আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা যুগের পর যুগ ইসলামি জ্ঞান, মূল্যবোধ ও চিন্তাধারার বিকাশে অনন্য অবদান রেখে আসছে। কোলকাতা আলিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পর দেওবন্দ প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত ৮৬ বছর এই ধারার আলেমরাই উপমহাদেশে জ্ঞানের আলো ছড়িয়েছেন। আজও বহু আলেম-ওলামা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে শিক্ষা নিয়ে সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তিনি বলেন, “হীনম্মন্যতা থেকে মুক্ত হয়ে আমাদের আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে যারা দমিয়ে রাখতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। সমাজে যেন কোনোভাবে ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।” তিনি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের হতাশ না হয়ে আশাবাদী হয়ে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
বিগত ষোল বছরে মাদ্রাসা শিক্ষাকে অবজ্ঞা করা হয়েছে দাবি করে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, “জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে সাধারণ বিষয়ে অনার্স চালুতে সহায়তা করেছে, সেখানে ইসলামি স্টাডিজ, আরবি সাহিত্য ও ইসলামের ইতিহাস বিষয়ে ছিলো উপেক্ষার মনোভাব। এখন সেই নেতিবাচক ধারা পরিবর্তিত হয়েছে। মাদ্রাসা শিক্ষা উন্নতির পথে।”
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন মাদ্রাসা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীন। প্রধান আলোচক ছিলেন ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. শামসুল আলম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের কারিকুলাম বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আহমদ আলী, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীন অধ্যাপক মো. অলিউল্লাহ ও বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র শিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।