ঢাকা ০৮:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বিদেশফেরত রংমিস্ত্রি থেকে সফল কৃষি উদ্যোক্তা: আফজাল শেখের রাম্বুটান বিপ্লব কলটি বিবিসি উদ্ধার করেনি, এটা ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি: চিফ প্রসিকিউটর ১ লাখ শিক্ষক নিয়োগে পুলিশের ভেরিফিকেশন: শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা দুর্নীতিবাজ, দখলদার ও চাঁদাবাজদের না বলুন, যারা ওদের পক্ষে তাঁদের বয়কট করুন: নাহিদ ইসলাম রাজস্থানে ভারতীয় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত: নিহত দুই পাইলট বাগেরহাটে ডাকাতিকৃত মালামাল সহ ৭ ডাকাত আটক বাংলাদেশ-চীন-পাকিস্তান ঘনিষ্ঠতায় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগে ভারতীয় প্রতিরক্ষা প্রধান গুম তদন্ত কমিশনের সঙ্গে ইউভিইডির বৈঠক, নিখোঁজ ২০০ জনের তালিকা হস্তান্তর আধুনিকতার চাপে মাদ্রাসা শিক্ষা ধ্বংস হতে দেওয়া যাবে না: ধর্ম উপদেষ্টা ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্য অধিদফতরকে চিকিৎসা সরঞ্জাম দিলো ডব্লিউএইচও

পাবনায় তীব্র নদী ভাঙনে বিলীনের ‍মুখে ফেরিঘাট! আতঙ্কে এলাকবাসী

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৫৮:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫
  • / 8

ছবি সংগৃহীত

 

উজানের পানির প্রবাহ বাড়ছে পদ্মা নদীতে। পানির বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাড় ভেঙে তলিয়ে যাচ্ছে নদীগর্ভে। অবহেলা আর অযত্নে থাকা পাবনার নাজিরগঞ্জ ফেরিঘাটে এই তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে ফেরিঘাটটি। যেকোনো মুহুর্তে ঘাটই নদী গর্ভে বিলীন হতে পারে। এছাড়াও তীব্র ভাঙনের ফলে নদীপাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে, হমকিতে পড়েছে তাদের বসতবাড়ি।

সরেজমিন দেখা যায়, নাজিরগঞ্জ ফেরাঘাটের পূর্ব পাশের ফেরি পল্টনের নিচ থেকেই বড় বড় পার ভেঙে নদীতে পড়ছে। ফেরিঘাট থেকে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত এই ভাঙন চলছে। ফেরির মেইন প্লাটুনের মাত্র কয়েক হাত দূর থেকে এই ভাঙন শুরু হয়েছে। নদীর তীর ঘেষে কয়েক গজ দূরেই নদীর পাড়ের বাসিন্দাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই। যেভাবে ভাঙছে তাতে অল্পদিনের মধ্যেই সেই মাথা গোঁজার ঠাঁই টুকুও হারাতে পারেন তারা।

নদীপারের বাসিন্দা বলেন, ‘নদীর পশ্চিম পাশে বড় বড় ব্লক দিয়ে নদীর তীর রক্ষা করা হয়েছে। অথচ পুর্বপাশে কোনো ধরনের ব্লক নেই। কয়েক বছর ধরেই ভাঙছে, কিন্তু এবারের ভাঙনটা তীব্র হচ্ছে। আর কয়েকদিন গেলে তো আমাদের ঘর-বাড়ি নদীতে চলে যাবে। তারপরও কেউ দেখার নেই। আমরা মাথা গোজার ঠাঁই টুকুও হারাতে যাচ্ছি। আমরা কিছুই চাই না শুধু নদীর তীর রক্ষা চাই। চরম আতঙ্কে আছি কখন যেন ঘর-বাড়ি নদীতে চলে যায়।’

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুষ্ক মৌসুমে নদী শাসন না করা এবং নদী রক্ষায় অন্যান্য ব্যবস্থা না নেয়ার ফলেই এই ভাঙন দেখা দিয়েছে। এছাড়াও ঘাটের দুই পাশের কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে একাধিক অবৈধ ও যত্রতত্র বালু উত্তোলন করা হয়। অপরিকল্পিত এই বালু উত্তোলনের কারণেও এই ভাঙন হচ্ছে।

ঘাটের এই অবস্থার জন্য ইউএনও ও ডিসিকে দায়ী করলেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) নাজিরগঞ্জ ঘাটের পোর্ট অফিসার তোফাজ্জল হোসেন। তিনি জানান, চুক্তি অনুযায়ী ২০২৩ সালে আমাদেরকে ঘাটের জমি বুঝিয়ে দেয়ার কথা থাকলেও এখনো ইউএনও ও ডিসি সাহেব আমাদের সেটা দেননি। এজন্য আমরা ঘাটের কোনো উন্নয়ন করতে পারছি না। এভাবে আর কিছুদিন গেলে (ভাঙন হলে) তো আমার ঘাটই ভেঙে যাবে। বাধ্য হয়ে আমি আমার কোটি টাকার পল্টন সরিয়ে নিতে বাধ্য হবো।’

