বাণিজ্য টানাপোড়েনে স্থবির বেনাপোল বন্দর, কমেছে আমদানি-রফতানি

- আপডেট সময় ১১:০৪:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫
- / 7
বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক উত্তেজনার প্রভাব পড়েছে বেনাপোল স্থলবন্দরেও। দুই দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি বিধিনিষেধের কারণে গত এক বছরে আমদানি কমেছে ৬ লাখ টন এবং রফতানি কমেছে ৭৫ হাজার টনের বেশি। এতে বাণিজ্যিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন দুই দেশের ব্যবসায়ীরা।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে বেনাপোল বন্দরের মাধ্যমে ২১ লাখ ৩০ হাজার ২২৮ টন পণ্য আমদানি হয়েছিল। কিন্তু ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৯৮ হাজার ৮৯৮ টনে। অর্থাৎ এক বছরে কমেছে ৬ লাখ ৩১ হাজার ৩৩০ টন পণ্য আমদানি। একই সময়ে রফতানির পরিমাণ ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৬৭২ টন থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৮১ হাজার ৪৪০ টনে। এতে রফতানি হ্রাস পেয়েছে ৭৫ হাজার ২৩২ টন।
এই পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী, শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ। বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের দফতর সম্পাদক মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম বলেন, “হঠাৎ করে নেয়া নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এর ফলে শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতীয় ব্যবসায়ীরাও ক্ষতির মুখে পড়ছেন।”
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক শামিম হোসেন জানান, সরকার কিছু পণ্যের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, যেগুলোর অধিকাংশ দেশেই উৎপাদন হয়। ফলে এসব পণ্যের আমদানি না হওয়ায় মোট আমদানির পরিমাণ কমেছে।
তিনি আরও জানান, বাণিজ্য কমে যাওয়ায় সরকারের রাজস্ব আয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন ভারত থেকে প্রায় ৬০০ ট্রাক পণ্য আমদানি ও ২৫০ ট্রাক পণ্য রফতানি হতো। বর্তমানে সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৫০০ ও ১০০ ট্রাকের নিচে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা নিরসন করে দ্রুত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা দরকার। না হলে আরও বড় বাণিজ্য সংকট দেখা দিতে পারে বলে তারা আশঙ্কা করছেন।
এই প্রেক্ষাপটে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সীমান্ত বাণিজ্যকে সচল রাখতে উভয় দেশের সরকারের আরও কূটনৈতিক সহনশীলতা এবং বাস্তবভিত্তিক সিদ্ধান্ত নেয়া জরুরি। তাহলেই বেনাপোল বন্দর আবারও প্রাণ ফিরে পাবে।