এবিষয়ে সুজানগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জানান, ‘স্থানীয়দের কিছু আপত্তির কারণে তাদেরকে (বিআইডব্লিউটিএ) জমি বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। আর নদী ভাঙনের বিষয়ে আমরা সরেজিমন পরিদর্শন করেছি। এটা নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড করা করছে। আমরা ইতোধ্যেই জরুরি ভিত্তিতে কাজ করতে উদ্যোগ নিয়েছি।’

 

নিউজটি শেয়ার করুন

পাবনায় তীব্র নদী ভাঙনে বিলীনের ‍মুখে ফেরিঘাট! আতঙ্কে এলাকবাসী

আপডেট সময় ০৪:৫৮:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫

 

উজানের পানির প্রবাহ বাড়ছে পদ্মা নদীতে। পানির বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাড় ভেঙে তলিয়ে যাচ্ছে নদীগর্ভে। অবহেলা আর অযত্নে থাকা পাবনার নাজিরগঞ্জ ফেরিঘাটে এই তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে ফেরিঘাটটি। যেকোনো মুহুর্তে ঘাটই নদী গর্ভে বিলীন হতে পারে। এছাড়াও তীব্র ভাঙনের ফলে নদীপাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে, হমকিতে পড়েছে তাদের বসতবাড়ি।

সরেজমিন দেখা যায়, নাজিরগঞ্জ ফেরাঘাটের পূর্ব পাশের ফেরি পল্টনের নিচ থেকেই বড় বড় পার ভেঙে নদীতে পড়ছে। ফেরিঘাট থেকে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত এই ভাঙন চলছে। ফেরির মেইন প্লাটুনের মাত্র কয়েক হাত দূর থেকে এই ভাঙন শুরু হয়েছে। নদীর তীর ঘেষে কয়েক গজ দূরেই নদীর পাড়ের বাসিন্দাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই। যেভাবে ভাঙছে তাতে অল্পদিনের মধ্যেই সেই মাথা গোঁজার ঠাঁই টুকুও হারাতে পারেন তারা।

নদীপারের বাসিন্দা বলেন, ‘নদীর পশ্চিম পাশে বড় বড় ব্লক দিয়ে নদীর তীর রক্ষা করা হয়েছে। অথচ পুর্বপাশে কোনো ধরনের ব্লক নেই। কয়েক বছর ধরেই ভাঙছে, কিন্তু এবারের ভাঙনটা তীব্র হচ্ছে। আর কয়েকদিন গেলে তো আমাদের ঘর-বাড়ি নদীতে চলে যাবে। তারপরও কেউ দেখার নেই। আমরা মাথা গোজার ঠাঁই টুকুও হারাতে যাচ্ছি। আমরা কিছুই চাই না শুধু নদীর তীর রক্ষা চাই। চরম আতঙ্কে আছি কখন যেন ঘর-বাড়ি নদীতে চলে যায়।’

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুষ্ক মৌসুমে নদী শাসন না করা এবং নদী রক্ষায় অন্যান্য ব্যবস্থা না নেয়ার ফলেই এই ভাঙন দেখা দিয়েছে। এছাড়াও ঘাটের দুই পাশের কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে একাধিক অবৈধ ও যত্রতত্র বালু উত্তোলন করা হয়। অপরিকল্পিত এই বালু উত্তোলনের কারণেও এই ভাঙন হচ্ছে।

ঘাটের এই অবস্থার জন্য ইউএনও ও ডিসিকে দায়ী করলেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) নাজিরগঞ্জ ঘাটের পোর্ট অফিসার তোফাজ্জল হোসেন। তিনি জানান, চুক্তি অনুযায়ী ২০২৩ সালে আমাদেরকে ঘাটের জমি বুঝিয়ে দেয়ার কথা থাকলেও এখনো ইউএনও ও ডিসি সাহেব আমাদের সেটা দেননি। এজন্য আমরা ঘাটের কোনো উন্নয়ন করতে পারছি না। এভাবে আর কিছুদিন গেলে (ভাঙন হলে) তো আমার ঘাটই ভেঙে যাবে। বাধ্য হয়ে আমি আমার কোটি টাকার পল্টন সরিয়ে নিতে বাধ্য হবো।’

এবিষয়ে সুজানগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জানান, ‘স্থানীয়দের কিছু আপত্তির কারণে তাদেরকে (বিআইডব্লিউটিএ) জমি বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। আর নদী ভাঙনের বিষয়ে আমরা সরেজিমন পরিদর্শন করেছি। এটা নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড করা করছে। আমরা ইতোধ্যেই জরুরি ভিত্তিতে কাজ করতে উদ্যোগ নিয়েছি।’